ফাহিমের ভালোবাসার গান ‘আদুরে দিন’
Published: 11th, February 2025 GMT
প্রতি বছরই ভালোবাসা দিবসে নতুন গান উপহার দেন তরুণ সংগীতশিল্পী ফাহিম ইসলাম। বরাবরের মতো এবার ‘আদুরে দিন’ শিরোনামের গান নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছেন তিনি।
“তোর সাথে যাব বলে, আজ দেখা পাব বলে, যত ইচ্ছে খুশি সাজিয়েছি/ তুই এসে ছুঁয়ে দিলে, সব ব্যথা ধুয়ে দিলে, দূরে ভেসে যেতে রাজি আছি/ তুই আমার বৃষ্টি রোদে, আদুরে এক দিন/ কাছে এলে ভালো থাকে, এই মন গহীন।”— এমন কথার গানটি লিখেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত গীতিকবি রবিউল ইসলাম জীবন। সুর ও সংগীত পরিচালনা করেছেন মিনহাজ জুয়েল। মিক্স-মাস্টারিং করেছেন আদিব কবির।
গান নিয়ে ফাহিম ইসলাম বলেন, “ভালোবাসার মানুষটির জন্য সবাই নিজেদের সব আনন্দ-খুশি সাজিয়ে রাখেন। একের উপস্থিতি, স্পর্শ অন্যকে সুখী করে তোলে। দুজনের ভালোবাসার এমন মিষ্টি অনুভূতি নিয়েই গানটির গল্প। দর্শক-শ্রোতারা পছন্দ করলেই আমাদের চেষ্টা সার্থক হবে।”
আরো পড়ুন:
‘মানুষের ধর্মই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা’
‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অবনতি
গানটি নিয়ে নির্মিত হয়েছে মিউজিক ভিডিও। রাজধানীর বিভিন্ন মনোরম লোকেশন ও ইনডোরে মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে। এতে মডেল হয়েছেন নয়ন সানি ও ফারিয়া। ডেডলাইন স্টুডিওস লিমিটেডের ব্যানারে ভিডিওটি নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ডেডলাইন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে ‘আদুরে দিন’ গানটি।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার বৈঠক
চীন, রাশিয়া ও ইরানের কূটনীতিকদের মধ্যে আজ শুক্রবার বৈঠক হয়েছে। বেইজিংয়ের আশা, এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থবির হয়ে থাকা আলোচনা নতুন করে শুরু করা যাবে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০১৫ সালে চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক চুক্তিতে সই করেছিল ইরান। এ চুক্তির মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্বপালনকালে ট্রাম্প ওই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
ওয়াশিংটনের সরে যাওয়ার পরও এক বছর ধরে তেহরান ওই চুক্তি মেনে চলেছিল। পরে তারাও তাদের প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে। চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা তখন থেকে ভেস্তে যায়।
বেইজিং বলেছে, তারা আশা করে, কম সময়ের মধ্যে ওই আলোচনা নতুন করে শুরু করতে যে তৎপরতার প্রয়োজন, তা আজকের আলোচনার মধ্য দিয়ে দৃঢ় হবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভিতে এ বৈঠক সম্পর্কে বলা হয়, তিন কূটনীতিক ইরানের পারমাণবিক ইস্যু এবং অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে পারস্পরিক দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করেছেন। চীনের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মা ঝাওজু, রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ ও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম গারিবাবাদি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমটিতে এ আলোচনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন।
ইরানের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর আহ্বান জানিয়েছেন ট্রাম্প। তবে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় অংশ নিতে রাজি নয় তেহরান।
চলতি সপ্তাহে ট্রাম্প ইরানকে পারমাণবিক আলোচনার আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইরান প্রত্যাখ্যান করলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার তেহরান বলেছে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বরাবর লেখা চিঠিটি তারা এখন পর্যালোচনা করছে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি গতকাল দেশটির সরকারের আনুষ্ঠানিক সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের উচিত, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া।’
আরাগচি আরও বলেন, চাপ ও হুমকিমুক্ত থাকলে এবং জনগণের জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষার নিশ্চয়তা পেলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসবেন তাঁরা।