যৌথ বাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল হামলা, অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২
Published: 11th, February 2025 GMT
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অভিযানে থাকা যৌথ বাহিনীর সদস্যদের গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুজনকে বিপুল অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছেন। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউসার মিয়ার ইটভাটার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন নবীর উদ্দিন (৫০) ও ইমাম হোসেন (৫০)। ঘটনাস্থলে ধাওয়া দিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, ছয়টি ধারালো অস্ত্র, আটটি গুলি ও ২০টি ককটেল উদ্ধার হয়েছে।
অভিযানের বিষয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে হাতিয়া থানা চত্বরে প্রেস ব্রিফিং করেন নৌবাহিনীর হাতিয়া কন্টিনজেন্টের কমান্ডার আফসার আহমেদ। তিনি বলেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে নোয়াখালীর হাতিয়ায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পুলিশের যৌথ দল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে যৌথ বাহিনীর দলটি কাউসার মিয়ার ইটভাটার সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ্য করে ককটেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় আত্মরক্ষার অংশ হিসেবে ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে যৌথ বাহিনী। পরে ধাওয়া দিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিং করছেন নৌবাহিনীর কন্টিনজেন্ট কমান্ডার আফসার আহমেদ। আজ সকালে হাতিয়া থানার সামনে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ককট ল
এছাড়াও পড়ুন:
কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত।
স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।