ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্রামীণ হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড সম্প্রতি বগুড়া ও ঠাকুরগাঁও জেলার ৪২ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা ও চক্ষুসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘ব্র্যাক ব্যাংক অপরাজেয় আমি’র অংশ হিসেবে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে তাদের বিশেষ লেন্স এবং ইন্ট্রা-ওকুলার লেন্স (আইওএল) ইমপ্লান্টসহ বিনামূল্যে চোখের ছানি অপসারণ করা হবে।

রোগীরা যাতে ডায়াগনস্টিক, সার্জারি এবং অস্ত্রোপচার-পরবর্তী সেবা পান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত হবে।

এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো- মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সহায়তা করা, যা তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে ভূমিকা রাখবে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় গ্রামীণ হেলথকেয়ারের প্রধান কার্যালয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন এবং গ্রামীণ হেলথকেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুল হক আহমেদ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

এই সময় গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.

আশরাফুল হাসান, ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং হেড অব কমিউনিকেশন ইকরাম কবীর উপস্থিত ছিলেন।

এই উদ্যোগ সম্পর্কে মো. আশরাফুল হাসান বলেন, এই যৌথ-উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরানোই নয়, বরং অর্থের অভাবে যারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন না, তাদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও আমাদের উদ্দেশ্য। আমি আশা করছি এই উদ্যোগটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।

সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের এই উদ্যোগটি সুবিধাবঞ্চিতদের কেবল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নয়, বরং আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে তারা সকলেই যেন অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান, সেই কারণেও নেওয়া হয়েছে।

একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আর্থিক এবং সামাজিক বাধা দূর করে সবার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেবে, যাতে প্রত্যেকে নিজ সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে অর্থপূর্ণ জীবন যাপনের সুযোগ পান।

‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগটি সামাজিক উন্নয়ন এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

ঢাকা/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ইউনিয়ন ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ বি এম মোকাম্মেল হক চৌধুরীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক সাবিকুন নাহার আজ রোববার ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করেছেন।

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন আজ সাংবাদিকদের বলেন, ত্রাণ বিতরণ ও অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোকাম্মেল হক চৌধুরীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে দুটি মামলাতেই আসামি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানায়, একটি মামলায় ২০২২ ও ২০২৩ সালে দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ হিসেবে কম্বল বিতরণের কথা বলে অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে প্রায় ২৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, ৭ লাখ ৮৫ হাজার কম্বলের অতিরিক্ত বিল দেখিয়ে এ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। মামলায় মোকাম্মেল হক চৌধুরী ছাড়াও ব্যাংকটির সাবেক দুই চেয়ারম্যান আহসানুল আলম ও মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোল্লা ফজলে আকবর, সাবেক পরিচালক মারজিনা শারমিন, মো. রাশেদুল আলম, শওকত হোসেন, মোহাম্মদ ফজলে মোরশেদ, হালিমা বেগম, ওসমান গণি, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ, সাবেক পরিচালক (স্বতন্ত্র) মো. আবদুল কুদ্দুস ও মো. আবদুস সালামকে আসামি করা হয়েছে।

একই মামলায় ব্যাংকটির হেড অব এফএডি ও সিএফও রুহুল আমিন, হেড অব পিআরডি এ কে এম জহির উদ্দীন ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র ক্যাশ অফিসার মো. বোরহান উদ্দীন চৌধুরী, ক্যাশ ইনচার্জ আবদুল হালিম, অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ রাশিদ শহীদকে আসামি করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সানি এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটর জনি মিয়াকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

দুদক সূত্র জানিয়েছে, দ্বিতীয় মামলায় বিভিন্ন অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে সিএসআর ফান্ড থেকে ১০ কোটি ১৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয়, বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ বিতরণের নামে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে সেটি আসল দেখিয়ে অতিরিক্ত বিল তুলে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ মামলায় মোকাম্মেল হক চৌধুরী ছাড়াও ব্যাংকটির সাবেক দুই চেয়ারম্যান আহসানুল আলম ও মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মোল্লা ফজলে আকবর, মারজিনা শারমিন, মো. রাশেদুল আলম, শওকত হোসেন, মোহাম্মদ ফজলে মোরশেদ, হালিমা বেগম, ওসমান গণি, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, মোহাম্মদ মোস্তান বিল্লাহ, মো. আবদুল কুদ্দুস, মো. আবদুস সালাম, রুহুল আমিন, এ কে এম জহির উদ্দীন ইকবাল চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিএসআর ব্যয়ে মার্কেন্টাইল শীর্ষে
  • স্বাস্থ্য-পরিবেশ খাতে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ব্যয় বেড়েছে
  • ইউনিয়ন ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা