পূর্ব শক্রতার জেরে যুবদল নেতাকে ‘অপহরণ করে মারধর’
Published: 11th, February 2025 GMT
ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত ঘটনায় পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবদল নেতাকে অপহরণের পর মারধর করা হয়েছে—ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মোরছালিন চৌধুরী রাজধানীর গুলশান থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার দেওড়ার গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার নতুনবাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। অভিযুক্ত আমির হোসেন সরাইলস্থ অরুয়াইলের স্থানীয় ব্যবসায়ী।
আরো পড়ুন:
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে নিহত এক
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিযুক্ত আমির হোসেনের সঙ্গে মোরছালিন চৌধুরীর ফ্ল্যাট বেচাকেনা-সংক্রান্ত কাজে পরিচয়। মোরছালিন নিজে মধ্যস্থতা করে পরিচিতের কাছ থেকে অভিযুক্তকে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া রেখে ফ্ল্যাট কিনে দেন। এ সময় তিনি ক্রেতা আমির হোসেনের কাছ থেকে প্রমাণস্বরূপ একটি স্বাক্ষরযুক্ত চেক রাখেন। তবে সময় পার হলে টাকা পরিশোধ না হওয়ায় মোরছালিন ক্রেতাকে বকেয়া পরিশোধের তাগাদা দেন। তখন স্থানীয় একটি ঠিকানায় দেখা করে টাকা নিতে জানায় অভিযুক্ত আমির হোসেন।
মোরছালিন চৌধুরী অভিযুক্তের দেওয়া ঠিকানায় গেলে তিনি তাকে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। উপজেলাধীন অরুয়াইল বাজারস্থ আসামির মালিকানাধীন ‘আমির হোসেন মার্কেটের’ গোপন রুমে নিয়ে বাদীকে মারধর করেন। এরপর তার কাছে রক্ষিত চেক জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় বাদীকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ‘টাকা বুঝিয়ে পেয়েছেন’ বলে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সই রাখেন। ভুক্তভোগীকে হাত-পা বেঁধে রুমে বন্দি করে রাখলে গভীর রাতে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির সহায়তায় সেখান থেকে তিনি পালিয়ে আসেন।
ভুক্তভোগী মোরছালিন চৌধুরী বলেন, ‘‘আমাকে বকেয়া টাকা দেবে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড ডেকে নিয়ে যায়। এরপর জোরপূর্বক অপহরণ করে আমির হোসেন তার গোপন আস্তানায় নিয়ে নির্যাতন করেন। আমি অন্য একজনের সহায়তায় গভীর রাতে পালিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আমির হোসেনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল হাসান বলেন, ‘‘মামলার কাগজ গতকাল (সোমবার) পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম রধর অপহরণ ব র হ মণব ড় য় আম র হ স ন ম রধর ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাগুরার শিশুটির গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যাওয়া শিশুটির গায়েবানা জানাজা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজা শেষে তাঁর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিন বলেন, ‘আমরা শোকাহত। এ ঘটনার বিচার দাবিসহ আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচি হচ্ছে।’
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির মৃত্যুর পর বাড়িতে স্বজনদের ভিড়, বিচার দাবি৫ ঘণ্টা আগেএরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ফটকের সামনে আরেকটি গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ইনকিলাব মঞ্চ জানাজার আয়োজন করে। এতে শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মাগুরা শহরে বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে আট বছরের ওই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আজ শিশুটি মারা যায়।
আরও পড়ুনমাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দায়ীদের ৯০ দিনের মধ্যে শাস্তি কার্যকরের দাবি জামায়াত আমিরের৫ ঘণ্টা আগে