কুবির ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ এর ওপর নম্বর কমেছে
Published: 11th, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ এর ওপর ৩০ নম্বর কমিয়ে ২০ করা হয়েছে। বর্তমানে জিপিএ এর নম্বর ও ১০০ নম্বরের পরীক্ষাসহ মোট ১২০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপাচার্য অধ্যাপক ড.
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জনসংযোগ কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মোহাম্মদ এমদাদুল হক স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবন্টন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভর্তিচ্ছুদের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত (৪র্থ বিষয়সহ) জিপিএ-কে ২ দিয়ে গুণ এবং এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে ২ দিয়ে গুণ করে মোট ২০ নম্বর নির্ধারিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা ১০০ নম্বরের হবে। দুটি যোগ করে ১২০ নম্বরের ওপর মেধা স্কোর নির্ণয় করে তার ক্রমানুসারে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “আমরা প্রথমে জিপিএ-র নম্বরটা বেশি রেখেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল যে, ৫০ মার্ক কোন শিক্ষার্থী শুধু জিপিএতে পেয়ে গেলে ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের তেমন একটা প্রভাব থাকছে না। ফলে আমরা এ নিয়ে আলোচনা করি এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে মিল রেখে আমাদের জিপিএ এর নম্বরটি কমিয়েছি।”
প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে ১৫০ নম্বরের ওপর মেধা স্কোর নির্ণয় করে তার ক্রমানুসারে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে উল্লেখ করা হয়েছিল। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভর্তি পরীক্ষার আবেদনে জিপিএ এর ওপর নম্বর কমানো এবং পোষ্য কোটা সংস্কারের দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য জ প এ এর পর ক ষ য় র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
বইমেলায় ‘মবের’ মতো উসকানিমূলক অবস্থা কেন তৈরি হলো, প্রশ্ন ইসলামী আন্দোলনের
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, একটি কার্যকর রাষ্ট্রে কোনো ক্ষেত্রেই ‘মব’ সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য না। সেই নীতিতে গতকাল বইমেলায় যা হয়েছে, তা–ও সমর্থনযোগ্য না। একই সঙ্গে বইমেলায় তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘কার্যকর রাষ্ট্রে কোনো ক্ষেত্রেই “মব” সংস্কৃতি গ্রহণযোগ্য না। সেই নীতিতে গতকাল বইমেলায় যা হয়েছে, তা–ও সমর্থনযোগ্য না। একই সঙ্গে এই প্রশ্নও করা জরুরি যে তসলিমার মতো একজন, যার দেশদ্রোহিতা ও সমাজবিরুদ্ধতা বারবার প্রমাণিত এবং যে পতিত ফ্যাসিবাদের পক্ষের নির্লজ্জ যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছে, তার বই কী করে বইমেলায় প্রকাশিত হতে পারে? কোন সাহসে একটা প্রকাশনী তসলিমার মতো ব্যক্তির বই ছাপাতে পারে, সেই প্রশ্ন করাও জরুরি।’
তসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে অমর একুশে বইমেলার ‘সব্যসাচী’ নামের স্টলে গতকাল সোমবার বাগ্বিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। পরে ওই স্টল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। স্টলে থাকা ব্যক্তিকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নেওয়া হয়। এই স্টলের বিরুদ্ধে নাস্তিকতা প্রচারের অভিযোগ তুলে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গত রোববার থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব বলেছেন, ‘গতকাল যা হয়েছে, তা প্রতিক্রিয়া। সেই প্রতিক্রিয়ার ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতে পারে। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো, এমন উসকানিমূলক ক্রিয়া তৈরি হলো কেন? এই প্রশ্নের সমাধান না করে “তৌহিদী জনতা”কে শায়েস্তা করার হুমকি দেওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
উল্লেখ্য, বইমেলার ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছিলেন, মবের মহড়া সরকার শক্ত হাতে দমন করবে। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, ‘তৌহিদী জনতা! আপনারা দেড় দশক পরে শান্তিতে ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের সুযোগ পেয়েছেন। আপনাদের আহাম্মকি কিংবা উগ্রতা আপনাদের সে শান্তি বিনষ্টের কারণ হতে যাচ্ছে। জুলুম করা থেকে বিরত থাকেন, নইলে আপনাদের ওপর জুলুম অবধারিত হবে। লা তাযলিমুনা ওলা তুযলামুনা—জুলুম করবেন না, জুলুমের শিকারও হবেন না। এটাই আপনাদের কাছে শেষ অনুরোধ!’
আরও পড়ুনতসলিমা নাসরিনের বই রাখা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা–হট্টগোল, একটি স্টল বন্ধ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উপদেষ্টার এই বক্তব্যের সমালোচনা করে ইউনুছ আহমাদ বলেন, একজন উপদেষ্টা যে ভাষায় কথা বলেছেন ও হুমকি দিয়েছেন, তা জনতন্ত্রের ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নতুন বাংলাদেশের কোনো উপদেষ্টার কাছ থেকে এমন আচরণ প্রত্যাশিত না। এমন অবস্থায় দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুনবইমেলার স্টলে হামলার নিন্দা প্রধান উপদেষ্টার, দোষীদের বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ২২ ঘণ্টা আগে