ইতিহাসের এক আকড় গ্রন্থ ‘নারায়ণগঞ্জের সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য’
Published: 11th, February 2025 GMT
ইতিহাসের দিকে মুখ ফিরিয়ে থাকা জাতি আমরা, বড় বেশি দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখি তাৎক্ষণিকতায়, মাতামাতি চলে হালফিল ঘটনা নিয়ে। তদুপরি ইতিহাস বিবেচনায় উপর মহলের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ও পালাবদল মনোযোগ কাড়ে বেশি, সমাজের রূপান্তর রয়ে যায় অগোচরে। অথচ ইতিহাস এক মহাগ্রন্থ, বহু অধ্যায়ে তা বিন্যস্ত, বহু বিষয় তার অন্তর্গত। সেই গভীরতা ও বিস্তার বুঝতে চাই বহুকৌনিক আলোক সম্পাত, বিশেষভাবে আলোকিত দিক সমুহে, যেমন রয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও জনপদ।
ইতিহাস অনুধাবনে আঞ্চলিক ইতিহাসের গুরুত্ব অপরিসীম। যে-কাজে আমরা বিশেষ পারঙ্গম হইনি। জাতির এ দৈন্য মোচনে একক ভাবে বড় দায়িত্ব সম্পাদন করলেন রফিউর রাব্বি, সংস্কৃতিকর্মী, সংগঠক, শিল্পী, লেখক ও নারায়ণগঞ্জের জনসমাজের প্রতিনিধি। যে-কাজ একদল ঐতিহাসিকের, বড় মাপের প্রকল্প ছাড়া সম্পাদনের কথা ভাবা যায় না, জনকাতারের সদাব্যস্ত এই ব্যক্তিত্ব আপন তাগিদ থেকে সেই গুরু দায়িত্ব পালন করলেন। ঢাকার সমীপবর্তী, শহর হিসেবে মধ্যযুগীয় ঢাকার চাইতেও প্রাচীন এ নারায়ণগঞ্জ। নারায়ণগঞ্জের সমৃদ্ধ অথচ অকীর্তিত ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ললিত-কলা, শিল্প-বাণিজ্য ইত্যাদি প্রোজ¦ল হয়ে ফুটে উঠেছে “নারায়ণগঞ্জের সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য” গ্রন্থে। বাংলাদেশের ইতিহাস-চর্চায় বিশেষ অবদান রাখবে শ্রমসাধ্য নিষ্ঠাবান ব্যতিক্রমী এই আকড় গ্রন্থ।
মফিদুল হক: লেখক, গবেষক, ট্রাষ্টি: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র
এছাড়াও পড়ুন:
না’গঞ্জের ৫ উপজেলায় ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ শিশু খাবে ভিটামিন এ ক্যাপসুল
নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি উপজেলায় (সিটি করপোরেশন এলাকা ব্যতীত) ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ৪০ হাজার ৫০৬ জন শিশুকে শনিবার (১৫ মার্চ) খাওয়ানো হবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সাংবাদিক ওরিয়েন্টন সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ. ফ ম. মুশিউর রহমান জানান, জেলার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৪২ হাজার ২৪৯ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ও ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৯৮ হাজার ২১২ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এছাড়া শিশুকে জন্মের ৬ (ছয়) মাস পর্যন্ত বুকের দুধ পান করাতে হবে এবং শিশুর বয়স ৬মাস পূর্ন হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরী সুষম খাবার খাওয়ানো বিষয়ে পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হইবে।
অত্র জেলায় (সিটি করপোরেশন ব্যতিত) স্থায়ী ও অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র ১ হাজার ৫৬টি, প্রতি কেন্দ্রে মোট ৩ জন (স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীসহ) শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন কার্যক্রম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
দিবসটি পালনের জন্য সর্বস্তরের জনগোষ্ঠিকে অবহিত করার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের মাধ্যমে সর্বত্র মাইকে প্রচারনার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তাছাড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিবসটি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেছেন।
জেলা তথ্য বিভাগ এর মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও মাইকিং এর মাধ্যমে জনগণের মাঝে সচেতনতা মূলক প্রচারনা অব্যাহত আছে। এছাড়াও জেলার মসজিদগুলোতে মাইকের মাধ্যমে জানানোর জন্য ইমামদের প্রতি নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে।
যেসব এলাকায় শিশুদের বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেসব এলাকাগুলোতেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ইটভাটা, বেদেপল্লী, পথশিশু, চর এলাকা, এতিমখানা, বস্তিসহ অন্যান্য দুর্গম এলাকাগুলোতে ক্যাম্পেইনের পরবর্তী ৪ দিন অনুসন্ধান চালানো হবে।
কোন শিশু যদি ক্যাম্পেইনের দিন বাদ পড়ে যায় তাহলে পরেও স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খেতে পারবে।
জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. একেএম মেহেদী হাসান।
সভায় অন্যান্যদের আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইমুনাইজেশন মেডিকেল অফিসার ডা. মোরশেদুল ইসলাম খান, ডা. নাসিরুল হক, স্টোর কিপার ইব্রাহীম খান, শওকত জামান, পরিসংখ্যানবিদ মো. সাইফুল সালমান প্রমূখ।