চট্টগ্রামে ১৬তম বারের মতো আবাসন মেলা করতে যাচ্ছে আবাসনশিল্পের মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। চার দিনের এ মেলায় ৪২টি স্টলে আবাসন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভবন নির্মাণসামগ্রী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলে আগামী বৃহস্পতিবার মেলা শুরু হবে। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুরুল করিম ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। দুপুরে নগরের ২ নম্বর গেটে রিহ্যাবের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, সারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দিন আহম্মদ, মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, আবাসন খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নির্মাণ খাতের অবদান ১৫ শতাংশ। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক এই খাতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কিন্তু আবাসন খাত নানা সংকটে জর্জরিত। রড-সিমেন্টের দাম কিছুটা কমলেও ক্রেতা মিলছে না।

দেলোয়ার হোসেন আবাসন খাতের সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, এই মুহূর্তে আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ। ২০২২ সাল থেকে নতুন ড্যাপের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বাড়িভাড়া ও ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় গোল্ডেন স্পনসর থাকছে দুটি, কো-স্পনসর ১৪টি এবং ৫টি নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, ৫টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ও ১৬টি আবাসন প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। গোল্ডেন স্পনসর হিসেবে থাকছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড ও উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড।

প্রতিদিন (উদ্বোধনের দিন ছাড়া) সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার ফটক ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একবার প্রবেশের জন্য ৫০ টাকা এবং চারবার প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা।

প্রতি বর্গফুটে বেড়েছে ১-২ হাজার টাকা

ফ্ল্যাট কিংবা অ্যাপার্টমেন্টের দাম নির্ভর করে ভবনের অবস্থান, আকার, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা বিষয়ের ওপর। যেমন চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদে এক রকম দাম, আবার আগ্রাবাদে অন্য রকম। আবাসন খাতের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বর্গফুটে ১ থেকে ২ হাজার টাকা বেড়েছে।

ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো.

সাইফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামালের বাড়তি দাম ও ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বর্গফুটে ১ থেকে ২ হাজার টাকা বেড়েছে। তাঁদের ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুটে ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর কমার্শিয়ালে দাম পড়ছে ১৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

র‍্যানকন এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড এরই মধ্যে চট্টগ্রামে ২০টি প্রকল্প হস্তান্তর করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ওয়াজুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ক্রেতারা খোলামেলা, আলো-বাতাসপূর্ণ ফ্ল্যাটের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। একই ভবনে অনেক সুবিধা খোঁজেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে চার দিনের আবাসন মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

চট্টগ্রামে ১৬তম বারের মতো আবাসন মেলা করতে যাচ্ছে আবাসনশিল্পের মালিকদের সংগঠন রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)। চার দিনের এ মেলায় ৪২টি স্টলে আবাসন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ভবন নির্মাণসামগ্রী ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। নগরের রেডিসন ব্লু হোটেলে আগামী বৃহস্পতিবার মেলা শুরু হবে। উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি থাকবেন সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নুরুল করিম ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ।

আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন। দুপুরে নগরের ২ নম্বর গেটে রিহ্যাবের চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সদস্য সৈয়দ ইরফানুল আলম, সারিস্থ বিনতে নূর, নূর উদ্দিন আহম্মদ, মোহাম্মদ মাঈনুল হাসান প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, আবাসন খাত দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নির্মাণ খাতের অবদান ১৫ শতাংশ। প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিক এই খাতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কিন্তু আবাসন খাত নানা সংকটে জর্জরিত। রড-সিমেন্টের দাম কিছুটা কমলেও ক্রেতা মিলছে না।

দেলোয়ার হোসেন আবাসন খাতের সংকটের কথা তুলে ধরে বলেন, এই মুহূর্তে আবাসন খাতের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ। ২০২২ সাল থেকে নতুন ড্যাপের কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর বাড়িভাড়া ও ফ্ল্যাটের দাম বেড়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের মেলায় গোল্ডেন স্পনসর থাকছে দুটি, কো-স্পনসর ১৪টি এবং ৫টি নির্মাণসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান, ৫টি অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান ও ১৬টি আবাসন প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। গোল্ডেন স্পনসর হিসেবে থাকছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড ও উইকন প্রপার্টিজ লিমিটেড।

প্রতিদিন (উদ্বোধনের দিন ছাড়া) সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলার ফটক ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। মেলায় প্রবেশের জন্য দুই ধরনের টিকিট থাকছে। একবার প্রবেশের জন্য ৫০ টাকা এবং চারবার প্রবেশের জন্য টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা।

প্রতি বর্গফুটে বেড়েছে ১-২ হাজার টাকা

ফ্ল্যাট কিংবা অ্যাপার্টমেন্টের দাম নির্ভর করে ভবনের অবস্থান, আকার, সুযোগ-সুবিধাসহ নানা বিষয়ের ওপর। যেমন চট্টগ্রাম নগরের নাসিরাবাদে এক রকম দাম, আবার আগ্রাবাদে অন্য রকম। আবাসন খাতের কর্তাব্যক্তিরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় এবার প্রতি বর্গফুটে ১ থেকে ২ হাজার টাকা বেড়েছে।

ইকুইটি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্টের ব্যবস্থাপক (বিক্রয়) মো. সাইফুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামালের বাড়তি দাম ও ব্যাংকঋণের সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় প্রতি বর্গফুটে ১ থেকে ২ হাজার টাকা বেড়েছে। তাঁদের ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুটে ৮ থেকে ১১ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর কমার্শিয়ালে দাম পড়ছে ১৫ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

র‍্যানকন এফসি প্রপার্টিজ লিমিটেড এরই মধ্যে চট্টগ্রামে ২০টি প্রকল্প হস্তান্তর করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উপব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ওয়াজুদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ক্রেতারা খোলামেলা, আলো-বাতাসপূর্ণ ফ্ল্যাটের দিকে বেশি ঝুঁকছেন। একই ভবনে অনেক সুবিধা খোঁজেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ