শ্রীপুরে বকেয়া পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
Published: 11th, February 2025 GMT
গাজীপুরের শ্রীপুরে ছুটির বকেয়া টাকা পরিশোধসহ বিভিন্ন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের সলিং মোড় এলাকা অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকেরা। চার ঘণ্টা পর দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা সড়ক ছেড়ে চলে যান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার ক্রাউন ওলেন ওয়্যার কারখানার শ্রমিকদের ২০২৩ ও ২০২৪ সালের ছুটির টাকা বাকি পড়ে আছে। এর পাশাপাশি ঈদ বোনাস, টিফিন বিল, হাজিরা বোনাস দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন তাঁরা। এ ছাড়া কথায় কথায় শ্রমিক ছাঁটাই, শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বন্ধ করা এবং শ্রমিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণের জড়িত এক কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টা থেকে ওই এলাকার ক্রাউন ওলেন ওয়্যার কারখানার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রাখেন শ্রমিকেরা। এ সময় ওই সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেলা ১টায় কারখানা কর্তৃপক্ষ কিছু দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তাঁরা সড়ক থেকে সরে গিয়ে কারখানার আশপাশে অবস্থান নেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের একজন আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমাদের বকেয়া টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও তারা তা করছেন না।’ অপর শ্রমিক মো.
একই কারখানার অপর শ্রমিক তানিয়া আক্তার বলেন, এমনিতেই স্বল্প টাকা বেতন পান তাঁরা; তার ওপর যদি বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে শ্রমিদের জীবন যাপন করা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এ বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁরা মূল ফটক বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছেন।
শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব–জোনের ইনচার্জ মো. আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিভিন্ন দাবি আদায়ের জন্য শ্রমিকেরা রাস্তা অবরোধ করেছিল। পরে আমরা দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমাধান করেছি। বেশির ভাগ দাবি মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর পর শ্রমিকেরা রাস্তা ছেড়ে চলে আসে। কারখানার মালিক এসে বাকি দাবিদাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এখন সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর শ ধ
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনা আলমের মুক্তিসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন বিলোপের দাবি
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই আইন বিলোপেরও দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
বিবৃতিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারি আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’
মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়।
বিবৃতিতে অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায় গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।