নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের ব্রহ্মোত্তর পশ্চিমপাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে আটটি পরিবারের ৩০টি ঘর পুড়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে আটটায় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা জানান, সেকেন্দার আলীর বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে আসবাব, ইলেকট্রনিকসামগ্রী, ধান, চাল, টাকাসহ সব ধরনের মালামাল পুড়ে যায়। এ ছাড়া দুটি গরু ও দুটি ছাগল পুড়ে মারা গেছে। তবে কোনো হতাহত হয়নি।

আগুন লাগার খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ছুটে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছিল না তারা। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল অগ্নিকাণ্ডের ৩০ মিনিট পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় প্রায় দুই ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ক্ষতিগ্রস্ত সেকেন্দার দাবি করেন, তাঁর দুটি আধা পাকা টিনশেড ঘরসহ ঘরে থাকা মালামাল পুড়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তাঁর ভাই সাইদুল ইসলামেরও সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। বাদশা মিয়ার পরিবারের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে প্রতিবেশী আবদুল কাদের ও তাঁর সন্তানদের সাতটি থাকার ঘর, দুটি রান্নাঘর, ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও একটি গরু আগুনে পুড়ে যায়। এতে তাঁদের প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লানচু হাসান চৌধুরী বলেন, আগুনের ভয়াবহতায় আটটি পরিবার নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কম্বল ও শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

বনে-জঙ্গলে নয়, সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মারা ‘ডেভিলদের’ আগে ধরুন: মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ডেভিল হান্ট অপারেশন করেছেন ঠিক আছে, কিন্তু বনে-জঙ্গলে ডেভিল না খুঁজে সরকারি দপ্তরে ঘাপটি মেরে থাকাদের খুঁজে বের করুন। সরকারের সব প্রতিষ্ঠানে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মারা বসে আছে। এরাই এই সরকারকে ভুল পথে পরিচালিত করার চেষ্টা করছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানা বিএনপি আয়োজিত ‘রাষ্ট্র সংস্কারে তারেক রহমানের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে এ কর্মশালা সঞ্চালক ছিলেন সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন। 

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা আন্দোলন করেছি সংসদ নির্বাচনের জন্য। আর কেউ কেউ চাচ্ছেন স্থানীয় নির্বাচন। তারা জানেন না, গর্তে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা স্থানীয় নির্বাচনে ফাঁক-ফোকর দিয়ে মাথা বের করবে। এটা অশুভ চক্রান্ত। সতর্ক থাকতে হবে যেন কোনো ষড়যন্ত্র জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দিতে না পারে।

সমাবেশে ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচির উপস্থাপন ও বিশ্লেষণ করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দল সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবিব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি নেতা শামছুল হুদা, ইউনূস মৃধা, যুগ্ম আহ্বায়ক হারুন উর রশীদ হারুন, লিটন মাহমুদ, হাজী মনির হোসেন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ