৭ বছর পর চুরির মামলায় দুই সাংবাদিক আসামি
Published: 11th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামে ৭ বছর ২ মাস পর দোকানে চুরি ও লুটপাটের ঘটনায় দুই সাংবাদিককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ।
মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি দুই সাংবাদিক হলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক এবং নিউজ টুয়েন্টি ফোর টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য।
মামলার বাদী মাহফুজার রহমান অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর যুবলীগের নেতার নেতৃত্বে আসামিরা তার দোকানে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে মারধর ও লুটপাট করেন, যার ফলে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আব্দুল খালেক ফারুক ও হুমায়ুন কবির সূর্য দাবি করেছেন, তারা কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ জানান, দুই সাংবাদিকই পেশাদার এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ভোরের আলোয় আলোর পথযাত্রার আহ্বানে ছায়ানটের বর্ষবরণ
ভোরের আলো সবে এসে স্পর্শ বুলিয়ে দিয়েছে রমনার নিবিড় সবুজ পাতায় পাতায়। তারও আগে ঘুমের জড়তা কাটিয়ে উৎসবের সাজে সেজে দলে দলে নারী-পুরুষ এসে সমবেত হয়েছেন বটমূল চত্বরে। বটমূলের মঞ্চে সারি দিয়ে বসেছেন ছায়ানটের সংগীত ও যন্ত্রশিল্পীরা। উষার আলো ফুটতেই সুপ্রিয়া দাস ছড়িয়ে দিলেন প্রভাতের ভৈরবী রাগালাপ। তাঁর কণ্ঠের সুরে সুরে আজ সোমবার সূচনা হলো বাংলা ১৪৩২ সনকে স্বাগত জানিয়ে ছায়ানটের বাণী ও সুরের প্রভাতি আয়োজন।
ছায়ানটের এবারের আয়োজনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’। দেশ, মানুষ, প্রকৃতিকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আঁধার পেরিয়ে আলোর পানে যাত্রার আহ্বান ছিল আজকের আয়োজনে। এবার ৫৮ তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন। তারা শুরু করেছিল ১৯৬৭ সালে। তখন চলছিল আইয়ুব খানের কঠিন সামরিক শাসন। পূর্ব পাকিস্তানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। ছায়ানট সেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাঙালি সংস্কৃতির জাগরণে বিপুল উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আয়োজন করেছিল পয়লা বৈশাখে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। তার পর থেকে বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে দেশের এই ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। রমনার বটমূলে ২০০১ সালে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঘটে ভয়ংকর বোমা হামলা। কিন্তু তাতে অভীষ্ট লক্ষ্যের দিকে ছায়ানটের অগ্রযাত্রা থেমে যায়নি। বরং আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে নতুন উদ্যমে তাদের সাংস্কৃতিক জাগরণের অভিযাত্রা অব্যাহত রয়েছে। তাদের এই নববর্ষের অনুষ্ঠান কালক্রমে বহু সাংস্কৃতিক সংগঠনকে অনুপ্রাণিত করেছে। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান দেশের ধর্ম–বর্ণনির্বিশেষে সব মানুষের সবচেয়ে বড় প্রাণের উৎসবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে ছায়ানটের এই প্রভাতি আয়োজনের রয়েছে বিপুল অবদান।
এবার ৫৮তম বারের মতো রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হলো ছায়ানটের এই আয়োজন