কুড়িগ্রামে ৭ বছর ২ মাস পর দোকানে চুরি ও লুটপাটের ঘটনায় দুই সাংবাদিককে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার কুড়িগ্রাম সদর থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুল্লাহ।

মামলায় কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামি দুই সাংবাদিক হলেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন ও দৈনিক কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আব্দুল খালেক ফারুক এবং নিউজ টুয়েন্টি ফোর টেলিভিশন ও দৈনিক সংবাদের জেলা প্রতিনিধি হুমায়ুন কবির সূর্য।

মামলার বাদী মাহফুজার রহমান অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর যুবলীগের নেতার নেতৃত্বে আসামিরা তার দোকানে চাঁদা দাবি করতে গিয়ে মারধর ও লুটপাট করেন, যার ফলে প্রায় ২৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে সাংবাদিক আব্দুল খালেক ফারুক ও হুমায়ুন কবির সূর্য দাবি করেছেন, তারা কখনও কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ জানান, দুই সাংবাদিকই পেশাদার এবং তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা শুধুমাত্র হয়রানির উদ্দেশ্যে।

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.

হাবিবুল্লাহ জানান, মামলা দায়ের হওয়ায় আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ