ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছেন সাইফ আলী খান। হামলার ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে একটু একটু করে মুখ খুলছেন তিনি। এরই মধ্যে নিজের সিনেমা প্রচারে একটি ইভেন্টে অংশ নেন ছোট নবাব। এবার শুটিং ফ্লোরে ফিরছেন সাইফপত্নী কারিনা কাপুর খান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল। যা দেখে প্রাথমিক সহজেই অনুমান করা যাচ্ছে, কাজে ফিরলেন কারিনা। সোয়েট শার্টের সঙ্গে জগার্স, রোদ চশমা আর সাদা স্নিকারে ভ্যানিটি ভ্যানের দিকে এগিয়ে যেতেই শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত সবাই। এদিনও নিরাপত্তারক্ষীরা ঘিরে রেখেছিলেন কারিনাকে।

এর আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন কারিনা। বলেন, ‘আমাদের পরিবার কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যে বিষয়গুলো নজরে আসেনি সেগুলো রং মাখিয়ে সামনে আনার চেষ্টা চলছে। এরকম একটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যম ও পাপারাৎজ্জিরা এই প্রচার বন্ধ করুন।’

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও একটি রহস্যময় পোস্ট করেন বেবো। সেখানে লেখেন, ‘বিয়ে, বিবাহবিচ্ছেদ, মনের ভেতর প্রবল চাপ, সন্তান জন্ম দেওয়া, ভালবাসার মানুষের মৃত্যু আর মা-বাবা হিসেবে দায়িত্ব পালন- যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার সঙ্গে এগুলো ঘটছে ততক্ষণ পর্যন্ত সত্যিই উপলব্ধি করতে পারবেন না। যখন আপনার জীবনে এই কঠিন সময় আসবে তখন বাস্তবটা বুঝতে পারবেন। তার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত নিজেকে স্মার্ট মনে হবে।’ তবে এই পোস্টের নেপথ্যে কি সেটা অবশ্য খোলসা করেননি সাইফপত্নী। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে ৯ বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।

অভিযুক্ত ধর্ষক স্কুলছাত্র মোহাম্মদ (১৫) রায়গঞ্জের পাঙ্গাসী ইউনিয়নের নারুয়া গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে। 

শুক্রবার (১৪ মার্চ) রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। 

এরআগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাতে নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নাড়ুয়া গ্রামের আব্দুল আলীমের বাড়িতে শিশু যত্ন কেন্দ্র রয়েছে। গত রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে ওই বাড়িতে ছোট ভাই-বোনকে রেখে আসতে যায় নির্যাতিত শিশুটি। এ সময় মোহাম্মদ আলী শিশুটিকে কৌশলে নিজ ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। একই দিন বিকেলে শিশুটি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের লোকজনকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। 

ভুক্তভোগীর বাবা বাড়িতে না থাকায় পরের দিন সোমবার পরিবারের স্বজনেরা শিশুকে সিরাজগঞ্জ শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসক দেখিয়ে ওষুধপত্র নিয়ে বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু তার অবস্থা ক্রমেই অবনতির দিকে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ডা. রায়হান খন্দকার জানান, বর্তমানে শিশুটি আশংকামুক্ত। ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।  রিপোর্ট হাতে পাওয়া গেলে বিস্তারিত জানা যাবে। 

ঢাকা/অদিত্য/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ