প্রতিশ্রুতি রাখা-ভাঙা নিয়ে যা ভাবেন শ্রাবন্তী, অনুপম, পরমব্রত ও পাওলিরা
Published: 11th, February 2025 GMT
সম্পর্ক মানেই আশা এবং প্রত্যাশার মেলবন্ধন । প্রেমিকরা প্রেমের শপথ নিয়ে বলেন, 'প্রিয়, আমি সব সময় তোমার পাশে থাকব, তোমার বিশ্বাস ভাঙব না, আমি তোমার সুখে-দুঃখে সঙ্গী হব । এই প্রতিশ্রুতি একে অপরকে পাশে থাকার ভরসা যোগায় ৷ তাই প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি (প্রমিড সে) প্রতিশ্রুতি দিবস পালিত হয় । এই দিনে সঙ্গীরা একে অপরের কাছে প্রেমের প্রতিশ্রুতি দেয় এবং সারা জীবন একসঙ্গে থাকার শপথ নেয় ।
শোবিজ অঙ্গনেও প্রতিশ্রুতি দেয়া-ভাঙার বিষয়টি স্পষ্ট। জনম জনম ধরে সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি মিলিয়ে যায় মুহুর্তেই। কেউ যেমন ধরে রাখতে চায় নিজের সঙ্গীকে দীর্ঘকাল, তেমনি কেউ কেউ ভঙ্গ করে প্রতিশ্রুতি। নিজের কাছে প্রতিশ্রুতির মুল্য কতটা, সেই অভিমত জানিয়েছেন টালিউডের বেশ কয়েকজন তারকা।
প্রতিশ্রুতি রক্ষা নিয়ে নিজের মনের কাছে ভীষণভাবে পরিষ্কার অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চ্যাটার্জি। প্রেমের সপ্তাহে তার উপলব্ধি, ‘এমন কোনও প্রতিশ্রুতি কাউকে দিতে পারব না, যেটা আমি রক্ষা করতে পারব না। তাই আমি চাইব না, আমার কাছেও কেউ এমন প্রতিশ্রুতি দাবি করুন।’ কথা রাখতে না পারলে যে নিজের মধ্যেই একটা ভীষণ কষ্ট হয়, সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
আবার কাউকে দিয়ে জোর করে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করানোর পক্ষপাতীও তিনি নন। এমনকি ছেলের কাছেও তার সে দাবি নেই।
সঙ্গীতশিল্পী অনুপম রায় কিন্তু মনে করেন, সম্পর্কে প্রতিশ্রুতি না থাকলে সে সম্পর্কটা গড়েই ওঠে না। কিন্তু সেগুলি খুবই ব্যক্তিগত। তাই রাখা বা না-রাখা নিয়ে খুব বেশি ভাবতে বা বাইরের কাউকে জানাতে নারাজ তিনি।
বরং অনুপমের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজেকে দেওয়া কথাগুলি। শিল্পীর কথায়, “অন্যকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করলেও খানিক মিথ্যা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়া যায়। কিন্তু নিজেকে দেওয়া কথা না রাখতে পারলে পার পাওয়া যায় না।”
প্রতিশ্রুতি আসলে ভঙ্গ করার জন্যই যে দেওয়া হয়— মনে করেন অভিনেত্রী পাওলি দামও। তিনি বলেন, “সকলেই যে ইচ্ছা করে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন তা নয়। পরিস্থিতির চাপ থাকে। কিন্তু সেগুলো বোঝা যায়। আমি তাই কথা বলিই কম। আমি কাজে করে দেখাতে চাই।” বলিউডের ভাইজান সালমান খান তাঁর বিখ্যাত সংলাপে বলেন, “একবার কথা দিলে আমি নিজের কথাও আর শুনি না।” সে ভাবেই পাওলিও দাবি করেন, তিনি দেওয়া কথা আজীবন রক্ষা করার চেষ্টা করেন। আবার পরিস্থিতির শিকার হয়ে কেউ কথা রাখতে না পারলেও তেমন দুঃখ পান না অভিনেত্রী। তাই পরিজনদের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত বোঝাপড়াটা ভালই।
প্রতিশ্রুতি দিবস নিয়ে আবার খুব একটা ভাবতে রাজি নন অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চ্যাটার্জি। তার সাফ কথা, এ সব প্রতিশ্রুতির বিষয়-আশয় তার ‘জমে না’। পরমের বক্তব্য, “ভ্যালেন্টাইনস ডে ঠিক আছে, মিষ্টি একটা ব্যাপার। কিন্তু তার আগে-পিছে এতগুলো দিন আমি মনে রাখতে পারি না। খুব একটা প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করি না।” তবে প্রতিশ্রুতি তো কাউকে না কাউকে দিয়েছেন বটেই। পরমের দাবি, তা কোনও দিনক্ষণ মেনে নয়।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ব্র্যাক ব্যাংক ও বিএসআরএম গ্রুপের মধ্যে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ চুক্তি
ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে একটি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রুপ।
ব্র্যাক ব্যাংকের বিভিন্ন বিশেষায়িত ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে বিএসআরএম গ্রুপের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করাই এই পার্টনারশিপের উদ্দেশ্য।
বিএসআরএম গ্রুপ ব্র্যাক ব্যাংকের বিস্তৃত ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক এবং উন্নত প্রযুক্তির সাহায্যে কাস্টমাইজড কর্পোরেট ও ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং সেবাগুলোর সুবিধা গ্রহণ করবে।
২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের সদরঘাটে অবস্থিত বিএসআরএম গ্রুপের কর্পোরেট অফিসে এই পার্টনারশিপ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিএসআরএম গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমীর আলীহোসাইন এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিং তারেক রেফাত উল্লাহ খান।
এছাড়াও বিএসআরএম গ্রুপের পক্ষে ডিরেক্টর যোহায়ের তাহেরালী, হেড অব ফাইন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড কোম্পানি সেক্রেটারি শেখর রঞ্জন কর এফসিএ এবং ব্র্যাক ব্যাংকের হেড অব রিজিওনাল কর্পোরেট কায়েস চৌধুরীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই পার্টনারশিপ উভয় প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি ও পরিচালনাগত উৎকর্ষ সাধনের পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এটি ব্র্যাক ব্যাংকের আধুনিক, দক্ষ ও প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে কর্পোরেট গ্রাহকদের ক্ষমতায়িত করার প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
ঢাকা/সাজ্জাদ/এসবি