বইমেলায় সালাহ উদ্দিন শুভ্র’র উপন্যাস ‘আজাদি’
Published: 11th, February 2025 GMT
জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র লিখেছেন উপন্যাস ‘আজাদি’। এটি জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে লেখা। উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে আদর্শ প্রকাশন। বইমেলার ২৬ নম্বর প্যাভিলিয়নে পাওয়া যাচ্ছে উপন্যাসটি।
সালাহ উদ্দিন শুভ্র উপন্যাসটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘জুলাই অভ্যুত্থানকে সামগ্রিকভাবে ধরার চেষ্টা হয়েছে উপন্যাসে। শহীদ পরিবার, বন্ধু, প্রত্যক্ষদর্শী এবং আমার নিজের অভিজ্ঞতা উপন্যাসে বিবৃত করা হয়েছে। পাশাপাশি রাজনৈতিক অবস্থা, অভ্যুত্থান চলাকালে ব্যক্তি মানুষের মনস্তাত্ত্বিক সংকটকেও তুলে আনা হয়েছে। কোনো একক পক্ষ নয়, সামগ্রিকভাবে সবার অংশগ্রহণে যে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে তার প্রামাণ্য দলিল হয়ে থাকবে উপন্যাসটি।’’
এটি সালাহ উদ্দিন শুভ্র’র ষষ্ঠ উপন্যাস। এ বছরের বইমেলায় ঐতিহ্য থেকে তার ১৫টি গল্প নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করছে ঐতিহ্য। এ ছাড়া পাইওনিয়র থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে ছোটদের অ্যাডভেঞ্চার বই ‘গণভবনের ভূত’।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় এম দিলদার উদ্দিনের ‘গল্পগুচ্ছ’ (১ম খণ্ড)
তসলিমা নাসরীনের বই নিয়ে বইমেলায় হট্টগোল
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল য় উপন য স
এছাড়াও পড়ুন:
তিন চিকিৎসকের স্মরণসভা: আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বললেন আলোচকেরা
দেশের স্বাস্থ্য খাতের তিন উজ্জ্বল নক্ষত্র প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাস, শুভাগত চৌধুরী ও টি এ চৌধুরী মানুষের কল্যাণের জন্য এবং জনগণের কথা চিন্তা করে কাজ করেছেন। তাঁদের আদর্শ ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
আজ শুক্রবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই তিন চিকিৎসককে নিয়ে এক স্মরণসভায় এসব কথা উঠে আসে। বিশিষ্ট স্ত্রীরোগবিশেষজ্ঞ টি এ চৌধুরী (এ এইচ এম তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী), বিশিষ্ট লেখক ও চিকিৎসক শুভাগত চৌধুরী এবং রাজশাহী ক্যানসার হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও রোটারিয়ান প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসকে নিয়ে এই স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই তিন চিকিৎসকই মৃত্যুবরণ করেছেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছে কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম। সহযোগিতায় ছিল ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটি। সভায় চিকিৎসক ও তাঁদের শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এই তিন গুণী চিকিৎসকের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে জানিয়ে জনস্বাস্থ্যবিদ আবু জামিল ফয়সাল বলেন, ‘তাঁরা তিনজনই শিক্ষক, পরামর্শক ও দেশের রত্ন। তাঁদের যে অসমাপ্ত কাজ রয়েছে, সেগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাঁরা লিখতেন। অপ্রকাশিত ও ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা লেখাগুলো একত্র করে তা সামনে আনতে হবে। তাহলেই তাঁদের স্মরণ করা হবে এবং চিন্তাগুলো সবার মাঝে থাকবে।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সদস্য ও অধ্যাপক হালিদা হানুম আখতার বলেন, ‘যেকোনো সমস্যায় তাঁদের কাছ থেকে পরামর্শ পাওয়া যেত। তাঁদের কাজ থেকে শিখতে হবে, কীভাবে তরুণদের উৎসাহিত করতে হয়। তাঁরা হারিয়ে যাননি, তাঁদের নিজেদের কাজের ভেতরে ধারণ করতে হবে।’
টি এ চৌধুরী সম্পর্কে বলতে গিয়ে অধ্যাপক সারিয়া তাসনিম বলেন, ‘তিনি গুরুজনেরও গুরু ছিলেন। তাঁর মতো এমন কর্মঠ ও অর্থবহ জীবন সবাই পায় না। তাঁকে স্মরণ করার পাশাপাশি তাঁর আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করতে হবে।’
শুভাগত চৌধুরীর স্ত্রী কামনা চৌধুরী বলেন, ‘এই তিনজনই সবার মাঝে বেঁচে থাকবেন।’ প্যাট্রিক বিপুল বিশ্বাসের মেয়ে ইপ্সিতা বিশ্বাসও সবার কাজের মাধ্যমেই তাঁর বাবা বেঁচে থাকবেন বলে জানান।
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিটের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই মানুষগুলো অনেক বড় মাপের মানুষ ছিলেন। তাঁরা আমাদের আরেকটু বড় হতে অনুপ্রেরণা দেন।’
অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন কবি মোহন রায়হান, ওয়ার্ল্ড ক্যানসার সোসাইটি বাংলাদেশের সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির প্রমুখ।