সিরাজগঞ্জের সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রী কারাগারে
Published: 11th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম ও তার স্ত্রী জোসনা খানমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালে প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী ড. এম.এ মুহিতের বাড়িতে হামলা, মোটরসাইকেল ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধরের অভিযোগে সম্প্রতি দু'টি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় চয়ন ইসলামকে।
এছাড়া, মামলার সন্দেহভাজন আসামী হিসেবে তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা খানমকেও আটক করা হয়। শাহজাদপুর আমলি আদালতের বিচারক জামিনের আবেদন নাকচ করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় ঘটনার শিকার বিএনপি কর্মী বাদশা মিয়া ও আব্দুল হামিদ দুটি আলাদা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, তার বোন সাবেক এমপি মেরিনা জাহান কবিতা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা ও অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ জন আসামী হিসেবে রয়েছেন।
এছাড়া, চয়ন ইসলাম ও তার বোন মেরিনা জাহান কবিতা আরও একটি মামলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এমপ চয়ন ইসল ম স ব ক এমপ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহভাজন নীরব মোদির সহযোগী চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার
ভারতের পলাতক জুয়েলারি ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ভারতের অন্যতম বড় ব্যাংক জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসার সাত বছর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো। আজ সোমবার তাঁর আইনজীবী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তিনি মুক্তি পেতে আদালতে আপিল করবেন।
ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারত সরকার চোকসিকে গ্রেপ্তারের আগেই তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য বেলজিয়াম সরকারের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছিল।
সম্পদের দিক থেকে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি)। ২০১৮ সালে এই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মুম্বাইয়ের একটি শাখা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে চোকসি ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।
ব্যাংকটি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে একটি ফৌজদারি অভিযোগ জমা দিয়েছে। অভিযোগে ধনকুবের জুয়েলারি ব্যবসায়ী নীরব মোদি এবং তাঁর চাচা ও গীতাঞ্জলি জেমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহুল চোকসিসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁরা পিএনবির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় পুলিশ চোকসি, নীরব মোদি এবং অন্যান্যের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে। এসব লেনদেনে পিএনবির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এই দুই হীরা কারবারি তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০১৮ সালে চোকসি এক চিঠিতে বলেন, আগাম একটি ধারণা নিয়ে সংস্থাগুলো তদন্ত করছে এবং এর মাধ্যমে তারা বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে।
চোকসির আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল আজ সোমবার রয়টার্সকে বলেন, তাঁর মক্কেল ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নেই—এই কারণ দেখিয়ে তাঁর মুক্তির জন্য আপিল করা হবে। তিনিও আরও বলেন, চোকসি বেলজিয়ামে কোনো অপরাধ করেননি।
নীরব মোদির বিরুদ্ধে পিএনবির মামলার বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসার আগেই তিনি ২০১৮ সালের ভারত থেকে পালিয়ে যান। তিনিও ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার হন এবং এখনো তিনি সেখানে আটক আছেন। যদিও এর মধ্যে তিনি একবার প্রত্যর্পণের আপিলে হেরেছেন।
মোদি বেলজিয়ামের হীরা প্রক্রিয়করণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আন্তওয়ার্পেনে বড় হয়েছেন। অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগে থেকেই চোকসি নিয়মিত ওই শহরে যাতায়াত করতেন।
মুম্বাইয়ের হীরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চোকসির আশ্রয় নেওয়ার আদর্শ জায়গা হতে পারত আন্তওয়ার্পেন। কারণ, তিনি সেখানে অনেককে চেনেন এবং সেখানে যাঁরা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, এমন অনেকের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।