ডিসেম্বর মাস ধরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে: ইসি সানাউল্লাহ
Published: 11th, February 2025 GMT
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব না। স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে হলে, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। কমিশনের অগ্রাধিকার জাতীয় নির্বাচন।
তিনি জানান, নির্বাচন কবে হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। সবচেয়ে কাছাকাছি সময় হাতে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।
এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউএনডিপি ও ১৭টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে ইউএনডিপি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কমিশনের বিদেশি দূতদের প্রস্তুতির বিষয়ে জানিয়েছে কমিশন। পরে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন ইসি সানাউল্লাহ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথক সচিবালয়ের জন্য কাজ চলছে অধ্যাদেশ তৈরির
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় তৈরির বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এ-সংক্রান্ত অধ্যাদেশ প্রস্তুতের কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুতগতিতে।
শনিবার খুলনার একটি হোটেলে ‘জুডিশিয়াল ইন্ডিপেন্ডেন্স অ্যান্ড এফিসিয়েন্সি ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট ও ইউএনডিপির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনার হয়।
প্রধান বিচারপতি ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে বিচার বিভাগের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং তাঁর ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ বাস্তবায়নের অগ্রগতির বিবরণ দেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সক্রিয়তার কারণে দ্রুত উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগের অধ্যাদেশ প্রণয়ন সম্ভব হয়েছে। সংস্কারের রোডম্যাপের সফল বাস্তবায়নে সুপ্রিম কোর্ট ও সরকার নিবিড়ভাবে কাজ করছে।
সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, সরকারের সহযোগিতায় সম্প্রতি আদালতগুলোর মামলাজট নিরসনে বিভিন্ন স্তরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বিচারকের পদ সৃজন হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে মামলাজট নিরসনে এ উদ্যোগ ভূমিকা রাখবে। বিশেষায়িত বাণিজ্যিক আদালত তৈরির প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দেশের বিচার বিভাগের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিভাগীয় পর্যায়ে আয়োজিত সেমিনারে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ মতামত এসেছে। সেগুলো অন্তর্ভুক্ত করে শিগগির সুপ্রিম কোর্ট বিচার বিভাগের সার্বিক আধুনিকায়নে একটি কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করবে। এ সময় কক্সবাজারে সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট দ্রুত চালুর বিষয়ে দুটি বিশেষ কমিটি নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতসহ বিচার সেবায় দক্ষতা বৃদ্ধিতে করণীয় সম্পর্কে সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ আলী। এতে বক্তৃতা করেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফান লিলার, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত নিকোলাস উইকস প্রমুখ।