চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস ধরে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে ইউএনডিপির প্রতিনিধিসহ ১৮টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

ইসি সানাউল্লাহ আরও বলেন, স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে সম্ভব না। স্থানীয় নির্বাচন আগে করতে হলে, জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যাবে। কমিশনের অগ্রাধিকার জাতীয় নির্বাচন।

তিনি জানান, নির্বাচন কবে হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত। সবচেয়ে কাছাকাছি সময় হাতে নিয়েই প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন।

এর আগে বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইউএনডিপি ও ১৭টি উন্নয়ন সহযোগী দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অন্য কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে প্রযুক্তি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে ইউএনডিপি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কমিশনের বিদেশি দূতদের প্রস্তুতির বিষয়ে জানিয়েছে কমিশন। পরে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন ইসি সানাউল্লাহ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ডিসেম্বর ধরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, সরকার চাইলে আগে স্থানীয়

আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর বাইরে এ মুহূর্তে অন্য নির্বাচনের প্রস্তুতি ইসি নিচ্ছে না। তবে সরকার চাইলে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজন করবে ইসি।

আজ মঙ্গলবার ইউএনডিপিসহ উন্নয়ন সহযোগী ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক করে ইসি। পরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বরের বক্তব্যে বলেছিলেন, যদি অল্প পরিমাণে সংস্কারসহ নির্বাচন করতে হয় সেখানেই যদি রাজনৈতিক মতৈক্য গিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে পরে এ বছরের শেষ নাগাদ ডিসেম্বর ২০২৫–এ ইলেকশন; আর যদি আরেকটু সংস্কার করার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে ২০২৬–এর জুন নাগাদ ইলেকশন করা সম্ভব।’ আর্লিয়েস্ট ডেটটা ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অবস্থান এখনো অপরিবর্তিত বলে জানান।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, একটি প্রশ্ন এসেছিল, দুটো নির্বাচন একসঙ্গে করা যায় কি না। এতে কেমন সময় লাগতে পারে, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের নির্বাচন একসঙ্গে করা সম্ভব নয়। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, সব কটি স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ধাপে ধাপে করতে গেলে এক বছর সময় লেগে যায়। পুরোপুরি এভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন করতে হলে জাতীয় নির্বাচনের সময় পিছিয়ে যাবে। জাতীয় নির্বাচন এখন নির্বাচন কমিশনের অগ্রাধিকার। নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন নিয়েই এ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের, সেটা সেভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত।

সরকার জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলে নির্বাচন কমিশন তা বাস্তবায়ন করবে বলে জানান এই নির্বাচন কমিশনার।

আরেক প্রশ্নের জবাবে আবুল ফজল বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন কতটুকু হবে, কোন কোন প্রতিষ্ঠানের হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখন ইসি বলতে পারবে, এটা জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে কি না। তার আগে এটি বলা সম্ভব নয়।

ইউএনডিপি ছাড়াও বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, যুক্তরাজ্য, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, কানাডা, জার্মানি, চীন, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, সুইডেন, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ইইউ, তুরস্কের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিসেম্বর ধরেই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি
  • ডিসেম্বর ধরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি, সরকার চাইলে আগে স্থানীয়
  • কক্সবাজার থেকে পায়ে হেঁটে এভারেস্ট জয় করতে যাবেন পর্বতারোহী শাকিল