মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোর সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা, কত বড় জানেন
Published: 11th, February 2025 GMT
আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির (ছায়াপথে) চেয়ে ১৩ হাজার গুণ বড় এক কাঠামোর খোঁজ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ‘কুইপু’ নামের এই কাঠামোকে বলা হচ্ছে মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় কাঠামো। কুইপুর পাশে আরও চারটি দৈত্যকার কাঠামো রয়েছে বলেও জানা গেছে।
মহাবিশ্বের বৃহত্তম এই কাঠামোকে মধ্য আমেরিকার ইনকা সভ্যতার পরিমাপ পদ্ধতির নামানুসারে কুইপু নামকরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, সুপারস্ট্রাকচারটি আশ্চর্যজনকভাবে ১৩০ কোটি আলোকবর্ষজুড়ে বিস্তৃত, যা আমাদের মিল্কিওয়ের দৈর্ঘ্যের ১৩ হাজার গুণ বেশি। ফলে এই কাঠামোর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে যেতে ১৩০ কোটি আলোকবর্ষ সময় লাগবে।
আরও পড়ুনমহাবিশ্বের শুরু কখন২৩ নভেম্বর ২০২৪এত দিন মহাবিশ্বের বৃহত্তম কাঠামোর হিসেবে হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল নামের একটি কাঠামোকে বিবেচনা করা হতো। এই কাঠামো পৃথিবী থেকে এক হাজার কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। তবে কাঠামোটির অস্তিত্ব নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। আর তাই নতুন সন্ধান পাওয়া পাঁচটি সুপার ক্লাস্টার কাঠামো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুনছায়াপথে রহস্যময় বস্তুর সন্ধান, চিন্তায় বিজ্ঞানীরা২০ জুন ২০২৪বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, কুইপু আসলে একটি বিশাল কাঠামো। কোনো শনাক্তকরণ পদ্ধতির সাহায্য ছাড়াই কাঠামোটি পর্যবেক্ষণ করা যাচ্ছে। কুইপুর কারণে মহাকর্ষীয় টানও তৈরি হয়। বর্তমানে সুপারস্ট্রাকচারটি আকারে বিশাল হলেও শিগগিরই ভেঙে যাবে আর তখন স্বাধীনভাবে বিভিন্ন গ্যালাক্সি দেখা যাবে।
সুপার ক্লাস্টার বলতে বিজ্ঞানীরা গ্যালাক্সির সংযুক্তি, গ্যালাক্সি গোষ্ঠী ও পৃথক পৃথক গ্যালাক্সির বিশাল সংগ্রহশালাকে বোঝান। সাধারণত এরা একে অপরের সঙ্গে মহাকর্ষীয়ভাবে আবদ্ধ হয় না। আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি ল্যানিয়াকিয়া সুপারক্লাস্টারের বাইরের প্রান্তে অবস্থিত।
সূত্র: এনডিটিভি
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: এই ক ঠ ম
এছাড়াও পড়ুন:
সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন নোবিপ্রবি উপচার্য
সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। নোবিপ্রবিতেও সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই এবং এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স। এসব নিয়ে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা যারাই করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”
সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
নতুন চুক্তি করতে তুরস্ক সফরে নোবিপ্রবি উপাচার্য
গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “আশা করি এই নববর্ষ আমাদেরকে নতুন উদ্যোমে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে। বিশ্ববিদ্যালয়েকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব হচ্ছে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও নীতি বিরুদ্ধ কিছু করব না।”
এর আগে, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।
এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোছাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দপ্তর সমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী