সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে পরাজিত-পতিত ফ্যাসিবাদীদের হুমকি-ধামকি-উসকানি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তিগুলোর অনৈক্যসহ সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।

সরকারের প্রতি এবি পার্টি আহ্বান জানিয়েছে, জনগণ চূড়ান্তভাবে বিরক্ত হওয়ার আগেই নিজেদের দক্ষতা-দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিন।

অন্তর্বর্তী সরকারের ৬ মাস : ডেভিল হান্ট, সেন্ট্রাল কমান্ড ও নাগরিক প্রত্যাশার হিসাবনিকাশ নিয়ে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান এবি পার্টির নেতারা।

দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জনগণ চূড়ান্তভাবে বিরক্ত হওয়ার আগেই নিজেদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের গত ছয় মাস ছিল নানা প্রতিকূলতাময়। ১৮০ দিনে ১৫০টির মতো আন্দোলন ও অবরোধ গণতান্ত্রিকভাবে তারা মোকাবিলা করেছে। ভারতের ষড়যন্ত্রে সৃষ্ট বন্যা ও সাম্প্রদায়িক সংঘাত বাঁধানোর ঝুঁকি, ব্যাপক নিয়োগ-বদলি, প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিতদের পদোন্নতি ও পদায়ন, দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকল্প বাতিল, হাজার হাজার মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারদের মুক্তি, দেউলিয়া হওয়া আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরানো সর্বোপরি ফ‍্যাসিবাদের রেখে যাওয়া অনিয়ম ও লুটপাটের ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে ঘুরে দাঁড় করানোর বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল তাদের কাঁধে। ছয় মাসে এসব কাজের বিরাট ধকল গেছে এ সরকারের ওপর; সেজন্য তাদের অশেষ ধন্যবাদ ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাদের প্রতি আবারও আমাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি। কিন্তু কথা হলো সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা কী শুধু এসবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? নিশ্চয়ই তা নয়।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। তারা রাষ্ট্রের মেরামত চেয়েছে। তারা শুধু শাসকের পরিবর্তন নয়, শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন চেয়েছে। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ছিল তাদের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা।

সংস্কার ও নির্বাচন প্রশ্নে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষশক্তিগুলোর অনৈক্যে হতাশা প্রকাশ করে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানকে প্রথম দিনই বলেছিলাম আপনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য একটি টিম গঠন করুন কিন্তু একজন উপদেষ্টার অনীহার কারণে তিনি সেটা করেননি। যে দলগুলো জুলাই-আগস্টে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংগ্রাম করেছে তারা আজ একে অপরকে হেয় করে কথা বলছে। অযথা বাক্ যুদ্ধে জড়িয়ে তারা বিভেদ বাড়াচ্ছে; এর দায় সরকার এড়াতে পারে না।

সম্প্রতি সরকারের নেওয়া ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’কে ‘ডিলেইড ডেভিল হান্ট ইনিশিয়েটিভ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অপারেশনের ফলে খুব বেশি ফল আসবে বলে মনে হচ্ছে না। সরকারের উচিত ছিল শুরুতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া। প্রথমদিকে এ ব্যবস্থা নিলে বহু ডেভিল পালাতে পারত না আর চাঁদাবাজি ও দখলবাজি অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণ করা যেত।

সব বাহিনীর সমন্বয়ে সেন্ট্রাল কমান্ড সেন্টার গঠনের বিষয়টিকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দৃঢ় নিয়ন্ত্রণ আছে, সেটা দেখতে চায়।

মঞ্জু পলাতক ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের উপর্যুপরি হুমকি-ধামকি-উসকানির বিষয়ে কতিপয় রাজনৈতিক দলের সুবিধাবাদী অবস্থানের সমালোচনা করে বলেন, কোনো কোনো নেতার দায়সারা গোছের বক্তব্য আমাদের খারাপ লেগেছে। তারা একদিকে সুশীল অবস্থান নিচ্ছেন অন্যদিকে তাদের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণেই ভাঙচুরসহ বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি বলেন, গুম, খুন ও গণহত্যাকারীদের যেকোনো তৎপরতার ব্যাপারে নমনীয়তার কোনো সুযোগ নেই। বিচার ও ক্ষমা চাওয়ার আগে খুনিদের অন্য যেকোনো বক্তব্য ও কার্যক্রমের ব্যাপারে আমরা কড়া অবস্থানের পক্ষে, তবে সেটা অবশ্যই হতে হবে ন্যায়সংগত ও রাজনৈতিকভাবে বুদ্ধিদীপ্ত।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, সরকার বলছে ৫ মাসে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে, অর্থনীতির ১০ শতাংশ উন্নতি হয়েছে। আগামী জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশ কমে আসবে। মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে চলতি বছরে ৯ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে। আমরা এসবের প্রতিফলন বাজারে দেখতে চাই। রমজানে যাতে কোনো হাহাকার না ওঠে। লোডশেডিং পরিস্থিতি যেন মানুষকে বিক্ষুব্ধ না করে।

মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, খেটে খাওয়া মানুষ সংস্কার বা নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত নয়, তারা বেশি চিন্তিত কোনোরকমে খেয়ে পরে বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা নিয়ে। দ্রব্যমূল্য ও নিরাপত্তা নিয়ে জনগণ চূড়ান্তভাবে বিরক্ত হওয়ার আগেই নিজেদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দেওয়ার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে.

কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ খান, নারী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফারাহ নাজ সাত্তার, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব সেলিম খান, দক্ষিণের যুগ্ম সদস্য সচিব আহমেদ বারকাজ নাসির, উত্তরের যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুর রব জামিল, নারায়ণগঞ্জ জেলা সমন্বয়ক শাহজাহান ব্যাপারী, সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, সহকারী দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শরণ চৌধুরী, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, আন্তর্জাতিক বিভাগের সদস্য জাহরা মহজাবিনসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: র জন ত ক অবস থ ন সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার বৈঠক করবে বিএনপি

দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করবে বিএনপি। সোমবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবনে যমুনায় সন্ধ্যা ছয়টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকে বিএনপি নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের অবস্থানের কথা তুলে ধরবেন।

শুক্রবার দলের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারা দেশে ভাঙচুর, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ও সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠকে আরও বলা হয়, দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সমর্থন করছে না বিএনপি। তাদের দৃষ্টিতে গণঅভ্যুত্থানের ছয় মাস পর এই ধরনের ঘটনা ঘটার সুযোগ নেই। এটা নির্বাচন প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র। বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে, তার দায় অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরই বর্তায়। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে। এখন সরকারকেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। নইলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি আরও বাড়বে। 

রাজধানীর গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী সোমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের উদ্বেগ ও দলের অবস্থান তুলে ধরবেন বিএনপি নেতারা। তবে ‘নৈরাজ্যকর’ পরিস্থিতির জন্য কাউকে সরাসরি দোষারোপ করবে না। বিএনপি এই ইস্যুতে কোনো কর্মসূচি দেবে না। এই ঘটনাকে যে বিএনপি সমর্থন করে না, সেটা সভা-সেমিনারের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে। 

জানা গেছে, গতকালের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ সারাদেশে ভাঙচুর ও সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনসহ সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নেতারা মনে করছেন, দেশজুড়ে সংঘটিত ভাঙচুরের ঘটনাগুলো আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রলম্বিত করার ষড়যন্ত্র। তা ছাড়া এটা এক ধরনের ফাঁদ। তাই নেতাকর্মীকে বিশৃঙ্খলা ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে জরুরি নির্দেশনা পাঠিয়ে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে 

বিরোধী পক্ষের বাড়িঘরে আগুন ও ম্যুরাল ভাঙচুরসহ হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়ানো যাবে না। দেশ ও দলের বৃহত্তর স্বার্থে এই নির্দেশ প্রতিটি নেতাকর্মী অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন বলে দলীয়ভাবে প্রত্যাশা করা হয়েছে।

দলটির এক শীর্ষ নেতা বৈঠকে বলেছেন, বিপ্লব ও গণঅভ্যুত্থানের পরপরই নানা ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু এতদিন পরে এসে কেন হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটবে? তাহলে দেশ কি স্থিতিশীল হবে না?

এ বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা বলেছেন, এসব অরাজকতার মূল টার্গেট বিএনপি ও নির্বাচন। একটি রাজনৈতিক দলের ইন্ধনে ছাত্ররা শক্তি প্রদর্শন করছে। নির্বাচনকে প্রলম্বিত করা এর উদ্দেশ্য, যাতে দ্রুত সময়ে রোডম্যাপ ঘোষণা না করা হয়। কারণ, ছাত্ররা নতুন দল গঠন করে সারাদেশে সংগঠনকে সুসংহত করতে যথেষ্ট সময় চায়। অন্যদিকে বিএনপির দাবি, দ্রুত নির্বাচন। আবার নির্বাচনের জন্য দেশি-বিদেশি চাপও বাড়ছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশজুড়ে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। 

সেই সঙ্গে পরিস্থিতির উন্নতি না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য পূরণ হবে না বলেও স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে নেতারা বলেছেন, ন্যূনতম সংস্কার করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য। বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ ও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের দাবিতে রমজান মাস শুরুর আগেই বিভাগ এবং জেলা পর্যায়ে সমাবেশের কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়। আগামী সোমবার কর্মসূচি ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। 

বৈঠকে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে ২০১৪ সালে বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে রাতের ভোট এবং ২০২৪ সালে ডামি প্রার্থীর নির্বাচন হয়েছে। এসব নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আর দ্রুতই জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। 

বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান ও মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। 

দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। হস্পতিবার রাতে এক বিবৃতিতে বলা হয়, এর ব্যত্যয় হলে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির প্রসার ঘটবে। তাই কঠোরভাবে আইনশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করে রাষ্ট্র ও সরকারের ভূমিকা দৃশ্যমান করাটাই এখন সময়ের দাবি।

উদ্বেগ প্রকাশ করে এতে বলা হয়, সরকার চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষমতা প্রকাশ করতে না পারলে রাষ্ট্র ও সরকারের স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়বে। উগ্র নৈরাজ্যবাদী গণতন্ত্রবিরোধী দেশি-বিদেশি অপশক্তির পাশাপাশি পরাজিত ফ্যাসিস্টদের পুনরুত্থানের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে, যার উপসর্গ ইতোমধ্যে দৃশ্যমান। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখনও প্রশাসনকে পতিত ফ্যাসিস্ট শাসকের দোসরমুক্ত করা হয়নি। বিচার বিভাগে কর্মরত ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনও বিদ্যমান। গণঅভ্যুত্থানবিরোধী সক্রিয় সদস্যরা এখনও পুলিশ প্রশাসনে কর্মরত। এ অবস্থায় সরকার জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে সফলতা অর্জন করতে পারবে কিনা, তা যথেষ্ট সন্দেহের উদ্রেক করে।

বর্তমান সরকার গত ছয় মাসেও পলাতক স্বৈরাচার ও তাদের দোসরদের আইনের আওতায় আনতে যথেষ্ট কার্যকর পদক্ষেপ জনসম্মুখে দৃশ্যমান করতে সফল হয়নি বলে জনগণের মনে হয়েছে। ফলে জনগণ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার মতো বেআইনি কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত হচ্ছে। একটি সরকার বহাল থাকা অবস্থায়, জনগণ এভাবে নিজের হাতে আইন তুলে নিলে, দেশে-বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। অথচ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী জনগণের প্রত্যাশা ছিল– আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে, যা বর্তমান সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। তা ছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা ধরনের দাবি নিয়ে যখন-তখন সড়কে ‘মব কালচারের’ মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে, যা নিয়ে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুনশিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন, আশ্বস্ত করল সরকার
  • অন্তর্বর্তী সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে মুনশিয়ানা দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
  • কোনো অজুহাতেই নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না
  • ঘরে ঘরে আওয়ামী লীগের আমলের তৈরি ডেভিল বইসা রইছে: শামা ওবায়েদ
  • মেক্সিকোতে বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে মুশফিকুল ফজল আনসারীর মতবিনিময়
  • ‘শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ’
  • যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শত শত কোটি ডলারের জালিয়াতি প্রকাশে সহায়তা করবেন ইলন মাস্ক : ট্রাম্প
  • সর্বস্তরের মানুষের খাদ্য অধিকার নিশ্চিত করতে খানির বার্ষিক পরিকল্পনা সভা 
  • চলমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সোমবার বৈঠক করবে বিএনপি