প্রায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত এক কমিটি বাল্লাসহ অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন ৬টি স্থলবন্দর বন্ধের এই সুপারিশ করে।

কমিটির সদস্যরা নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সভায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.

) এম সাখাওয়াত হোসেনের সামনে সুপারিশটি উত্থাপন করেন।

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এগুলো দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি। অধিকন্তু এর মাধ্যমে দেশের অর্থ অপচয় হয়েছে।”

জানা যায়, সাবেক নৌসচিব অশোক মাধব রায়ের ইচ্ছায় ৪৯ কোটি টাকায় বাল্লা স্থলবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প নেওয়া হয়। সাড়ে ছয় বছর আগে নেওয়া এই প্রকল্প ২০২৩ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়। এই প্রকল্পের আওতায় একটি আদর্শ স্থলবন্দরে যা কিছু দরকার, তার সব কিছুই নির্মাণ করা হয়। ইয়ার্ড, ওজন মাপার যন্ত্র, অফিস ভবন, ডরমিটরি, সীমানাপ্রাচীর, সড়ক, বিভিন্ন পরিষেবার সব সুবিধাই এখানে রয়েছে। তবে পাশের দেশ ভারতে পর্যাপ্ত অবকাঠামো না থাকায় এ স্থলবন্দরটি চালু হয়নি।

অতীতে দেশের যত স্থলবন্দর উন্নয়ন করা হয়েছে, তার প্রতিটির বিপরীতে ভারতীয় অংশে অন্তত একটি শুল্কস্টেশন ছিল। কিন্তু বাল্লা স্থলবন্দর প্রকল্পের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে।

স্থলবন্দর স্থাপনে প্রভাবশালীদের হাত প্রভাব খাঁটিয়ে স্থলবন্দর ঘোষণার ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। মূলত স্থানীয় জনগণের কাছে রাজনৈতিক সুবিধা বা সহমর্মিতা পেতে প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা স্থলবন্দর ঘোষণা ও অবকাঠামো উন্নয়নে বেশি মনোযোগী হন।

ঢাকা/মামুন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প মন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন ৬ স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ছয়টি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর প্রাথমিকভাবে বন্ধ ঘোষণার সুপারিশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি স্থলবন্দর কার্যকর বা অকার্যকরের বিষয় যাচাইয়ের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয় থেকে গঠিত কমিটি এ সুপারিশ করে।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের কাছে কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এর আগে কমিটি নির্ধারিত স্থলবন্দরগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করেন।  
ওই ছয়টি স্থলবন্দর হলো— নীলফামারীর চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর, রাঙ্গামাটির তেগামুগ স্থলবন্দর, দিনাজপুরের বিরল স্থলবন্দর, ময়মনসিংহের কড়ইতলী স্থলবন্দর এবং হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দর।

সভায় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “বিগত সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে, যা রাষ্ট্রের জন্য কোনো কল্যাণ বয়ে আনেনি, বরং রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় হয়েছে। একটি উপজেলায় অপেক্ষাকৃত কম দূরত্বে দুটি স্থলবন্দরও নির্মাণ করা হয়েছে। দেশের জনগণের উন্নয়নের জন্য যেটি মঙ্গলজনক হবে সে সব স্থলবন্দর সচল রাখা হবে।”

অর্থনৈতিক কার্যক্রম না থাকা এবং রাষ্ট্রের জন্য লাভজনক না হওয়ায় ওই স্থলবন্দরগুলোর কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া, এসব স্থলবন্দরের ভারতের অংশে উপযুক্ত কোনো স্থাপনাও গড়ে উঠেনি। তবে বাংলাদেশ অংশে স্থলবন্দরের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা বা অবকাঠামো ও যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় ওই বন্দরগুলোর বিষয়ে অধিকতর যাচাইয়ের লক্ষ্যে পদক্ষেপ নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ এএএম/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন ৬ স্থলবন্দর বন্ধের সুপারিশ
  • ঘুমধুমে স্থলবন্দর করার পরিকল্পনা সরকারের: নৌপরিবহন উপদেষ্টা