রোহিত-কোহলিদের ভারতকে তিন দিনেই হারাত তাঁর দল, দাবি রানাতুঙ্গার
Published: 11th, February 2025 GMT
টেস্টে ভারতের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গত অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের কাছে ঘরের মাঠে ৩-০ তে সিরিজ হার। যেটি ছিল ঘরের মাঠে এই সংস্করণে এক যুগ পর ভারতের সিরিজ হার। এরপর ভারত হেরেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও (৩-১)।
তাতে টানা দুইবার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলা ভারত এবার ফাইনালের আগেই বাদ। বাজে সময় কাটানো ভারতের এই টেস্ট দলকে কথা দিয়েই উড়িয়ে দিলেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা। শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের দাবি, ভারতের বর্তমান টেস্ট দল তাঁর দলের কাছে হেরে যেত তিন দিনেই।
রানাতুঙ্গা বলেছেন ভারতকে তিন দিনের মধ্যে হারানোর মূল কারিগর হতেন দুই বোলার—চামিন্ডা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরন। দ্য টেলিগ্রাফকে রানাতুঙ্গা বলেন এদের সামনে বিরাট কোহলিরা মুখ থুবড়ে পড়ত, ‘চামিন্ডা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরনের মতো বোলার থাকলে আমার দল এই ভারতকে তিন দিনে হারাত।’
মূল সমস্যাটা আসলে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের। বোর্ডের ব্যবস্থাপনা কমিটি দুর্নীতিবাজ, সেটাই সব সমস্যার মূলশ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গারানাতুঙ্গার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। যদিও সেই শ্রীলঙ্কার এখন আর তেমন দাপট নেই। রানাতুঙ্গা, অরবিন্দ ডি সিলভাদের ব্যাটিং দেখার জন্য একসময় মানুষ টিভির সামনে বসত। এরপর মাহেলা জয়াবর্ধনে আর কুমার সাঙ্গাকারা মাতিয়েছেন মাঠ। আর এখন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং বিভাগ রসকষহীন!
আরও পড়ুনগ্রুপ পর্বে শরফুদ্দৌলার দুই ম্যাচ ও বাংলাদেশের ম্যাচে আম্পায়ার কারা২ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার কাছে ঘরের মাঠে ২-০ তে সিরিজ হেরেছে তারা। রানাতুঙ্গা অবশ্য মনে করেন, এখনো প্রতিভার ঘাটতি নেই শ্রীলঙ্কায়।
অর্জুনা রানাতুঙ্গা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর: বাপ্পারাজ
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা বাপ্পারাজ। ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। তবে দর্শকের কাছে অভিনেতা বাপ্পারাজ মানেই ব্যর্থ প্রেম বা ট্র্যাজেডির গল্প! অর্থাৎ ত্রিভুজ প্রেম বা স্যাক্রিফাইসের গল্প নির্ভর সিনেমাগুলোর কারণে আজও এই নায়ক বেশ জনপ্রিয়!
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমসাময়িক ব্যস্ততা ও ইন্ডাস্ট্রির নানান বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেতা। প্রায় সময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় উঠে আসা প্রসঙ্গেও নিজের মতামত জানান অভিনেতা। তার মতে, তিন নিজের জায়গায় সবসময় নাম্বার ওয়ান।
বাপ্পারাজকে নিয়ে প্রায়ই ট্রল হয়, অনেকে বলে ছ্যাঁকা খাওয়া নায়কের শুভেচ্ছাদূত তিনি। এটা নিয়ে কোনো দুঃখবোধ কাজ করে কিনা জানতে চাইলে বাপ্পারাজ বলেন, ‘একদমই না। আমি মনে করি, আমার জায়গায় আমি এক নম্বর। আমার অভিনীত চরিত্র সবার মনে জায়গা করেছে বলেই এমনটা হয়েছে, তাই এটাকে ইতিবাচকভাবে দেখি। নিঃসন্দেহে এটা আমার সফলতা। আমাকে যখনই পরিচালকরা গল্প শোনাতেন, চরিত্র নিয়ে কথা বলতেন, তখন আমি বেছেই নিতাম ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্র। আমি নিজেও বুঝতাম, ছ্যাঁকা খাওয়া চরিত্রটাই ক্লিক করবে।’
তিনি বলেন, ‘এখন তো আমার সেই সময় নাই, হিরোইনের পেছনে ছুটে ছুটে গান করব। সত্যি কথা বলতে আমাদের এখানে তো ওই রকম চিত্রনাট্যই হয় না। আমরা যারা, এই যেমন আমিন খান, নাঈম আমাদের মত যারা আছে তাদের নিয়ে গল্প ভাবা হয় না। যা-ও কেউ আমাদের কথা ভাবেন, চিত্রনাট্য করতে গেলে, বলবে, বাবার চরিত্র করো বা করেন। বাবার চরিত্র যে করব, আমাদের তো বাবার মতোও অবস্থা হয় নাই। আমাদের নিয়ে চরিত্র লেখা না হলে কীভাবে কী করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুম্বাইয়ের দিকে তাকালে দেখি, এই বয়সেও অমিতাভ বচ্চনসহ অন্যদের নিয়ে যেভাবে চরিত্র তৈরি হয়, তা সত্যিই অন্য রকম। বয়স্ক যারা, এখনো তাদের পর্দায় যেভাবে উপস্থাপন করে, তা ঠিকঠাকভাবেই করে। আমাদের এখানে গল্প এখনো একই প্যাটার্নের। হয়তো বাবার চরিত্র দরকার হলো, বলল, বাপ্পা ভাই করবেন? আমি বললাম, না, আমি করব না। এরপর দেখা গেল নাঈমের কাছ গেল, সেও করবেন না। এরপর আমিন খানের কাছে গেল, সেও করল না। এরপর এমন একজনকে নিল, যা হয়তো নিতে হবে বলেই নেওয়া। তাই বলব, আমাদের এখানে কাউকে ভেবে চরিত্র তৈরি হচ্ছে না।’
ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান বেহাল দশায় পরিচালক-প্রযোজকদের ভূমিকা ও মুল সমস্যা প্রসঙ্গে এ অভিনেতা বলেন, কিছুদিন আগে ছোট্ট একটা টিজারে দেখা গিয়েছিল বাপ্পারাজকে। অবশেষে অভিনয়ে ফিরছেন তিনি। নিজের আসন্ন এ কাজ প্রসঙ্গে বাপ্পারাজ বলেন, ‘ওটা একটি ওয়েব সিরিজ। মোস্তফা খান শিহান বানাবে। সিরিজের প্রতিটা চরিত্রের ওপর একটা করে টিজার বানিয়েছে। বানানোর পর চুপচাপ ছিল, ভাবছিল পরে প্রকাশ করবে। কিন্তু হেনা-বকুল নিয়ে এত মাতামাতি শুরু হলো, তার মধ্যেই এটি ছেড়ে দিয়েছে। সময় ও সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। সিরিজটির নাম ‘রক্তঋণ’। কোনো চ্যানেলের সঙ্গে চূড়ান্ত হলে তবেই শূটিং শুরু হবে। এটি আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব সিরিজ হতে যাচ্ছে। বিষয়বস্তুর কারণে সিরিজটিতে কাজ করতে রাজি হয়েছি। যেমন এটার মধ্যে হিরোইন নাই। নাচ-গান নাই। চরিত্রনির্ভর। চরিত্রে অভিনয়ের দুর্দান্ত সুযোগ আছে। ধুমধাম ব্যাপারও আছে।’