মাটির নিচের পানি ব্যবহারে কারখানাকে দিতে হবে কর: সৈয়দা রিজওয়ানা
Published: 11th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, কারখানাগুলোয় ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারে কর বসানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে সরকার।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সাসটেইনেবল এপারেল ফোরামের ষষ্ঠ সংস্করণে যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত মাটির নিচের পানি ব্যবহার করতে সরকারকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না। তবে, এ ব্যাপারে একটি নীতিমালা তৈরিতে কাজ করছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, গার্মেন্টসগুলোয় টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। এপারেল ফোরামের এবারের সংস্করণে অংশ নিচ্ছেন নেদারল্যান্ডসের একটি প্রতিনিধি দল, যেখানে রয়েছে ১৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
দেশটির রাষ্ট্রদূত আন্দ্রে কার্সটেন্স বলেন, তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে শক্তিশালী অবস্থানে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে বাংলাদেশ। বিনিয়োগ ও পরিবেশবান্ধব কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল শিল্প টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনে পুলিশি হামলার বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে মশাল মিছিল করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে এ মিছিল শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, নীলক্ষেত, কাঁটাবন, শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে ‘হত্যাকারীদের বিচার করো, করতে হবে’, ‘খুন ধর্ষণ, নিপীড়ন, রুখে দাও বাংলাদেশ’, ‘খুন-ধর্ষণ হয়নি শেষ, গর্জে উঠো বাংলাদেশ’, ‘আমার বোন মরল কেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জবাব দাও’, ‘অবিলম্বে জাহাঙ্গীরকে অপসারণ করতে হবে’, ‘শিশুরা মরে কেন, প্রশাসন জবাব দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ঢাবির শতাধিক নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতা
কিউএস র্যাঙ্কিংয়ে প্রথমবারের মতো ঢাবির ৯ বিভাগ
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে শিক্ষার্থীরা তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো— ধর্ষণ ও নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনসহ দেশব্যাপী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পুলিশি হামলার বিচার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার; অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়ন ও জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণ; চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা।
এ সময় ধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করা মাগুরার শিশুটির মৃত্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী বলেন, “আমাদের বোনের যন্ত্রণার আগুন আমরা এ মশালের মাধ্যমে প্রজ্বলিত করেছি। তার কি অধিকার ছিল না, নিরাপদে বেঁচে থাকার? রাষ্ট্রের কি দায়িত্ব ছিল না তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার?”
তিনি বলেন, “রাষ্ট্র শিশুটির নিরাপত্তা দেয়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। ব্যর্থতা শিকার করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি ধর্ষণ-নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে নিরাপদ বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী