পদ্মার চরে যুবককে গুলি করে হত্যা
Published: 11th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীর চরে রাজু (১৮) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চর মন্ডল পাড়া ঘাটে তাকে হত্যা করা হয়।
নিহত রাজু ওই ইউনিয়নের বৈরাগীর চর ভাঙ্গা পাড়া গ্রামের ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার গভীর রাতে বৈরাগীর চর মন্ডল পাড়া ঘাটের কাছে পদ্মা নদীর চরে রাজুকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। রাজু গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চরে পড়ে আছে, এ খবর পেয়ে পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। সেখানে চিকিৎসক রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন।
পদ্মার চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। সেখানে চাঁদা আদায় করার অভিযোগ আছে রাজুর বিরুদ্ধে। রাতের আঁধারে পদ্মার চর দিয়ে মাদক পাচার-সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজুকে গুলি করে হত্যা করা হতে পারে, এমন ধারণা পুলিশের।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সুনামগঞ্জে ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব’ উদ্যাপিত
‘বন্ধে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’—এ রকম অসংখ্য কালজয়ী গান ও এর স্রষ্টাকে শ্রদ্ধায় স্মরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব-২০২৫’।
বাউলসম্রাটের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শাহ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো এ উৎসবে সহযোগী ছিল দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বাংলা লোকগানের এই অমর স্রষ্টার স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে কালনী নদীর তীরে উজানধল মাঠে আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসব।
গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি এবং বাউলসম্রাটপুত্র শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)সহ অন্যরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলেন, ‘বিকাশ সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এই সেবাগুলো দেওয়ার পাশাপাশি দেশের আবহমান সংস্কৃতির চর্চায়ও যেন আমরা ভূমিকা রাখতে পারি, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’
বরাবরের মতো এবারও উৎসব আয়োজনে সহযোগিতার জন্য বিকাশ ও গ্রামবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি এবং বাউলসম্রাটপুত্র শাহ নুর জালাল।
সারা দেশ থেকে আসা লোকসংগীতের শিল্পী ও ভক্ত-অনুরাগীরা বাউলসম্রাটের সৃষ্টিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে গান-শ্রদ্ধা-স্মরণে মাতিয়ে রাখেন দুটি রাত। স্থানীয় তরুণ-বৃদ্ধ-নারীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাইরে থেকেও আসা ভক্ত-সুধীজনেরা অংশ হয়ে ওঠেন এই প্রাণের উৎসবের। উৎসব কেন্দ্র করে উজানধল মাঠে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে এবারও জমে ওঠে বর্ণিল মেলা।