বইমেলায় এম দিলদার উদ্দিনের ‘গল্পগুচ্ছ’ (১ম খণ্ড)
Published: 11th, February 2025 GMT
সাংবাদিক এম দিলদার উদ্দিনের ভালবাসার কাহিনী নিয়ে ‘গল্পগুচ্ছ’ (১ম খণ্ড) বইটি পাওয়া যাচ্ছে এবারের অমর একুশে বইমেলায়। বইয়ের সঙ্গে লেখকের পক্ষ থেকে ক্রেতারা উপহার স্বরূপ পাচ্ছেন ৩টি ‘চারাপিতা’ মরিচের বীজ।
বইটিতে ভালবাসার তিনটি গল্প রয়েছে। গল্পগুলো হলো : নলচিরা ঘাটের সেই মেয়েটি, মাটির ঘর ও যাত্রা পথের সঙ্গী। বইটি প্রকাশ করেছে ‘সাহিত্যদেশ’ প্রকাশনী। বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাহিত্যদেশ-এর ৪৯৫ ও ৪৯৬ নম্বর স্টলে আগ্রহী পাঠকেরা বইটি কিনতে পারবেন।
‘গল্পগুচ্ছ’ বইটিতে লেখক তুলে ধরেছেন, প্রেম-ভালবাসা ছেলে-মেয়েদের জীবনটাকে আরো সুন্দর ও সহজ করে দিতে পারে, সুন্দর সম্পর্কের কোন তুলনা নেই। তেমনি আবার এ সম্পর্ক ঝামেলায় ফেলে জীবনটাকে ধ্বংসও করে দিতে পারে। তবুও একটা ছেলে আর মেয়ের মাঝে প্রেম হয়, ভালবাসা হয়। সব প্রেম-ভালবাসা খাঁটি হয় না। এরমাঝে থাকতে পারে ফাঁদ, থাকতে পারে সীমাহীন যন্ত্রনা। বিশেষ করে ফেসবুকে প্রেম শুরু হয় অতি আবেগ দিয়ে আর এর সমাপ্তি ঘটে ধর্ষণ, যন্ত্রণা আর প্রতারণার মধ্য দিয়ে। তাই কারো সাথে সম্পর্কে জড়ানোর আগে একে অপরের ভেতরের বিষয়গুলোর খোঁজ নেওয়া উচিৎ। হুট করে বা ক্ষণিকের দেখায় মুগ্ধ হয়ে কখনো প্রেমে জড়ানো উচিৎ নয়। সময় নিয়ে একে অপরকে বুঝতে হবে, এ্যাডজাস্ট হবে কিনা সেটাও মাথায় রাখতে হবে। জড়িয়ে গেলে আর পিছনে ফেরা যায় না।
আরো পড়ুন:
তসলিমা নাসরীনের বই নিয়ে বইমেলায় হট্টগোল
বইমেলায় নতুন গল্পগ্রন্থ ‘উলটো বুড়িগঙ্গা’
বইটির মূল্য: ৪০০ টাকা।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বর্ষবরণ উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকছে নানা আয়োজন
পুরোনো বছরকে বিদায় দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ কে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরাই এ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করেছেন।
এবারের শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ থেকে ‘নববর্ষ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘বিপ্লবের সিঁড়ি বেয়ে আসুক নেমে আলো, নববর্ষে মুক্ত জীবন থাকুক আরো ভালো’। এর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকজ শিল্প প্রদর্শনী ও প্রকাশনা উৎসবসহ থাকছে নানা নতুন আয়োজন।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে ঘুরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। নিজেদের দক্ষতা ফুটিয়ে তুলে রংবেরঙের পুতুল, ফুল, টেরাকোটা শিল্প, মাছ, চরকি, অরিগ্যামি পাখি, লোকজ পাখি ও বিভিন্ন আকারের পাখির অবয়ব প্রস্তুত করেন তাঁরা।
দেখা যায় রংতুলি দিয়ে নানা রকম ছবি আঁকছেন তাঁরা, কেউবা গভীর মনোযোগ দিয়ে জলরঙের ছবি আঁকতে মগ্ন। অঙ্কনশৈলীতে তাঁরা নানা দৃশ্যপট ফুটিয়ে তুলেছেন। অনেকে কাঠ ও বাঁশ দিয়ে তৈরি করছেন বিভিন্ন কাঠামো। তৈরি করা হচ্ছে শাপলা ফুল, সূর্যমুখী ফুল, পাখির মকুট, চরকি, তালপাতার সেপাই, লোকজ খেলনা, পাখি, ষাঁড়, গরুর গাড়িসহ গ্রামবাংলার বিভিন্ন শিল্পকে ফুটিয়ে তুলছেন।
ঈদের পর থেকেই বাংলা নতুন বর্ষকে বরণ করতে নানা পরিকল্পনা নেয় চারুকলা অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর রোববার (৮ মার্চ) থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকেরা কাজ শুরু করেন।
নতুন যা থাকছেবিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এবারই প্রথমবারের মতো বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মাঠে প্রায় ৩০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে বিকেল পাঁচটা থেকে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে অংশগ্রহণ করবে জনপ্রিয় সংগীত ব্যান্ড ‘অ্যাশেজ’, ‘চান্দের গাড়ি’ ও ‘মেটাল ইরর’। আয়োজনের সহযোগিতায় রয়েছে জনপ্রিয় মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্র্যান্ড এয়ারটেল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বৈশাখী শোভাযাত্রা শুরু হবে। এরপর শোভাযাত্রাটি রায়সাহেব বাজার হয়ে বাহাদুর শাহ পার্ক ঘুরে আবার ক্যাম্পাসে এসে শেষ হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. রেজাউল করিম বিজ্ঞান ভবন প্রাঙ্গণে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন। সকাল ১০টা ৪০–এ শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, আবৃত্তি সংসদ ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রিয়াশীল সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পরিবেশনা থাকবে।
দুপুর ১২টায় নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে ‘ভেলুয়া সুন্দরী’ পালা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা তিনটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে ব্যান্ড সংগীত পরিবেশিত হবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যান্ড মিউজিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে ‘কিম্ভূত’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘অফসাইড’ এবং একাধিক একক শিল্পী পরিবেশনায় অংশ নেবেন। শেষে বিকেল পাঁচটায় বাইরে থেকে আমন্ত্রিত শিল্পীদের কনসার্টের মাধ্যমে বর্ষবরণের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।