চুয়াডাঙ্গায় আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
Published: 11th, February 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গায় ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ অভিযানে ১ দিনে মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের গ্রেপ্তারের এ তথ্য জানায় পুলিশ। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগ, তিনজন যুবলীগ ও একজন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কনক কুমার দাস। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সদর থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সক্রিয় সদস্য ও সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সাঈদ আহম্মেদ (উৎস)। এ ছাড়া গ্রেপ্তার অন্য ব্যক্তিরা হলেন আলমডাঙ্গার বারাদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
অন্যদিকে দর্শনা থানা-পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, সহসম্পাদক জামাল উদ্দিন ও যুবলীগের সহসম্পাদক সালাউদ্দিন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
৩০ প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার, ভোট হলো না সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচনে
চট্টগ্রামে আমদানি-রপ্তানি কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের সংগঠন চট্টগ্রাম কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৫৯ জন। গতকাল রোববার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। আর এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন ৩০ জন। এর ফলে ২৯টি পদে বিনা ভোটে বাকি প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল সন্ধ্যায় বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ শরিফ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে পদ বরাবর ২৯ জন ছাড়া বাকি ৩০ জন মনোনয়ন তুলে নেন। আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় তাঁদের জয়ী ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, ২৯ পদের মধ্যে সভাপতি, প্রথম সহসভাপতি, দ্বিতীয় সহসভাপতি, তৃতীয় সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অর্থ সম্পাদক, বন্দরবিষয়ক সম্পাদক এবং কাস্টমসবিষয়ক প্রথম সহসম্পাদক পদে একজন করে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রাথমিকভাবে তাঁরা আগেই নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা তখনো হয়নি।
বাকি ২১ পদে ২৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে সব পদে একজন করে প্রার্থী রেখে বাকিরা সবাই মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচিতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে সভাপতি পদে এস এম সাইফুল আলম, প্রথম সহসভাপতি পদে মো. নুরুল আবছার, দ্বিতীয় সহসভাপতি পদে মো. সাইফুদ্দিন, তৃতীয় সহসভাপতি পদে আবু সালেহ, সাধারণ সম্পাদক পদে মো. শওকত আলী, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. উবায়েদুল হক, দ্বিতীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো. জামাল উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক পদে মোকতার হোসাইন পাটওয়ারী, কাস্টমসবিষয়ক সম্পাদক পদে এ এস এম রেজাউল করিম, কাস্টমসবিষয়ক প্রথম সহসম্পাদক মনসুর উল আমিন এবং কাস্টমসবিষয়ক দ্বিতীয় সহসম্পাদক মো. মোরশেদুল আলম নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বন্দরবিষয়ক সম্পাদক পদে রোকন উদ্দিন মাহমুদ, বন্দরবিষয়ক প্রথম সহসম্পাদক পদে লোকমান হোসেন খন্দকার, বন্দরবিষয়ক দ্বিতীয় সহসম্পাদক পদে মো. তাজুল ইসলাম, প্রযুক্তি-প্রশিক্ষণ ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে এস এম ফরিদুল আলম, প্রচার ও দপ্তরবিষয়ক সম্পাদক পদে আহমাদ শহীদ উদ্দিন এবং সাংস্কৃতিক-শ্রম ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মো. শফিউল আজম খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
১২টি নির্বাহী সদস্য পদে মো. মনিরুল ইসলাম, মো. শওকত আকবর, মো. শাহনেওয়াজ রুমি, মো. আলমগীর হোসেন, মো. আলমগীর সরকার, মো. মেজবাহ উদ্দিন, মো. সারাফাত উল্যাহ, মো. সালাউদ্দীন, মো. গোলাম নবী, সরোয়ার আলম খান, মো. মহিবুর রহমান চৌধুরী ও আহমদ উল্লাহ তালুকদারকে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করা হয়।