গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটিতে কক্সবাজারে মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর পদে একজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।

পদের নাম: মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর

পদসংখ্যা: ১

যোগ্যতা: ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি থাকতে হবে। বিএমডিসির বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। পাবলিক হেলথে এমএসসি ডিগ্রি থাকলে ভালো। কোনো বেসরকারি সংস্থায় পাবলিক হেলথ সেক্টরে অন্তত সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান কনটেক্সট বিশেষ করে রোহিঙ্গা রেসপন্সে অন্তত সাত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে সমপদে অন্তত তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রিসার্চ ও পাবলিকেশনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উপস্থাপনা ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতাসহ এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, কোবো, গুগল মিট, জুম, টিমস ইত্যাদির কাজ জানতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস রেসপন্সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বয়স: ৩০ থেকে ৫৫ বছর

চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক

কর্মস্থল: কক্সবাজার

বেতন: মাসিক বেতন ১,৫০,০০০-১,৬৫,০০০ টাকা।

সুযোগ-সুবিধা: বিমা, মুঠোফোন বিল, টি/এ, গোষ্ঠী জীবনবিমা, বার্ষিক ছুটি ও অসুস্থতাজনিত ছুটি, ভ্রমণ ভাতাসহ সপ্তাহে দুই দিন ছুটির সুযোগ আছে।

আবেদন যেভাবে

আগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবাসীর স্ত্রীকে গাছে বেঁধে নির্যাতন, ২ ভাশুর গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পারিবারিক বিরােধের জেরে সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী শারমিন আক্তারকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযাগ উঠছে।  এ ঘটনায় পুলিশ ভুক্তভোগীর দুই ভাশুর মঙ্গল মিয়া (৪৫) ও জয়নাল আবদীনকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে।

সােমবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে সদর উপজলার সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ায় নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী গৃহবধূ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডল থানায় মামলা করেছেন। 

নির্যাতনর শিকার গৃহবধূ শারমিন আক্তার সুলতানপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়ার মন্তাজ মিয়ার ছেলে হায়দার আলীর স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি

নড়াইলে প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি নেতার হাত বিচ্ছিন্ন

ভুক্তভাগীর মা নূরজাহান বেগম জানান, প্রায় ১৭ বছর আগে হায়দার আলীর সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়। হায়দার ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে আছেন। ৯ মাস আগে তিনি ছুটিতে দেশে আসেন। পরে তিনি সৌদি আরব চলে যান।

তিনি আরো জানান, পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রায় শারমিনের সঙ্গে তার শ্বশুর বাড়ির লােকজনদের ঝগড়া হত। পারিবারিক এই বিরােধের কারণে সােমবার বিকেলে তার মেয়ে শারমিনকে দুই ভাশুরসহ শ্বশুর বাড়ির লােকজন মারধর করে। তারা বাড়ির একটি নারকেল গাছের সঙ্গে শারমিনকে বেঁধে নির্যাতন করে। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন নূরজাহান বেগম।

ভুক্তভাগী শারমিন আক্তার বলেন, “শ্বশুর বাড়ির লাকজন আমার স্বামীর কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা তারা ফেরত দেয়নি। আমার স্বামী বারণ করায় আমি তাদর কাছে টাকা চাই না। শ্বশুর বাড়ির লােকজন প্রতিনিয়ত আমার সঙ্গে ঝগড়া করে। আমি সােমবার বিকেলে অন্যত্র বাসা নিয়ে চলে যাওয়ার বিষয়ে স্বামীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। এ সময় দুই ভাশুর, জা ও ভাতিজারা এসে আমাকে ঘর থেক ধরে এনে মারধর করে। পরে গাছের সাথে বেঁধে মারধর করা হয় আমাকে। পরে স্থানীয় মেম্বার এসে আমাকে উদ্ধার করেন।”

তিনি আরো বলেন, “আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। ওই ঘটনায় আমি দুই ভাশুর, তাদের স্ত্রীসহ অন্যদের আসামি করে সােমবার রাতে সদর মডেল থানায় অভিযাগ দিয়েছি। মঙ্গলবার সকালে আমার অভিযোগ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”

সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডর ইউপি সদস্য মাে. রিপন মিয়া বলেন, “শুনেছি শারমিন তার শ্বশুরকে মারধর করেছে, এর জেরে তারা শারমিনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে। আমি খবর পেয়ে তাদর বাড়িতে গিয়ে শারমিনকে উদ্ধার করি। ঘটনাটি অত্যন্ত জঘন্য।”

শারমিনের শ্বশুর মন্তাজ মিয়া বলেন, “শারমিন বেপরােয়াভাবে চলাফেরা করত। বিভিন্ন সময় ঘরে তালা দিয় বাড়ির বাইরে চলে যেত। তার বেপরােয়া চলাচলে বাঁধা দেওয়ায় শারমিন আমাকে মারধর করে। এরই জেরে ঘটনার সূত্রপাত হয়।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. মাজাফ্ফর হােসেন বলেন, “পারিবারিক বিরােধকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তায় ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর ভাসুর মঙ্গল মিয়া ও জয়নাল আবদীনক গ্রেপ্তার করেছি। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ