গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চাকরি, সর্বোচ্চ বেতন ১ লাখ ৬৫ হাজার
Published: 11th, February 2025 GMT
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সংস্থাটিতে কক্সবাজারে মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর পদে একজন কর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
পদের নাম: মেডিকেল কো-অর্ডিনেটরপদসংখ্যা: ১
যোগ্যতা: ব্যাচেলর অব মেডিসিন অ্যান্ড ব্যাচেলর অব সার্জারি (এমবিবিএস) ডিগ্রি থাকতে হবে। বিএমডিসির বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে। পাবলিক হেলথে এমএসসি ডিগ্রি থাকলে ভালো। কোনো বেসরকারি সংস্থায় পাবলিক হেলথ সেক্টরে অন্তত সাত বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান কনটেক্সট বিশেষ করে রোহিঙ্গা রেসপন্সে অন্তত সাত বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এর মধ্যে সমপদে অন্তত তিন বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। রিসার্চ ও পাবলিকেশনে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। উপস্থাপনা ও যোগাযোগে দক্ষ হতে হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও নেতৃত্বের সক্ষমতা থাকতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনায় দক্ষতাসহ এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট, কোবো, গুগল মিট, জুম, টিমস ইত্যাদির কাজ জানতে হবে। হিউম্যানিটারিয়ান ক্রাইসিস রেসপন্সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
বয়স: ৩০ থেকে ৫৫ বছর
চাকরির ধরন: চুক্তিভিত্তিক
কর্মস্থল: কক্সবাজার
বেতন: মাসিক বেতন ১,৫০,০০০-১,৬৫,০০০ টাকা।
সুযোগ-সুবিধা: বিমা, মুঠোফোন বিল, টি/এ, গোষ্ঠী জীবনবিমা, বার্ষিক ছুটি ও অসুস্থতাজনিত ছুটি, ভ্রমণ ভাতাসহ সপ্তাহে দুই দিন ছুটির সুযোগ আছে।
আবেদন যেভাবেআগ্রহী প্রার্থীদের এই লিংক থেকে নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জেনে Apply Online বাটনে ক্লিক করে আবেদন করতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পের প্রভাব, কমতে পারে কনডোমিনিয়ামের ফ্ল্যাট বিক্রি
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের এক বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। অনেক বহুতল ভবনের ছাদে অবস্থিত সুইমিংপুল থেকে পানি উপচে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের আবাসন খাতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ব্যাংককের বেশির ভাগ ভবন ভূমিকম্প–প্রতিরোধী হলেও এই ভূমিকম্পের পর কাঠামোগত দৃঢ়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুই মাস থাইল্যান্ডের বহুতল কনডোমিনিয়ামে ফ্ল্যাট বিক্রির গতি কমে যেতে পারে। খবর দ্য নেশন থাইল্যান্ডের। আবাসন খাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোলিয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল থাইল্যান্ডের গবেষণা ও যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক ফাত্তারাচাই তাউইওং বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে অনেক অবিক্রীত কনডোমিনিয়াম আছে। এবারের ভূমিকম্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় এখন তা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
ফাত্তারাচাই তাউইওং আরও বলেন, ‘ক্রেতারা বর্তমানে কাঠামোগত দৃঢ়তা, ভবনের নিরাপত্তা ও ভূমিকম্প প্রতিরোধক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন। সে কারণে বছরের শুরুতে কনডোমিনিয়াম বিক্রি পূর্বাভাসের তুলনায় কমে যেতে পারে।’
এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি মিয়ানমারে। ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের প্রভাব মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০তলা একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। ভবনে কর্মরত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।
সরকারি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি নির্মাণাধীন ছিল। ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই খাতের ক্ষতি ঠেকাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার ও আবাসন কোম্পানিগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে আরও কঠোর ভবন নির্মাণবিধি প্রয়োগ, ভবনের কাঠামোগত উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও ভূমিকম্পপ্রতিরোধী নির্মাণব্যবস্থা সম্পর্কে ক্রেতাদের পরিষ্কার তথ্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
থাই কনডোমিনিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রসারত তেদুল্লায়াসাথিত বলেন, ২০০৭ সালের পর নির্মিত নতুন ভবনগুলো ভূমিকম্পপ্রতিরোধী হলেও নিয়মিত ভবন পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
কুশম্যান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড থাইল্যান্ডের গবেষণাপ্রধান ও পরামর্শক সুরাচেত কংচিপ বলেন, ‘ভবিষ্যতে কনডোমিনিয়াম কেনার ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। বিশেষ করে পুরোনো ভবনগুলোর জন্য দুর্যোগ বিমা করা জরুরি।
বাজার–বিশ্লেষকেরা বলেন, তাৎক্ষণিক বিক্রির সংকট সামলানো ও দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা বর্তমানে ব্যাংককের কনডোমিনিয়াম বাজারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পর্যটননির্ভর দেশ থাইল্যান্ডের জন্য এই ভূমিকম্প কাল হতে পারে বলেও আশঙ্কা। যদিও দেশটির সরকার মনে করছে, চলতি বছর ৩ কোটি ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারেন। গত সোমবার দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানা গেছে।