আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। তার সঙ্গে অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ইংল্যান্ডের রিচার্ড কেটেলবরো। এছাড়া টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকবেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন, আর চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স ওয়ার্ফ। ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকবেন জিম্বাবুয়ের অ্যান্ড্রু পাইক্রফট।  

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির গ্রুপ পর্বের ম্যাচ অফিসিয়ালদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হবে। সেদিন অনফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে মাঠে থাকবেন আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি আম্পায়ার সৈকত।

এই টুর্নামেন্টে গ্রুপ পর্বের চারটি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পাবেন সৈকত। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে অন-ফিল্ড আম্পায়ার হিসেবে আবারও দেখা যাবে তাকে। ১ মার্চ করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচে টিভি আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। ২০২৩ সালের মার্চে আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেওয়ার পর এটি হবে সৈকতের অন্যতম বড় আন্তর্জাতিক আসর।  

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আটটি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ‘এ’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। গ্রুপ পর্বে মোট ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মূল আয়োজক পাকিস্তান হলেও ভারত তাদের সব ম্যাচ সংযুক্ত আরব আমিরাতে খেলবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম প য় র হ স ব আইস স

এছাড়াও পড়ুন:

মিটারে না চললে অটোরিকশাচালকের জরিমানা হতে পারে ৫০ হাজার টাকা

সিএনজি বা পেট্রলচালিত অটোরিকশার চালক মিটারের বেশি ভাড়া আদায় করলে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সড়ক পরিবহন আইনে ভাড়াসংক্রান্ত অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) শীতাংশু শেখর বিশ্বাসের সই করা এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠিটি দেওয়া হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, গ্যাস বা পেট্রলচালিত ফোর-স্ট্রোক থ্রি-হুইলার অটোরিকশার জন্য সরকার নির্ধারিত মিটারের ভাড়ার হারের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের বিষয়ে মামলা রুজু করার নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮–এর ধারা ৩৫(৩) অনুযায়ী কোনো কন্ট্রাক্ট ক্যারিজের মালিক বা চালক রুট পারমিট এলাকার মধ্যে যেকোনো গন্তব্যে যেতে বাধ্য থাকবেন এবং মিটারে প্রদর্শিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ দাবি বা আদায় করতে পারবেন না। এর ব্যত্যয় হলে আইনের ধারা ৮১ অনুযায়ী অনধিক ছয় মাসের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন এবং চালকের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হিসাবে দোষসূচক ১ পয়েন্ট কর্তন করার বিধান রয়েছে।

বর্তমানে অটোরিকশার মালিকের জন্য দৈনিক জমা নির্ধারিত আছে ৯০০ টাকা। তবে চালকেরা বলছেন, মালিকেরা দিনে দুই বেলায় চালকের কাছে অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরে চলাচলকারী প্রায় ২৮ হাজার অটোরিকশার জন্য পৃথক নীতিমালা রয়েছে। এসব অটোরিকশাকে কন্ট্রাক্ট ক্যারিজ বা ভাড়ায় চালিত যান হিসেবে বিবেচনা করা হয়। নীতিমালা অনুসারে, সিএনজি ও পেট্রলচালিত অটোরিকশার ভাড়া ও মালিকের দৈনিক জমা নির্ধারিত রয়েছে।

বর্তমানে অটোরিকশার মালিকের জন্য দৈনিক জমা নির্ধারিত আছে ৯০০ টাকা। তবে চালকেরা বলছেন, মালিকেরা দিনে দুই বেলায় চালকের কাছে অটোরিকশা ভাড়া দিয়ে ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করেন।

অটোরিকশার বর্তমান সর্বনিম্ন (প্রথম দুই কিলোমিটার) ভাড়া ৪০ টাকা; অর্থাৎ একজন যাত্রী চাইলে ৪০ টাকায় অটোরিকশা ভাড়া করার সুযোগ পাবেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ১৫০ টাকার নিচে স্বল্প দূরত্বে যাতায়াত করা যায় না। দুই কিলোমিটারের পরের প্রতি কিলোমিটারের ভাড়া ১২ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তা কেউ মানেন না।

২০০৩ সালের দিকে রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম থেকে বেবিট্যাক্সি তুলে দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালু করে তৎকালীন চার–দলীয় জোট সরকার। মিটারে নির্ধারিত ভাড়া ও যাত্রীদের চাহিদামতো গন্তব্যে চলাচল করতে বাধ্য থাকবে, এই ছিল মূল শর্ত। কিন্তু নগরবাসী বলছেন, কখনোই শর্তগুলো মানা হয়নি। ভাড়া নির্ধারিত হয় চালকের ইচ্ছেমতো। নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চাইলে অনেক ক্ষেত্রেই চালকেরা অনীহা দেখান।

সিএনজিচালিত অটোরিকশার নীতিমালা অনুসারে, মালিকেরা অটোরিকশা কিনে চালকদের চালাতে দেবেন। বিনিময়ে সরকার নির্ধারিত হারে দৈনিক জমা পাবেন তাঁরা। আর চালকেরা মিটারে নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ