হাসপাতালে ভর্তি বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ‘আমি বাংলায় গান গাই’খ্যাত এই শিল্পী।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এসএসকেএমে ভর্তি করানো হয় প্রতুলকে। তার নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। এরপর স্নায়ু এবং নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা তাকে পরীক্ষা করে দেখেন। প্রতুলের শারীরিক অবস্থা এখনো স্থিতিশীল নয়। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

ভারতীয় আরেকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রতুল মখোপাধ্যায়ের অন্ত্রের একটি অপারেশনের পরে হার্ট অ্যাটাক হয়। পরবর্তীতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণের শিকার হন। আপাতত ঘোর সঙ্কটে রয়েছেন অশীতিপর গায়ক। নিউমোনিয়াতেও আক্রান্ত প্রতুল।

প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। গতকাল বিধানসভার অধিবেশন শেষে এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের ফোন করে প্রতুলের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন মমতা। শুধু তা-ই নয়, এই শিল্পীর স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন এবং অরূপ বিশ্বাসকে হাসপাতালে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী।

১৯৪২ সালের ২৫ জুন অবিভক্ত বাংলার বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন প্রতুল মুখোপাধ্যায়। তার বাবা প্রভাতচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক। দেশভাগের সময় সপরিবারে ভারতে পাড়ি জমান। প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শৈশব কেটেছে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুঁড়ায়। ছোটবেলা থেকেই নিজের লেখা গানে সুর দিতেন। তার অনেক সৃষ্টির মধ্যে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি বিশেষভাবে সমাদৃত।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র শ র র ক অবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

গলা কেটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রী ও প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

ময়মনসিংহে অনৈতিক সম্পর্কের জেরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী হাফিজা খাতুন ও আব্দুল্লাল আল মামুন নামে একজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার অতিরিক্ত দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক আলী মুনসুর এ রায় ঘোষণা দেন। এ সময় দুই আসামিকে উভয়কে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিয়ের পর স্ত্রীকে দেশে রেখে হেলাল উদ্দিন দুবাই পাড়ি জমান। এ সময়ে অনৈতিক সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়েন স্ত্রী। এক পর্যায়ে হেলাল দেশে ফিরে প্রবাস থেকে পাঠানো টাকার হিসাব চাইলে তাদের সর্ম্পকের অবনতি হয়। ২০১১ সালের ২৮ জুন মুক্তাগাছার ভাবকী এলাকার এ প্রবাসীকে হত্যা করে স্ত্রী হাফিজা ও আব্দুল্লাহ আল মামুন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ১৪ বছর আগে হেলালের সঙ্গে বিয়ে হয় একই উপজেলার নন্দিবাড়ি গ্রামের হাফিজার। ছয় মাসের মাথায় তাদের সর্ম্পকের অবনতি হলে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে সালিশের মাধ্যমে ফের তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দ্বিতীয়বার বিয়ের পর তারা হাফিজার বাবার বাড়ি নন্দিবাড়িতে বসবাস করতেন। তাদের সংসারে দুই মেয়ে সন্তান রয়েছে। হেলাল দুবাই চলে যাওয়ার পর বিদেশ থেকে স্বামীর পাঠানো টাকা বেহিসাবি খরচ করতে শুরু করে হাফিজা। তার পরিবার বাধা দিলে একটি এনজিওতে চাকরি নেয়। একসঙ্গে চাকরির সুবাদে আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে অনৈতিক সর্ম্পকেও জড়িয়ে পড়ে। বিদেশ থেকে ফিরে তার স্বামী টাকার হিসাবে চাওয়ায় তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এক পর্যায়ে তারা হেলালকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে খুনের পর ডাকাতি বলে প্রচার করে। 
নন্দিবাড়ি গ্রামে বসতবাড়ি থেকে হেলালের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এতে তাঁর বোন সাফিয়া আক্তারের সন্দেহ হয়, স্ত্রী এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন মিলে তাঁর ভাইয়ের টাকা-পয়সা আত্মসাৎ করার জন্য ঘুমন্ত অবস্থায় গলা কেটে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন তিনি।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় মুক্তাগাছার ভাবকী এলাকার হাফিজা এবং ময়মনসিংহের চর ঘাঘরা এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের এপিপি মো. শামীম উল আজম খান লিসন।

উভয়কে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে। হাফিজা রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিল। তবে আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাতক রয়েছে। আরেক আসামি আরমান মারা যাওয়ায় আগেই মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানের শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি
  • গলা কেটে স্বামীকে হত্যা: স্ত্রী ও প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
  • রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত জাতিসংঘ মহাসচিবের