অভিনেতা নাগা চৈতন্যর সঙ্গে ফের জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন ভারতের দক্ষিণী সিনেমার ভার্সেটাইল অভিনেত্রী সাই পল্লবী। তেলেগু ভাষার এ সিনেমা নির্মাণ করেন চান্দু মন্ডেটি। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৭০০ পর্দায় মুক্তি পায় সিনেমাটি।

সিনেমাটি মুক্তির পর পাইরেসির কবলে পড়ে। দর্শক-সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাচ্ছে। তারপরও বক্স অফিসে বেশ সাড়া ফেলেছে। ওঠানামা করছে আয়ের গ্রাফ। গত ৪ দিনে কত টাকা আয় করেছে এই সিনেমা?

বলি মুভি রিভিউজ ডটকমের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘থান্ডেল’ সিনেমা বিশ্বব্যাপী আয় করে ২০.

৫ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে ১৬ কোটি রুপি, তৃতীয় দিনে ১৪ কোটি রুপি, চতুর্থ দিনে ৭ কোটি রুপি। ৪ দিনে সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৫৭.৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮০ কোটি ৪৮ লঅখ টাকার বেশি)।   

আরো পড়ুন:

মুক্তির পর সাই পল্লবী-নাগার সিনেমা ফাঁস

দাম বাড়ালেন সাই পল্লবী

স্যাকনিল্ক জানিয়েছে, ৪ দিনে ‘থান্ডেল’ ভারতে আয় করেছে ৪২.৬ কোটি রুপি, বিদেশে আয় করেছে ১০ কোটি রুপি। ৪ দিনে বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৫২.৬ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার বেশি)।  

চলতি বছরে তেলেগু ভাষার ৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তালিকার শীর্ষে ‘গেম চেঞ্জার’ (৯০ কোটি রুপি), চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘থান্ডেল’।

কার্তিক নামে স্থানীয় এক যুবকের বাস্তব ঘটনা নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘থান্ডেল’ সিনেমার কাহিনি। ঘটনাটি ২০১৮ সালে ঘটেছিল। দুই বছর ব্যয় করে সিনেমাটির চিত্রনাট্য প্রস্তুত করেন নির্মাতা। কার্তিক নামে যুবকের চরিত্র রূপায়ন করছেন নাগা। এটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৫ কোটি রুপি।

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ বিএনপির দু’পক্ষের, আহত ৮

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

আহতরা হলেন– নুরন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসান উল্যাহ, সোহাগ, ইমাম, হোসেন হাসান। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। 

জানা গেছে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ জাকির হোসেন সড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে গত সোমবার স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আহসান উল্যাহর বাগ্বিতণ্ডা ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যার পর  আনোয়ার হোসেনের অনুসারীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পশ্চিম সোনাই গ্রামে আহসান উল্যাহর বাড়িতে হামলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খবর পেয়ে পশ্চিম সোনাই গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে হামলা প্রতিহতের আহ্বান জানানো হয়। এতে গ্রামবাসী সংগঠিত হয়ে আনোয়ার সমর্থকদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে আটজন আহত হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহীদ জাকির হোসেন সড়কের এক কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ পায়। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর হোসেন পালিয়ে গেলে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজের জন্য এলজিইডি থেকে প্রকল্পটি নতুন করে সমন্বয় করে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। ওই কাজের জন্য পাথরকুচি সরবরাহ করছেন ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন। কিন্তু সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের পাথরকুচি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিএনপি নেতা আহসান উল্যাহ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। 

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. গাজী নিজাম উদ্দিন জানান, গত ৫ আগস্টের পর ওই সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের অনুরোধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এলজিইডি প্রকৌশলী সমন্বয় করে প্রকল্পের কাজ শুরু করেন। কাজ নিয়ে আনোয়ার ও আহসান উল্যাহর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সমাধানের জন্য তিনি উভর পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসবেন।

জোরারগঞ্জ থানার ওসি শিফাতুল মাজদার জানান, সংঘর্ষের বিষয়টি জেনেছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ