নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় ভাই-বোনের মৃত্যু, আহত বাবা হাসপাতালে
Published: 11th, February 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় ইসলামীয়া সড়কের বৈকুন্ঠপুর বাজারের পশ্চিম পাশে একটি দ্রুতগামী ট্রাকের চাপায় ভাই-বোনের মতো বেড়ে ওঠা মামাতো-ফুফাতো দুই শিশু নিহত হয়।
নিহতরা হলেন—আরাফাত হোসেন (৮) ও তার মামাতো বোন আসমা আক্তার (৭)। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরাফাতের বাবা আবুল কালাম (৪০), যাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আবুল কালাম প্রতিদিনের মতো বাইসাইকেলে করে ছেলে আরাফাত ও ভাগ্নি আসমাকে মাদ্রাসায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে বৈকুন্ঠপুর বাজারের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়, আর আবুল কালাম সড়কে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত আহত আবুল কালামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে, তবে চালক পলাতক। নিহতদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত।
স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।
সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।