সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে দুই নেতার পদ স্থগিত করেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। গতকাল সোমবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পদ স্থগিত হওয়া নেতারা হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ড.

এম এ মুহিত এবং স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা বিএনপির সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য গোলাম সারোয়ার।

পত্রে উল্লেখ করা হয়, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও হানাহানি সৃষ্টি করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য এই দুই নেতার প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে। গোলাম সরোয়ার পত্রপ্রাপ্তি ও পদ স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার দুপুরে শাহজাদপুর উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশের সময় গোলাম সারোয়ারকে বাধা দেওয়া হয়। ওই সময় ড. এম এ মুহিতের সমর্থকরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গোলাম সারোয়ার ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা করে। মারধরে গোলাম সারোয়ারসহ অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনার তদন্তে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে জেলা বিএনপির সন্মেলন প্রস্তুতি কমিটি।

এদিকে সংঘর্ষের পরপরই একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে করে দুই গ্রুপ। গোলাম সারোয়ার নিজেই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। অন্যদিকে উপজেলা বিএনপি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক নেতৃবৃন্দ ড. এম এ মুহিতের পক্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ স র জগঞ জ ব এনপ র স সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করলেন সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট

সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা একটি অস্থায়ী সংবিধানে স্বাক্ষর করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের পাঁচ বছর পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে। আহমেদ আল-শারার বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ চালিয়ে বাশার আল-আসাদের সরকারকে উৎখাত করার তিন মাস পর সাংবিধানিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সাংবিধানিক ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করার সময় আল-শারা বলেন, এটি ‘সিরিয়ার জন্য একটি নতুন ইতিহাসের সূচনা করবে বলে প্রত্যাশা করছি। এর মাধ্যমে আমরা নিপীড়নের পরিবর্তে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করব।’ 

সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ আল-আওয়াক বলেন, আগের সংবিধানের কিছু বিষয় নতুন সংবিধানেও বজায় থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে, রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলিম হতে হবে এবং আইনশাস্ত্রের প্রধান উৎস হিসেবে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আল জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার দামেস্ক থেকে জানিয়েছেন, নেতাদের ধর্মীয় সম্পৃক্ততার ওপর আইন চালু করার প্রশ্নটি একটি ‘বিতর্কিত বিষয়’ ছিল।

এই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘এ বিষয়টি সংবিধানের একটি ধারা হবে কি না, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন ছিল। কিন্তু এখন এটা স্পষ্ট যে, রাষ্ট্রপ্রধানকে মুসলিম হতে হবে।’

সংবিধান খসড়া কমিটির সদস্য আব্দুল হামিদ আল-আওয়াক বলেন, এই নথিতে মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং নারীদের ‘সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার’ নিশ্চিত করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সিরিয়ার নড়বড়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এটি ‘সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্বাধীনতার মধ্যে ভারসাম্য’ বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।

এই সংবিধানে বেশির ভাগ মনোযোগ থাকবে অন্তর্বর্তী সময়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ওপর। এর লক্ষ্য হবে পূর্ববর্তী বাশার আল-আসাদ সরকারের অধীনে সংঘটিত অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা।

যেকোনো সমস্যা মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার দিকে ইঙ্গিত করে আল-আওয়াক বলেন, অস্থায়ী সংবিধানের অধীনে নির্বাহী ক্ষমতা শুধু প্রেসিডেন্টের হাতে সীমাবদ্ধ থাকবে।

আল জাজিরার সাংবাদিক বলেন, অস্থায়ী সংবিধানে একটি গণপরিষদের কথা বলা হয়েছে। এটির এক-তৃতীয়াংশ সদস্য নিযুক্ত করবেন প্রেসিডেন্ট। নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার আগ পর্যন্ত সব আইন প্রণয়নের দায়িত্বে থাকবে এই গণপরিষদের হাতে। প্রেসিডেন্টের মতে, নির্বাচন হতে সম্ভবত চার থেকে পাঁচ বছর সময় লাগবে।

গণপরিষদের হাতে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষমতাও থাকবে। তাত্ত্বিকভাবে এটি সম্ভব হলেও বাস্তবে অত্যন্ত কঠিন হবে। কারণ, গণপরিষদের [অনেক] সদস্য সরাসরি রাষ্ট্রপতি নিজেই নিযুক্ত করবেন।

স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের জন্য একটি নতুন কমিটি গঠন করা হবে। তবে এটি সিরিয়ার রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতি গোষ্ঠীগুলোকে আরও অন্তর্ভুক্ত করবে কি না, তা স্পষ্ট নয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ