সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ছাত্রদলের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য গোলাম রাব্বানীকে (অর্ণব) সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সংসদ।

গতকাল সোমবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহসভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য গোলাম রাব্বানীকে সাংগঠনিক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। ছাত্রদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁর সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ফুচকার দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

গত রোববার প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ফুচকার দোকানে চাঁদা দাবির অভিযোগ’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই সংবাদে বলা হয়, রোববার বটতলা এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ফুচকা-চটপটির কয়েকটি দোকানে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী প্রতিদিন এক হাজার বা দেড় হাজার টাকা করে দাবি করেন। টাকা দিলে নির্বিঘ্নে তাঁরা ব্যবসা করতে পারবেন এবং কোনো ধরনের সমস্যা হলে তাঁরা তা দেখবেন বলে আশ্বাস দেন। বিষয়টি ছাত্রদলের মধ্যে জানাজানি হলে কয়েকজন নেতা-কর্মী এসব দোকানদারের কাছে যান এবং সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ছবি দেখান। এর মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের সদস্য গোলাম রাব্বানীকে শনাক্ত করেন। গোলাম রাব্বানী বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে থাকেন। বাকিদের শনাক্ত করতে পারেননি। পরে গতকাল রাতে তাঁকে অব্যাহতি দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ হ ঙ গ রনগর ছ ত রদল র ক গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রকাশ্যে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আব্বাসীর বিচার দাবি, ২২৩ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

প্রকাশ্যে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ড. এনায়েতুল্লাহ আব্বাসীর বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন বিশিষ্টজন। সোমবার কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার, বুদ্ধিজীবী সলিমুল্লাহ খানসহ ২২৩ লেখক, সাংবাদিক, আলেম, সুফি, গবেষক, শিক্ষক ও সাংবাদিক বিবৃতিতে সই করেন। 

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন– সাংবাদিক কাজী জেসিন, উন্নয়ন গবেষক আসীফ মুনীর খান, লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদুল হক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুমন সাজ্জাদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন, মানবাধিকারকর্মী এলিজা খান, কথাসাহিত্যিক ও অনুবাদক জিয়া হাশান, ঢাকার বকশীবাজারের খানকাহ ফকির জহুর আল ক্বাদরীর পীরসাহেব ফকির শাহ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী, বিশ্ব সুফিবাদ সর্বজনীন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ সুফি শামসুজ্জামান চৌধুরী (সজিব), লেখক ও গবেষক সহুল আহমদ, জুলাই সংগ্রাম পরিষদের মুখপাত্র আজহারুল হক লিংকন, শৈলকুপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের রাজনীতিক মুখপাত্র তানজীর আলম রবিন, ড. মাওলানা মুজিবুর রহমান আল মাদানী, মুফতি ইমরান মাহমুদ জিহাদী, শাহ সুফি মারুফ নুরী আল সুরেশ্বরী, শাহ সুফি মুস্তাক আহমাদ, শাহ সুফি গোলাম এ মোস্তফা আল জাহাঙ্গীর, সুফি মাইনুল কবীর চিশতি, লেখক-সাংবাদিক আবিদ আজম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক ড. যোবায়ের আল মাহমুদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য কনক রহমান প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সম্প্রতি ‘শাতিমে রাসুল’ [নবী (সা.) অবমাননাকারী] ও মুরতাদের (ধর্মদ্রোহী) শাস্তির নামে নিজ হাতে হত্যার অধিকার দাবি করেছেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ‘তৌহিদি ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে এক সমাবেশে তিনি বলেন, ‘আর মিছিল নয়, এবার শরিয়াহ আদালতে মুরতাদের শাস্তি ফাঁসি আমরা নিজ হাতে কার্যকর করব।’ বক্তব্যে তিনি যাদের হত্যা করবেন বলে সংকল্প প্রকাশ করেছেন, তাদের মধ্যে আছেন বিশিষ্ট দার্শনিক ফরহাদ মজহার, সলিমুল্লাহ খান, লেখক-গবেষক রাখাল রাহা এবং কবি সোহেল হাসান গালিব।

বিবৃতিতে বলা হয়, আব্বাসীর হত্যার ঘোষণা দেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য গুরুতর অপরাধ এবং ইসলামের মূলনীতি, কোরআনের শিক্ষা, ন্যায়বিচারের আদর্শ ও আধুনিক রাষ্ট্রবিধানের পরিপন্থি। চরম উগ্রবাদী আব্বাসী তাঁর ঘোষণায় দেশের কবি, লেখক, দার্শনিক বুদ্ধিজীবীদের হত্যার জন্য অনুসারী লেলিয়ে দিয়েছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার
  • শিবিরকর্মীকে জবাই করে হত্যাচেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে
  • প্রকাশ্যে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে আব্বাসীর বিচার দাবি, ২২৩ বিশিষ্টজনের বিবৃতি