সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও বীচ হ্যাচারী লিমিটেডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, বীচ হ্যাচারীর পরিচালনা পর্ষদ সমাপ্ত অর্থবছরের (৩০ জুন, ২০২৪) জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ করে নগদ লভ্যাংশ দেওয়ায় বি থেকে এ ক্যাটাগরিতে, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ সমাপ্ত অর্থবছরের (৩০ জুন, ২০২৪) জন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ায় জেড থেকে এ ক্যাটাগরিতে স্থানান্তরিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) কোম্পানিগুলোর শেয়ার ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন শুরু হয়েছে।
এসকেএস
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার বাতাস আজ ছুটির দিনেও অস্বাস্থ্যকর
আজ শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনের সকালেও রাজধানী ঢাকার বায়ু অস্বাস্থ্যকর। আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইকিউএয়ারে ঢাকার বায়ুমান ১৫২। এ মানকে অস্বাস্থ্যকর গণ্য করা হয়। আজ দূষণে বিশ্বের ১২৪টি নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান দশম।
দেশের তিন বিভাগীয় শহরের মধ্যে রাজশাহীর বায়ুর মান ১৬০, রংপুরে ১৫৪ ও চট্টগ্রামে ৯৮।
বায়ুদূষণের এ চিত্র তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।
ছুটির দিনে সাধারণত যানবাহন চলাচল কম থাকে। কলকারখানাও অনেক বন্ধ থাকে। সে অনুযায়ী দূষণ কম হওয়ার কথা। কিন্তু ঢাকার দূষণ ছুটির দিন আর কর্মদিবস মানে না।
আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি। বায়ুর মান ২৬৩।
এরই মধ্যে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আইকিউএয়ারের ‘বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৪’ তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বায়ুদূষণে ২০২৪ সালে দেশ হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ। আর নগর হিসেবে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ দূষিত নগর ছিল ঢাকা। ২০২৩ সালে বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে ছিল। নগর হিসেবে ঢাকার অবস্থান ছিল দ্বিতীয়। গত বছর (২০২৪) বায়ুদূষণে শীর্ষ দেশ ছিল আফ্রিকার চাদ। আর নগর হিসেবে শীর্ষে ছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি।
সার্বিকভাবে বায়ুদূষণে আগের বছরের তুলনায় গত বছর বাংলাদেশের অবস্থানের সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। তবে এ পরিবর্তনকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন না পরিবেশবাদী ও গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, দূষণ আরও বিস্তৃত হচ্ছে, এবারের প্রতিবেদন সেই বাস্তবতাকে তুলে ধরেছে। কারণ, আগে দেখা গেছে যে রাজধানীর তুলনায় দেশের সার্বিক গড় বায়ুমান কিছুটা ভালো থাকত। কিন্তু এবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বাংলাদেশ ও দেশের সবচেয়ে দূষিত নগরী ঢাকার বায়ুর মান প্রায় একই। উভয়ের মান ৭৮।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পাননি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।
রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক ও নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।
দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১১ গুণ বেশি।