গাজায় জিম্মি থাকা সবাই না ফিরে আসলে যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার দুপুরের মধ্যে জিম্মি থাকা সবাই না ফিরলে তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি বাতিলের প্রস্তাব দেবেন বলেও জানান।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ওভাল অফিস থেকে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্স। 

গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের না সরালে তিনি জর্ডান ও মিশরকে সাহায্য বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন। 

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার পরবর্তী কার্যক্রম স্থগিত করার কথা জানিয়েছেন হামাসের সামরিক শাখার একজন মুখপাত্র। এরপরই মূলত এই মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট বলেন, “গাজায় আটকে থাকা 'সব' জিম্মি শনিবারের মধ্যে ফেরত না দেওয়া হলে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করা উচিত। আমি বলব, শনিবার ১২টার মধ্যে তাদের ফেরত দেয়া উচিত.

..সবাইকে... ছিটেফোঁটা নয়...দুই, এক বা তিন চার জন নয়।” 

তিনি ইসরায়েলের দিক থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার কথা বোঝাচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, "আপনারা দেখবেন, তারাও দেখবে। হামাসও দেখবে আমি কী বোঝাচ্ছি।"

গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরুর পর ১৬ ইসরায়েলি ও পাঁচ জন থাই জিম্মি মুক্তি পেয়েছেন। বিনিময়ে ইসরায়েলের ৫৬৬ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা/ইভা 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র

এছাড়াও পড়ুন:

কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশ হচ্ছে ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন মঙ্গলবার প্রায় ৮০ হাজার পৃষ্ঠার গোপন নথি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে যাচ্ছে। ট্রাম্প সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে ১৯৬৩ সালের বহুল আলোচিত ও রহস্যঘেরা ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে এ নথি প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।

ওয়াশিংটনের দ্য কেনেডি সেন্টারে সোমবার এক পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, এটির জন্য লোকজন দশকের পর দশক অপেক্ষা করে আছেন। এটি খুবই কৌতূহলোদ্দীপক হতে যাচ্ছে। দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর চলতি বছরের শুরুর দিকে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছিলেন। সে আদেশে কেনেডি ও তাঁর ভাই রবার্ট কেনেডি এবং মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র হত্যা-সংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রকাশের পরিকল্পনা পেশ করতে ফেডারেল সরকারকে নির্দেশ দেন তিনি।

গত ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (এফবিআই) জানায়, কেনেডি হত্যাকাণ্ড নিয়ে তারা নতুন হাজারো নথি পেয়েছে। ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ মানতে গিয়ে তারা এসব নথির অনুসন্ধান শুরু করেছিল।

ওই সময় এফবিআই জানিয়েছিল, অনুসন্ধানে প্রায় ২ হাজার ৪০০টি নতুন তালিকাভুক্ত ও ডিজিটালাইজড নথি পাওয়া গেছে। এর আগে কেনেডি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এসব নথির সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হতো না।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডিকে টেক্সাসের ডালাসে হত্যা করা হয়। দশকের পর দশক তাঁর হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র তত্ত্ব তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন জরিপে এ হত্যাকাণ্ডের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা সম্পর্কে নানা সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রবার্ট এফ কেনেডির ছেলে রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ২০২৩ সালে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন, তাঁর চাচার হত্যাকাণ্ডে সিআইএ জড়িত থাকার ব্যাপারে ‘অকাট্য’ ও ‘অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ রয়েছে। খবর রয়টার্সের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ