কথায় আছে যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। ব্যাপারটা আবারও প্রমাণ করল ব্রাজিল। দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের এবারের আসরে ভুলে যাওয়ার মত একটা শুরু করেছিল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল। যা ব্রাজিলের ইতিহাসে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে যে কোন স্তরের ফুটবলে সবচেয়ে বড় পরাজয়। এরপর গ্রুপ পর্বের খেলায় তারা পরাজয়ের মুখ দেখে কলম্বিয়ার বিপক্ষেও। সেই ব্রাজিল কিনা আসরের চূড়ান্ত পর্বে এসে এখন সবার উপরে!

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে ব্রাজিল ৩-১ গোলে হারিয়েছে প্যারাগুয়েকে। সেলেসাওদের হয়ে জালের ঠিকানা পান গুস্তাভো প্রাদো, রায়ান এবং আলিসন সান্তানা। অন্যদিকে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ভোরে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে হারিয়েছে কলম্বিয়াকে।

আরো পড়ুন:

আর্জেন্টিনা ম্যাচের দুঃস্বপ্ন ভুলে জয়ের ধারায় ব্রাজিল

লজ্জার ইতিহাস গড়ে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় পরাজয়!

 

লাতিন এই দুই পাওয়ার হাউজের জয়ে ফলে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে নিজেদের জায়গাও নিশ্চিত করেছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা; যা এ বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে চিলিতে অনুষ্ঠিত হবে।

স্তাদিও নিকোনাল ব্রিগেদো ইরিয়ার্তেতে ম্যাচের ১৫ মিনিটে বাজিলকে এগিয়ে দেন প্রাদো। সেলেসাওদের হয়ে ১৭ মিনিটের মাথায় ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রায়ান। ৮ মিনিট পর এক গোল শোধ করে প্যারাগুয়েকে ম্যাচে ফেরান আনঘেল সবেস্তিয়ান। বিরতিতে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৩ মিনিটের সময় আলিসন সান্তানা গোল করে প্যারাগুয়ের কফাইন শেষ পেরেক ঠুকে দেন।

একই স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে ভাগ্য নির্ধারণী গোলটি করেন আর্জেন্টিনার ইয়ান সুবিয়াব্রে।

চূড়ান্ত পর্বে ব্রাজিলের মতো আর্জেন্টিনাও জিতেছে তিনটি ম্যাচ। দুই দলেরই পয়েন্ট ৯। কিন্তু গোল ব্যবধানে থাকায় টেবিলের শীর্ষস্থান দখলে নিয়েছে ব্রাজিল। এবারের আসরে কোনো ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে না। যে দল টেবিলের শীর্ষে থেকে আসর শেষ করবে, তারাই হবে চ্যাম্পিয়ন।

আগামী শুক্রবার অলিখিত ফাইনালে (১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ব্রাজিলের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।  
   
 

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল আর জ ন ট ন র

এছাড়াও পড়ুন:

কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ

২০২৫ সালের শুরু থেকে কানাডা সরকারের এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে ফ্রেঞ্চভাষী আবেদনকারীদের প্রতি অগ্রাধিকার বাড়ানো হয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মোট ৩৫ হাজার ৫৮৮ জন আবেদনকারীকে ITA (Invitation to Apply) প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ আবেদনকারীদের জন্য তিনটি পৃথক ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ১৮ হাজার ৫০০ জন আবেদনকারী আমন্ত্রণ পেয়েছেন।

এতে এটা স্পষ্ট হয় যে কানাডা বর্তমানে দ্বিভাষিক (ইংরেজি ও ফ্রেঞ্চ) সমাজকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে এবং ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষ ব্যক্তিদের স্থায়ী বসবাসের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে।

কেন এই অগ্রাধিকার ফ্রেঞ্চ ভাষাভাষীদের জন্য?

কানাডা একটি দ্বিভাষিক দেশ। ইংরেজির পাশাপাশি ফ্রেঞ্চও সরকারি ভাষা। বিশেষ করে কুইবেক প্রদেশসহ পূর্বাঞ্চলের অনেক এলাকায় ফ্রেঞ্চ হলো প্রথম ভাষা। স্থানীয় অর্থনীতি, শিক্ষা ও সামাজিক খাতে ফ্রেঞ্চভাষীদের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এ কারণে কানাডা সরকার চায় যেন অভিবাসীরা শুধু ইংরেজিভাষী না হয়ে ফ্রেঞ্চ ভাষায়ও দক্ষ হন।

ভাষা জানলে বাংলাদেশিদের জন্য বড় সুযোগ

বাংলাদেশে শিক্ষার্থী ও তরুণ পেশাজীবীদের জন্য এখনই সুবর্ণ সুযোগ—ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে কানাডায় স্থায়ী বসবাসের রাস্তা সহজ করে নেওয়া। তুলনামূলক কম CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরে কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ফ্রেঞ্চ ভাষায় দক্ষরা।

আরও পড়ুনএসএসসি পরীক্ষা ২০২৫-এর রুটিন, কোন পরীক্ষা কবে২০ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশে কোথায় শেখা যায় ফ্রেঞ্চ ভাষা?

ফ্রেঞ্চ শেখার জন্য ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের খোঁজ পাওয়া যায়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো:

1. Alliance Française de Dhaka

অবস্থান: ধানমন্ডি ও গুলশান

ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org

ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখানোর জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।

2. Institute of Modern Languages (IML), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

এখানে স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি ফ্রেঞ্চ কোর্স রয়েছে।

3. Online Platforms:

Duolingo (বিনা মূল্যে)

Babbel, Coursera, Udemy (সার্টিফিকেটসহ কোর্স)

ফ্রেঞ্চ শেখা কতটা কঠিন সময়সাপেক্ষ?

বাংলাদেশিদের জন্য এই ভাষা শেখা হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। সাধারণভাবে, একজন শিক্ষার্থী যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা সময় দেন, তাহলে ৬ মাসের মধ্যে একটি ভালো বেসিক লেভেল অর্জন করা সম্ভব। উচ্চতর দক্ষতা অর্জনে সময় লাগতে পারে ১ থেকে দেড় বছর, তবে এর বিনিময়ে কানাডার মতো দেশের স্থায়ী বসবাসের সুযোগ এক অনন্য প্রাপ্তি।

শেষ কথা

বর্তমান বিশ্বে শুধু ডিগ্রিই নয়, ভাষাদক্ষতাও হয়ে উঠেছে অভিবাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কানাডার মতো দেশে ফ্রেঞ্চ শেখার মাধ্যমে বাংলাদেশি তরুণ-তরুণীরা সহজেই গড়তে পারেন তাঁদের ভবিষ্যৎ। শুধু দরকার একটু আগ্রহ, নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা।

আরও পড়ুনমাদ্রাসা ও কারিগরির শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারীরা পাবেন অনুদান, আবেদনের সময় আরও ১০ দিন১৪ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৮ এপ্রিল ২০২৫)
  • জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘এআই অলিম্পিয়াড ২০২৫’
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বিজ্ঞান ও মানবিক শাখার পরীক্ষার ফল প্রকাশ
  • বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে মাস্টার্সের সুযোগ
  • চুয়াডাঙ্গাবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ৩৯
  • আজ টিভিতে যা দেখবেন (১৭ এপ্রিল ২০২৫)
  • যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে শিক্ষার্থীরা কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করছেন, কারণ কী
  • পুলিশ স্টাফ কলেজে ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ ম্যানেজমেন্টে মাস্টার্স
  • প্রথম প্রান্তিকে চীনের প্রবৃদ্ধি ৫.৪%
  • কানাডা ইমিগ্রেশনে নতুন দিগন্ত: ফ্রেঞ্চ ভাষা জানলেই মিলছে বাড়তি সুযোগ