ফেনীতে এক মাদ্রাসাশিক্ষকের কাছ থেকে চাঁদা দাবির অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁর নাম জাকির হোসেন মিয়া। তিনি জামায়াতের রুকন এবং দলের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ফেনী পৌরসভা শাখার সাবেক সহকারী সেক্রেটারি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ফেনী জেলা শাখার প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাকির হোসেনকে বহিষ্কারের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্রের ৬২ নম্বর ধারার ২ উপধারা অনুসারে জাকির হোসেন মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার রাতে জামায়াত নেতা জাকির হোসেন মিয়ার সঙ্গে ফেনী আলিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসানের কথোপকথনের একটি অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মাহমুদুল হাসান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়। গত বছরের ৫ আগস্টের পর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে অধ্যক্ষের পদ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। কয়েকটি মামলায়ও আসামি হন মাহমুদুল। জামায়াত নেতার সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের ফাঁস হওয়া অডিওটি ২ মিনিট ৭ সেকেন্ডের। সেখানে মাদ্রাসায় স্বপদে ফিরে যাওয়া ও মামলা থেকে অব্যাহতির বিষয়ে জাকির হোসেনকে আগে একজনের মাধ্যমে টাকা দেওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন মাহমুদুল। এ ছাড়া জাকির হোসেন নতুন করে চাঁদা দাবি করেন।

জানতে চাইলে জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে জাকির হোসেন মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জামায়াত ইসলামী কোনো ধরনের অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। কোনো অনৈতিক কাজে জামায়াতের কেউ জড়িত থাকলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অডিওর সত্যতার বিষয়ে জানতে মাহমুদুল হাসানকে কল করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। জাকির হাসান কল কল রিসিভ করেননি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

তোরে বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হইবে, ছাত্রদলের বাবলুকে বিএনপি নেতা

পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্রদল নেতাকে বুড়িগঙ্গায় ফেলে হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে নাজিরপুর-তাঁতেরকাঠি ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনায়েত হোসেন খানের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য এস এম বাবলুর সঙ্গে তাঁর এ-সংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এনায়েত এ কথোপকথন তাঁর নয় বলে দাবি করেছেন।

সম্প্রতি কৃষকের তরমুজ লুট ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এনায়েতের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক পদ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেয়।

এস এম বাবলু বলেন, ‘৯ মার্চ এনায়েত হোসেনকে বহিষ্কার করে রমিজ হাওলাদারকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। দলীয় কর্মী হিসেবে আমি নবনির্বাচিত সম্পাদককে অভিনন্দন জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিই। ক্ষিপ্ত হয়ে ফোন করে আমাকে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে হত্যার হুমকি দেন এনায়েত। দলীয় নেতাদের জানিয়েছি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া কথোপকথনে বাবলুকে বিএনপি নেতা এনায়েত খান বলেছেন, ‘তুই অভিনন্দন জানাইছ কারে?’ বাবলু উত্তর দিতে গেলেই এনায়েত গালি দিয়ে বলেন, ‘তোর নাজিরপুর আওয়ার ক্ষমতা আছে? তুই পাঁচ বছরে নাজিরপুর আইতে পারলে আমার নাম ফিরাইয়া থুমু। তোরে তো ভাগেই পাইবে না কেউ। যে যে অভিনন্দন দিছে, ওই পোলারা একটাও এলাকায় আইতে পারবে না।’ এর পরই তিনি বলেন, ‘তুই (বাবলু) যেই হানে আছো, তোরে ধইরা বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হবে?’

বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তোরে বুড়িগঙ্গায় ফালাইয়া দিলে কী হইবে, ছাত্রদলের বাবলুকে বিএনপি নেতা