কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে রাজু হোসেন (১৮) নামের এক তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরে এ ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রাজু ওই ইউনিয়নের ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়া এলাকার ইব্রাহীম প্রামাণিকের ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

রাজুর নিকট আত্মীয় মরিচা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ও একই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ আগে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে রাজুর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে ওই যুবক রাজুর ওপর চরম ক্ষিপ্ত ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে একজন রাজুকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাঁর আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। রাতে শুনতে পান, রাজুকে গুলি করা হয়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তৌহিদুল হাসান বলেন, রাজু বুকের বাঁ পাশে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে জানতে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদাকে কল দিলে তিনি ধরেননি।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস ও মিডিয়া) ফয়সাল মাহমুদ বলেন, রাজুর শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় তাঁর সঙ্গে থাকা একজনকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে তৈরি হওয়া উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এ নিয়ে ‘খুবই উদ্বিগ’ বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আন্তোনিও গুতেরেসের এ বার্তা সাংবাদিকদের জানান। খবর আল-জাজিরার

স্টিফেন ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘খুবই উদ্বিগ্ন’। সার্বিক পরিস্থিতিতে ‘খুব নিবিড়ভাবে নজর’ রাখছেন তিনি।

জাতিসংঘের পক্ষ থেকে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেছেন, সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি বেশ কিছু পদক্ষেপের ফলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপের দিকে না যায় এ জন্য দেশ দুটিকে সর্বোচ্চ ধৈর্য্য ধরার অনুরোধ করছেন তিনি।

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যেকোনো সমস্যা অর্থবহ আলোচনা ও পারস্পরিক সম্পৃক্ততার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি এবং এটাই হওয়া উচিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ