নতুন বছর নতুন মৌসুম নতুন ক্রিকেটার দিয়েই শুরু হচ্ছে আবাহনীর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) যাত্রা। গেল বছরের দল থেকে তিন জন ক্রিকেটারকে এবার দলে রেখেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। নতুন করে দলটির প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকার। দায়িত্ব পেয়েই এগিয়ে চলেছেন দল গঠনে।
তবে এক বছর আগেই যে দাপট ছিল আবাহনীর, সেটি এখন আর নেই। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে পাশার দান উল্টে গেছে। ইসমাইল হায়দার মল্লিকরা চাইলে জাতীয় দলের সব ক্রিকেটারকে খেলতে হতো দলটিতে। মল্লিকরা ক্ষমতা হারানোয় এবার আর সেটি হচ্ছে না। বিগত ১০ বছর ঢাকার ক্রিকেটে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ছিল এই ক্লাবটির কর্মকর্তাদের। ইচ্ছা হলে পুরো নিয়ম পাল্টে দিতেন তারা। একজন করে বিদেশি খেলার যে নিয়ম ছিল, গত মৌসুমে তাও বাতিল করে দেয় আবাহনী চাওয়ায়।
আওয়ামী লীগের পতনে আবাহনী দুর্বল হলেও প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি খেলানোর নিয়ম ফিরছে না। এ বছরও সম্পূর্ণ দেশি ক্রিকেটার নিয়ে হবে লিগের খেলা। সে কারণে আর্থিকভাবে সচ্ছল ক্লাবগুলো ঘর গোছাতে শুরু করেছে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনীতে তারকা ক্রিকেটার নেই, তা নয়। নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, পারভেজ হোসেন ইমন, রাকিবুল হাসান, নাহিদ রানা, রিপন মণ্ডল, শেখ মেহেদিকে নিশ্চিত করার খবর জানান আবাহনীর নতুন কোচ হান্নান সরকার। বিগত বছরগুলোতে হান্নানের জায়গায় ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
ক্রিকেটারদের দলে টানলেও দলবদল না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) থেকে জানা গেছে, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি দলবদল অনুষ্ঠিত হবে। লিগের খেলা মাঠে গড়াবে ৩ মার্চ থেকে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম ও বিকেএসপিতে হবে খেলা। ৮ ফেব্রুয়ারি ক্লাবগুলোর সঙ্গে সিসিডিএম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। অর্থাৎ বর্তমান জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছাড়াই লিস্ট-এ ক্রিকেট শুরু হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড প এল
এছাড়াও পড়ুন:
এমবাপ্পের ‘গোপন’ বিষয় জানাতে বই লিখছেন ক্যাম্পোস
কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ঘিরে নতুন এক সত্য উন্মোচনের অপেক্ষায় ফুটবল বিশ্ব। প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছাড়ার পর তার দলবদলের নেপথ্য কাহিনী, ক্লাবের অভ্যন্তরীণ সংকট ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়ে মুখ খুলতে চলেছেন পিএসজির স্পোর্টিং ডিরেক্টর লুইস ক্যাম্পোস। জনপ্রিয় ট্রান্সফার বিশেষজ্ঞ ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছেন, ক্যাম্পোস একটি বই লিখছেন যেখানে তিনি সবকিছু খোলাসা করবেন বলে জানিয়েছেন। বইটিতে ক্যাম্পোস নিজের দায়িত্বকালীন অভিজ্ঞতা, দলবদলের কৌশল এবং ক্লাব পরিচালনার নানান অজানা দিক তুলে ধরবেন।
মোনাকো থেকে পিএসজি, দুই ক্লাবেই এমবাপ্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ক্যাম্পোসের। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে ক্লাবের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্কের পর যখন এমবাপ্পে পিএসজি ছাড়ার দ্বারপ্রান্তে, তখন তিনিই ছিলেন তার পাশে। সেই সময় এমবাপ্পে বলেছিলেন, ‘লুইস ক্যাম্পোস আর কোচ লুইস এনরিক না থাকলে আমি পিএসজির হয়ে আর খেলতাম না।’
২০২৪ সালে ফ্রি ট্রান্সফারে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন এমবাপ্পে। তার এই বিদায়ের নেপথ্য গল্প নিয়েও ক্যাম্পোস মুখ খুলবেন বইটিতে এমনটাই ধারণা ফুটবল বিশ্লেষকদের।
মোনাকোতে থাকাকালীনই ক্যাম্পোস নজর কাড়েন তরুণ প্রতিভা তুলে আনার দক্ষতায়। তার গড়া দল ২০১৬-১৭ মৌসুমে লিগ শিরোপা জেতে। এরপর লিলে গ্যাব্রিয়েল ম্যাগালহায়েস, রাফায়েল লেয়াও, নিকোলাস পেপের মতো খেলোয়াড়দের কিনে বিশাল মুনাফায় বিক্রি করে খ্যাতি কুড়ান। সেই ধারাবাহিকতায় পিএসজিকেও নতুন রূপ দিয়েছেন তিনি।
তবে পিএসজির সঙ্গে ক্যাম্পোসের বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে আগামী গ্রীষ্মে। নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর না হওয়ায় গুঞ্জন উঠেছে, তিনি অন্য কোনো ক্লাবে যোগ দিতে পারেন। আর্সেনালের স্পোর্টিং ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকার গুঞ্জন ছিল, যদিও ওই পদে এখন ইতালিয়ান আন্দ্রেয়া বের্তা নিয়োগ পেয়েছেন।