Prothomalo:
2025-03-14@06:17:06 GMT

কুলবরই ভালো, নাকি সাধারণ বরই

Published: 11th, February 2025 GMT

কারও পছন্দ কুলবরই, কারও–বা সাধারণ বরই। কেউ আবার খান বাউকুল বা আপেল কুল। স্বাস্থ্যের জন্য কোনটা ভালো? এত রকম বরইয়ের পুষ্টির তফাতই–বা কী? সব বরই কি সবাই খেতে পারেন? কিংবা বরইয়ের কি কোনো স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে? জেনে নিন আজ।

যেকোনো ধরনের বরইয়ে আছে ভিটামিন সি। শীতের সময়টায় রোগ প্রতিরোধক্ষমতা ঠিক রাখতে তাই বরই খেতেই পারেন। পটাশিয়াম আর কিছুটা ক্যালসিয়ামও পাবেন, সামান্য জিঙ্ক ও কপার থাকে। খোসাসহ খাওয়া হয় বলে বরই থেকে আঁশও পাবেন, যা কোষ্টকাঠিন্য এড়াতে সাহায্য করে। আর জলীয় অংশ বা পানি তো থাকেই। বিভিন্ন জাতের বরই থেকেই আপনি এসব পুষ্টি উপাদান পাবেন। তবে বরইয়ের আকার বা জাত অনুযায়ী পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কমবেশি হয়। আর লাল বরইয়ে এসবের পাশাপাশি পাবেন আয়রন ও বিটা ক্যারোটিন। এমনটাই জানালেন ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।

আরও পড়ুনবরই দিয়ে পাবদা মাছের খাট্টা বা টকের রেসিপি ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ক্যালরির হিসাব-নিকাশ

ধরা যাক, আপনি দু-তিনটি বরই খেলেন। এই বরই থেকে আপনি ঠিক কতটা ক্যালরি পাবেন, তা নির্ভর করছে বরইয়ের আকার ও স্বাদের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই যে বরইয়ের আকার বড় কিংবা যেটির স্বাদ মিষ্টি, সেটিতে ক্যালরির পরিমাণ কিছুটা বেশি হবে। তা সেটি যে জাতেরই বরই হোক না কেন। ১০০ গ্রাম বরই থেকে আপনি ৬০–৭০ কিলোক্যালরি পেতে পারেন।

লাল বরইয়ে থাকা আয়রন রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বরই থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

খরায় শুকিয়ে মরছে ছড়া, পানির সংকটে পাহাড়িরা

কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি অঞ্চলে পানির সংকটে ভুগছেন হাজারো মানুষ। শুষ্ক মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে পানি সংগ্রহের জন্য শুরু হয়েছে সংগ্রাম। বিশুদ্ধ পানির জন্য মাইলের পর মাইল পাড়ি দিতে হয় ছোট-বড় সবাইকে।

সরেজমিন উপজেলার সীমান্তবর্তী চন্দ্রডিঙা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ছয় বছরের শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস মায়ের সঙ্গে পানি সংগ্রহে এসেছে। প্রতিদিন দু’বার মা শহর বানুর সঙ্গে পাহাড়ি ছড়ার পাশে খোঁড়া কুয়া থেকে পানি আনতে হয় তাকে। কারণ সরকারিভাবে স্থাপিত গভীর নলকূপগুলোর পানি আয়রনযুক্ত, যা খাওয়ার অনুপযোগী। ফলে বাধ্য হয়েই স্থানীয়দের ছড়া, খাল কিংবা কুয়ার পানির ওপর নির্ভর করতে হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী রংছাতি, খারনৈ ও লেংগুরা ইউনিয়নের প্রায় ৩৫টি গ্রামে ১৮ হাজারের বেশি মানুষ পানির কষ্টে ভুগছেন। এখানকার গারো, হাজং ও বাঙালি জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রা মূলত পাহাড়ি ছড়ার পানির ওপর নির্ভরশীল। শুষ্ক মৌসুমে ছড়াগুলো শুকিয়ে গেলে গভীর নলকূপই ভরসা। কিন্তু এসব কূপ থেকে উত্তোলিত পানিতে অতিরিক্ত আয়রনের উপস্থিতি মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

চন্দ্রডিঙা গ্রামের গৃহিণী রীতা মারাক বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। গভীর নলকূপ থেকে প্রথমে পানি আনতাম; কিন্তু এখন সেখানে প্রচুর আয়রন। বাধ্য হয়ে নালার পানি খাই। শুকনো মৌসুমে পানির জন্য অনেক কষ্ট হয়।’

লেংগুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভূঁইয়া জানান, তাঁর ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়ী, গোপালবাড়ী, ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। বিগত সরকারের আমলে সীমান্তে 

গভীর নলকূপ বসানোর সময় ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ফলে এখনও মানুষ বিশুদ্ধ পানির সুবিধা থেকে বঞ্চিত।

কলমাকান্দা উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী নজরুল ইসলামের ভাষ্য, পাহাড়ি এলাকায় পাথরের স্তর থাকায় গভীর নলকূপ বসানো কঠিন। তবে সীমান্ত এলাকায় কয়েকটি গভীর কূপ স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ভূগর্ভস্থ স্তরে সমস্যা থাকায় সেখানে আয়রনের মাত্রা বেশি।

নেত্রকোনা জেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান বলেন, কলমাকান্দার সীমান্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট নিরসনে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমস্যার সমাধান হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • খরায় শুকিয়ে মরছে ছড়া, পানির সংকটে পাহাড়িরা