নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় একটি বাইসাইকেলে থাকা সাত বছর বয়সী দুই স্কুলশিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের বৈকণ্ঠপুর বাজারের পশ্চিমে মাইজদী-উদয়সাধুরহাট সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহত এক শিশুর বাবা।

নিহত দুই স্কুলশিক্ষার্থী হলো আরাফাত হোসেন (৭) ও আছমা খাতুন (৭)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাত ভাই-বোন। দুজনই স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ত। আহত ব্যক্তির নাম আবুল কালাম (৩৫)। তিনি বৈকণ্ঠপুর এলাকার বাসিন্দা ও নিহত আছমার বাবা। তাঁকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে আরাফাত ও আছমাকে নিজের বাইসাইকেলে করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন আবুল কালাম। বৈকণ্ঠপুর বাজারের পশ্চিমে মাইজদী-উদয়সাধুরহাট সড়কে একটি বালুবাহী ট্রাক বাইসাইকেলটিকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। আহত হন আবুল কালাম।

চরমটুয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলী হাছান ওরফে হিরু এবং স্থানীয় পল্লিচিকিৎসক মো.

জাবের প্রথম আলোকে বলেন, মাইজদী থেকে উদয়সাধুরহাট অভিমুখী বালুবাহী ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে চলছিল। ট্রাকের চাপায় দুই শিশুর মাথা থেঁতলে যায়। ঘটনাটি দেখে আশপাশের কয়েকজন নারীও অসুস্থ হয়ে পড়েন। ট্রাকটি স্থানীয় জনতা আটক করেছে। তবে ট্রাকের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

জানতে চাইলে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, বালুবাহী একটি ট্রাকের চাপায় বাইসাইকেলে থাকা দুই শিশু মারা গেছে। এ ছাড়া একজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

স্কুলে যাওয়া হলো না শিশু আসমা-আরাফাতের, অভিভাবকও হাসপাতালে

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ট্রাকচাপায় আসমা বেগম (৬) ও মো. আরাফাত (৫) নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তারা সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন। এ দুর্ঘটনায় নিহত শিশু আরাফাতের বাবা আবুল কালামকে গুরুতর আহত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের ইসলামীয়া সড়কের বৈকন্ঠপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ভূঞা বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

নিহত আসমা বেগম চরমটুয়া ইউনিয়নের সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে ও মো. আরাফাত ফরিদাবাদ গ্রামের আবুল কালামের ছেলে। তারা স্থানীয় কোয়ালিটি অ্যাডুকেশন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।  

স্থানীয়রা জানান, সকাল সোয়া ৮টার দিকে আবুল কালাম বাইসাইকেলে তার ছেলে আরাফাত ও শ্যালকের মেয়ে আসমাকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন। সাইকেলটি উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের ইসলামীয়া সড়কের বৈকন্ঠপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ভূঞা বাড়ির দরজায় পৌঁছালে স্থানীয় নতুনহাট বাজারগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় আবুল কালামকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতের পরিবারের অভিযোগর ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সুজন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্কুলে যাওয়া হলো না শিশু আসমা-আরাফাতের, অভিভাবকও হাসপাতালে