সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুরে রান্না করা পাখির মাংস বিক্রি করায় দুটি রেস্তোরাঁর মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তারের নেতৃত্বে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে রান্না করা পাখির মাংসের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটর ও পলিথিনে সংরক্ষিত জবাই করা নানা প্রজাতির অসংখ্য পাখিও জব্দ করা হয়। পাখির মাংস বিক্রি করায় অভিযানে তানভীর রেস্টুরেন্ট ও চুয়াডাঙ্গা রেস্টুরেন্টের মালিককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই হরিপুর এলাকায় বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁয় দেশি-বিদেশি নানা প্রজাতির পাখির মাংস বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় গতকাল স্থানীয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এতে বন বিভাগের কর্মকর্তারা প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। দুটি রেস্তোরাঁর মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ৯টি রেস্টুরেন্ট থেকে বিভিন্ন প্রজাতির জবাই করা ৭৩টি পাখি জব্দ করা হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার বলেন, পাখি বিক্রি ও হত্যার অপরাধে দুই রেস্তোরাঁর মালিককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া সব কটি রেস্তোরাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন অভিযান চলবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কান্নায় ভেঙে পড়ছেন শিশুটির মা, অপরাধীদের ফাঁসি চাইলেন বোন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারে চলছে শোকের মাতম। সন্তানের মৃত্যুতে শিশুটির মা আয়েশা অক্তার বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছেন। আহাজারি করে তিনি ধর্ষকদের ফাঁসির দাবি জানাচ্ছেন। শিশুটির বোনও অঝোরে কাঁদছেন। তিনি অভিযুক্ত ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

শিশুটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তার প্রতিবন্ধী বাবা নির্বাক হয়ে পড়েছেন। পরিবারে অন্য সদস্যরাও কান্নাকাটি করছেন। এ মৃত্যুতে গ্রামবাসীরাও মর্মাহত। 

স্থানীয় সব্দালপুর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি পরিবারটির পাশে আছেন। তাদের সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

আট বছরের শিশুটি ৫ মার্চ মাগুরায় বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। সন্ধ্যা ৭টায় সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে তাকে মাগুরা আনা হয়। এরপর শহরের নোমানী ময়দানে প্রথম জানাজা, পরে শ্রীপুর উপজেলার শব্দালপুর ইউনিয়নের জারিয়া গ্রামে দ্বিতীয় জানানা শেষে স্থানীয় সোনাইকুন্ডি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়।

সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, মৃত্যুর ঘটনায় তার ভগ্নিপতি হিটু শেখ, হিটু শেখের দুই ছেলে সজীব শেখ ও রাতুল শেখের নামে শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের মধ্যে হিটু শেখকে সাতদিন ও অন্যদের পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তাদের জ্ঞিাসাবাদ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ