বিশ্বব্যাংক স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ দিচ্ছে। এ ইন্টার্নশিপ যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি বা বিশ্বব্যাংকের কোনো কান্ট্রি অফিসে হবে। চার মাস মেয়াদের এ ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশসহ সব দেশের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।

ব্যাংক ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রামের (বিআইপি) আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের যাবতীয় খরচ বহন করবে বিশ্বব্যাংক। আবেদনের জন্য কোনো বয়সসীমা নেই। কোনো ইংরেজি ভাষা পরীক্ষা দিতে হবে না। তবে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। আবেদনের সিভি, স্টেটমেন্ট অব ইন্টারেস্টসহ আবেদন করতে হবে। একবার আবেদন করলে আবেদনে আর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না।

আরও পড়ুনপ্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন গ্রেড বৃদ্ধি, বিদ্যালয়কে লাল–হলুদ ও সবুজ শ্রেণিতে ভাগ করার সুপারিশ১২ ঘণ্টা আগেকোন বিষয়ের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন

অর্থনীতি, ফিন্যান্স, মানব উন্নয়ন (জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, জনসংখ্যা), সামাজিক বিজ্ঞান (নৃবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান), কৃষি, পরিবেশ, প্রকৌশল, নগর-পরিকল্পনা, প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা, অ্যাকাউন্টিং, যোগাযোগ, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও তথ্যপ্রযুক্তির শিক্ষার্থীরা এ ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনে কী কী প্রয়োজন

জীবনবৃত্তান্ত (সিভি);

স্টেটমেন্ট অব ইন্টারেস্ট;

স্নাতক ডিগ্রিতে তালিকাভুক্তির প্রমাণপত্র।

আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নাম ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ২০ ঘণ্টা আগেআবেদনে যোগ্যতার মানদণ্ড

আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি থাকতে হবে;

আবেদনকারীর কোনো বয়সসীমা নেই;

ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। তবে ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, রুশ, আরবি, পর্তুগিজ ও চীনা ভাষা জানা থাকলে বাড়তি সুবিধা;

কম্পিউটিংয়ে এবং অন্য যেকোনো দক্ষতা বাড়তি যোগ্যতা হিসেবে দেখা হবে।

ছবি: বিশ্বব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুনামগঞ্জে ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব’ উদ্‌যাপিত

‘বন্ধে মায়া লাগাইছে, দিওয়ানা বানাইছে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু’—এ রকম অসংখ্য কালজয়ী গান ও এর স্রষ্টাকে শ্রদ্ধায় স্মরণের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী ‘শাহ আবদুল করিম লোক উৎসব-২০২৫’।

বাউলসম্রাটের ১০৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শাহ আবদুল করিম পরিষদের আয়োজনে তৃতীয়বারের মতো এ উৎসবে সহযোগী ছিল দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ। বাংলা লোকগানের এই অমর স্রষ্টার স্মরণে ২০০৬ সাল থেকে কালনী নদীর তীরে উজানধল মাঠে আয়োজিত হয়ে আসছে এই উৎসব।

গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি এবং বাউলসম্রাটপুত্র শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনীতে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া, বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)সহ অন্যরা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) বলেন, ‘বিকাশ সাধারণ মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজে, নিরাপদে আর্থিক সেবা নিশ্চিত করে যাচ্ছে। এই সেবাগুলো দেওয়ার পাশাপাশি দেশের আবহমান সংস্কৃতির চর্চায়ও যেন আমরা ভূমিকা রাখতে পারি, সেই চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।’

বরাবরের মতো এবারও উৎসব আয়োজনে সহযোগিতার জন্য বিকাশ ও গ্রামবাসীকে কৃতজ্ঞতা জানান শাহ আবদুল করিম পরিষদের সভাপতি এবং বাউলসম্রাটপুত্র শাহ নুর জালাল।

সারা দেশ থেকে আসা লোকসংগীতের শিল্পী ও ভক্ত-অনুরাগীরা বাউলসম্রাটের সৃষ্টিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দিতে গান-শ্রদ্ধা-স্মরণে মাতিয়ে রাখেন দুটি রাত। স্থানীয় তরুণ-বৃদ্ধ-নারীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশের বাইরে থেকেও আসা ভক্ত-সুধীজনেরা অংশ হয়ে ওঠেন এই প্রাণের উৎসবের। উৎসব কেন্দ্র করে উজানধল মাঠে নানা পণ্যের পসরা নিয়ে এবারও জমে ওঠে বর্ণিল মেলা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ