Prothomalo:
2025-02-11@12:39:02 GMT

প্রকৃত অপরাধীরা যেন ছাড় না পায়

Published: 11th, February 2025 GMT

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিতে হয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকারকে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছিল। বেশ কিছু স্থানে মব জাস্টিসে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছিল। পুলিশের অনুপস্থিতি ও নিষ্ক্রিয়তা ছিল এর বড় কারণ।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাস পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ার কোনো অজুহাত থাকতে পারে না। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণের মতো অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় নাগরিকদের মধ্যে একটা নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। সবার প্রত্যাশা ছিল, সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষা তথা নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, তা যথেষ্ট নয় বলেই প্রতীয়মান হয়েছে।

সম্প্রতি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে যাঁরা অপরাধ, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং ছাত্র–জনতা হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, তঁাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা সরকারের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা–কর্মীরা বর্তমানে নানা ধরনের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ন্যায্য কিন্তু ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ কোনো অবস্থাতেই ক্ষোভের জবাব নয়।

সার্বিক প্রেক্ষাপটে সরকার বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্ট’ শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে, অভিযানটি যথাযথভাবে পরিচালিত হবে কি না। কেননা, মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে গত ছয় মাসে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।

অতীতে বিভিন্ন আমলে এ ধরনের অভিযান চালানো হয়েছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। অপরাধ দমনের নামে পরিচালিত এসব বিশেষ অভিযানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, হেফাজতে নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যথেচ্ছ ঘটনা আমরা দেখেছি। এবার যাতে তার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

আমরা আশা করি, যারাই সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে এবং হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ, চাঁদাবাজির মতো দুষ্কর্মে লিপ্ত হবে, রাজনৈতিক বা সামাজিক পরিচয় যা–ই হোক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে হবে। কোনো দলের নেতা-কর্মী অপরাধ করে যেন পার না পান। আবার কোনো দলের নেতা-কর্মী অপরাধ না করেও যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হন।

এ প্রসঙ্গে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এককভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির কাজটি করতে পারে না। এতে সমাজের বিভিন্ন অংশীজনেরও সমর্থন থাকা প্রয়োজন। সেই সমর্থন তাঁরা তখনই দেবেন, যখন দেখবেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পক্ষপাতহীনভাবে অভিযান পরিচালনা করছে এবং তাদের দ্বারা নিরীহ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন না।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, আপনারা অপরাধীদের ধরুন, প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনুন। কিন্তু মানবাধিকার লঙ্ঘন করবেন না। ‘ডেভিল’ ধরার নামে যদি নিরীহ ও নিরপরাধ মানুষ হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হন, তাহলে সরকারের এই অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর স থ ত সরক র র পর চ ল অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৩৪৩ জন

সারাদেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’। বিশেষ এই অভিযানের দ্বিতীয় দিনে (রোববার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত) ৩৪৩ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এই সময়ে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও ১১টি গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। এদিকে সোমবার সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদারকে রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এ ছাড়া ফার্মগেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হবিগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি আবদুল মজিদ খানকে। ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মজিদ খানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।  

সোমবার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩৪৩। একই সময়ে বিশেষ অভিযানের বাইরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ১ হাজার ১৭৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ডেভিল হান্টে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, শটগানের কার্তুজ ছয়টি, তিনটি ছুরি, তিনটি তলোয়ার, একটি কুড়াল, ককটেল ১০টি ও চারটি রামদা জব্দ করা হয়।

পল্লবীর ছয় নম্বর কাঁচাবাজারে চাঁদাবাজির অভিযোগে গতকাল দুপুরে মোহাম্মদ রানা নামে এক যুবদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। তিনি পল্লবীর ছয় নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার রাতে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের গাজীপুরের বাড়িতে হামলায় কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এর পর শনিবার থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়। প্রথম দিনে এই অভিযানসহ বিভিন্ন মামলায় মোট ১ হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেপ্তারের খবর জানায় পুলিশ।

সোমবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘যারা শয়তান, তারাই ডেভিল হান্টে ধরা পড়বে। ছোট শয়তান, বড় শয়তান বলে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমাদের জালে যে আসবে, তাকেই ধরা হবে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছাড় পায়নি। অপারেশন ততদিন চলবে, যতদিন ডেভিলমুক্ত না হবে।’

রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে কোনো নির্দোষ ব্যক্তি যেন শাস্তি না পায়, সেজন্য সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সারাদেশে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’
গাজীপুরে আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরও ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার রাতের অভিযানে জেলা পুলিশ ২১ জন ও মহানগর পুলিশ ৭৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিশেষ শাখার উপপুলিশ কমিশনার আলমগীর হোসেন বলেন, গাজীপুরে গত তিন দিনে ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি ও যুবলীগ নেতাসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন। 

কিশোরগঞ্জে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে মির্জাপুর রফপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রহমান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৬ জনক গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। 

সুনামগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের ছয় নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হবিগঞ্জে রোববার রাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই আওয়ামী লীগ নেতা। সিলেটে পৃথক অভিযানে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর মামলায় আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে করেছে পুলিশ। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি মশিউর রহমান বাবুকে দুমকী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভোলায় ১৪ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে কোস্টগার্ড। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ভোলা সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. মনসুর আলীসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা মেজবাউদ্দিন নিলুকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম সাহেবসহ ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। খুলনায় রোববার রাতে পৃথক অভিযানে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের কাছ থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বস্ত্র উপকমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম লিটনকে রোববার ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাউব। তিনি পাবনা-৪ আসন থেকে গত তিনবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। ঈশ্বরদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় রোববার আব্দুল মতিন নামের এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। বগুড়ায় ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত।

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছ। এ ছাড়া গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সালমান শুভকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সাইফুর রহমান সরকারি কলেজের প্রভাষক শংকর কুমার সেনসহ আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো, অফিস, প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা)

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুলসহ ৬ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ
  • হুটহাট জামিন দেবেন না: বিচার‌কদের আসিফ নজরুল
  • কোনো ‘ডেভিল’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কোনো ‘শয়তান’ যেন পালাতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • অপরাধীকে ময়দানে-রাজপথে কোথাও দেখতে চাই না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কোনো ‘ডেভিল’ যেন পালতে না পারে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কোনো শয়তান যেন পালাতে না পারে, বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • কেন এত দিন খুঁজে ধরে ফেলা হয়নি ‘ডেভিলদের’
  • ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গ্রেপ্তার ৩৪৩ জন