চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যে তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার পরই বাংলাদেশ
Published: 11th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য একটা ক্রমতালিকা করা হলো, বাংলাদেশ ওখানে কত নম্বরে থাকবে বলে আপনার ধারণা? পারফরম্যান্স বা পরিসংখ্যানে সেরা তিনে থাকার সম্ভাবনা খুব একটা নেই। নানা নামে হওয়া আট আসরে বাংলাদেশের প্রাপ্তি বলতে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলা।
এবার আরেকটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যখন দোরগোড়ায়, বাংলাদেশ একটি দিক থেকে আছে অস্ট্রেলিয়ার পরই। যারা কেবল একবার সেমিফাইনাল খেলেছে, তারা আবার দুইয়ে থাকে কী করে—প্রশ্নটা আসা স্বাভাবিক। কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার অভিজ্ঞতা আছে—এমন ক্রিকেটারের সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়ার পরই আছে বাংলাদেশ।
স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড—এই সাত অস্ট্রেলিয়ান আগেও খেলেছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। ম্যাক্সওয়েল ও স্টার্কের অভিজ্ঞতা একটু বেশি—তাঁরা এবার তৃতীয়বারের মতো খেলবেন এই টুর্নামেন্ট।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের স্কোয়াডে আছেন, আগেও এই টুর্নামেন্টে খেলছেন; বাংলাদেশের এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা ছয়—২০১৭ সালে বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে তোলা ওই দলের সদস্য ছিলেন মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, সৌম্য সরকার, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদ।
এ জায়গায় বাংলাদেশের পরই আছে ভারত, দলটির পাঁচজন ক্রিকেটার আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলেছেন—বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়া, যশপ্রীত বুমরা ও মোহাম্মদ শামি। এর মধ্যে কোহলি ও রোহিত এবার খেলতে যাচ্ছেন তৃতীয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম ফ ইন ল র পরই
এছাড়াও পড়ুন:
হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন অপরাধের মামলার বিচার আবার শুরু হচ্ছে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রযোজক হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মামলার বিচারকাজ আবার শুরু হতে যাচ্ছে। নিউইয়র্কের একটি আদালতে আগামী মঙ্গলবার এ বিচারকাজ শুরু হবে।
ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হওয়া মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এই মিডিয়া মোগলকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল।
জোডি ক্যানটর ও মেগান টুহে নামের নিউইয়র্ক টাইমসের ২ প্রতিবেদক ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর হার্ভে উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে প্রতিবেদন লিখে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁদের প্রতিবেদনের সূত্র ধরে সে সময় সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন।
উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে তাঁর সাবেক প্রযোজনা সহকারী মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন (২০০৬ সালে) এবং অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণের (২০১৩ সালে) অভিযোগে মামলা হয়েছে।
২০২০ সালে নিউইয়র্কের একটি জুরিবোর্ড মিমি হ্যালেইকে যৌন নির্যাতন এবং অভিনেত্রী জেসিকা মানকে ধর্ষণসহ উইনস্টেইনের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের দুটিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তখন উইনস্টেইনকে ২৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন উইনস্টেইনের আইনজীবীরা। ২০২৪ সালের এপ্রিলে একটি আপিল আদালত নিউইয়র্ক জুরিবোর্ডের ওই আদেশ বাতিল করে দেন।
আপিল আদালত থেকে বলা হয়, উইনস্টেইনের বিচারের সময় আদালতে যেভাবে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে, তা যথাযথ আইন মেনে হয়নি। আদালত থেকে বিচারকাজ আবার শুরু করার আদেশও দেওয়া হয়।
আগামী মঙ্গলবার ম্যানহাটন ফৌজদারি আদালতে উইনস্টেইনের বিচারকাজ শুরু হবে। ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উইনস্টেইনের বয়স এখন ৭৩ বছর। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের নতুন করে তদন্ত করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
আরও পড়ুন'মি টু' আন্দোলনের জয়, দোষী সাব্যস্ত উইনস্টেইন২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০উইনস্টেইন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ কখনো স্বীকার করেননি; বরং দাবি করেন যে তিনি কোনো ভুল করেননি। যা কিছু হয়েছে, তা পারস্পরিক সম্মতিতে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় অন্য একটি ধর্ষণের মামলায় ২০২৩ সালে আদালত উইনস্টেইনকে দোষী সাব্যস্ত করে ১৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুনজোলি আর গিনেথকেও কুপ্রস্তাব দিয়েছিলেন হার্ভে১১ অক্টোবর ২০১৭