Samakal:
2025-02-11@12:36:35 GMT

বার্সার ‘বৃহস্পতি’ এখন তুঙ্গে!

Published: 11th, February 2025 GMT

বার্সার ‘বৃহস্পতি’ এখন তুঙ্গে!

রিয়ালকে হারতে হবে, মাদ্রিদ ডার্বি ড্র হতে হবে এবং নিজেদের জিততে হবে; এর কোনোটি এদিক-ওদিক হয়ে গেলেই লাইনের পেছনে গিয়ে দাঁড়াতে হতো তাদের। তবে ফেব্রুয়ারির প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহে কাতালানদের ভাগ্যের বৃহস্পতি যেন তুঙ্গে।

বার্সেলোনার সৌভাগ্যের দ্বার খুলে রিয়াল মাদ্রিদ ২ ফেব্রুয়ারি এস্পানিওলের কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। শনিবার মাদ্রিদ ডার্বিতে এমবাপ্পেরা পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে এবং তার পর রোববার রাতে ১০ জন নিয়েও বার্সেলোনা তাদের গোল উৎসব ধরে রাখল সেভিয়াকে ১-৪ গোলে হারিয়ে। এই তিনটি ম্যাচেই ওলট-পালট লা লিগার পয়েন্ট টেবিল। যেখানে কিছুদিন আগেও বার্সার সঙ্গে শীর্ষস্থানে থাকা দলের ৯ পয়েন্টের ব্যবধান ছিল। সেখানে এখন ঢিল ছোড়া দূরত্বের ব্যবধান ২ পয়েন্টের।

নিশ্চয় ভীষণ খুশি বার্সার জার্মান কোচ হ্যান্সি ফ্লিক, তবে তাঁকে এতদিনে যারা চিনে নিয়েছেন, তারা অন্তত এটা জানেন তৃপ্ত তিনি এত সহজে হন না। ‘লিগে যে চার-পাঁচটি দল ভালো করছে, তাদের মধ্যে আমরা রয়েছি। লিগে এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। তাই এই ছন্দটা ধরে রাখাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।’

ছন্দটা বার্সার শুরু হয়েছে গত মাসে জেদ্দায় সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ধরাশায়ী করার পর থেকেই। দলের দুই গোল মেশিন লেভানডস্কি ও রাফিনিয়াও ছুটছেন ঝড়ের বেগে। এদিন সেভিয়ার মাঠে ম্যাচের ৭ মিনিটেই গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেভানডস্কি।

প্রথমার্ধে ১-১ গোলের ম্যাচের পরবর্তী সময়ে শুধুই বার্সার আধিপত্য। বদলি নেমে গোল করেন ফের্মিন লোপস। বাকি গোল দুটি করেন রাফিনিয়া ও গার্সিয়া। পরিসংখ্যান বলছে, এই মৌসুমে সব আসরে বার্সা যে ১১৩টি গোল করেছে, তার মধ্যে লেভার গোল সংখ্যা ৩১ এবং রাফিনিয়ার ২৪। অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক গোলই এসেছে এই দুই মেশিন থেকে। লা লিগায় ১৯ গোল করে এই মুহূর্তে শীর্ষে আছেন লেভা, ১৬ গোল করে রিয়ালের এমবাপ্পে দ্বিতীয়তে আর ১৩ গোল করে রাফিনিয়া তৃতীয়তে।

এদিন ম্যাচে বার্সার মূল চ্যালেঞ্জ ছিল অবশ্য লোপেসের লাল কার্ড দেখা। রেফারি প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখালেও ভিএআরের রায়ে পরে লাল কার্ড দেখান। আর ম্যাচের পরবর্তী ১০ মিনিট ১০ জনকে নিয়ে লিড ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে পড়ে বার্সা। আর এখানেই কোচ ফ্লিকের ৪-৪-১ কৌশল সফল হয়। শুরুতে তিনি একাদশ সাজিয়েছিলেন ৪-২-৩-১ ফরমেশনে, একজন খেলোয়াড় কমে গেলে পরে তাঁকে মাঝমাঠে কৌশলী হতে হয়। ‘যেভাবে আমরা ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পেরেছি, তাতে খুশি আমি। ১০ জন নিয়ে এই ফরমেশনে খেলাটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় ব্যাপার ছিল এবং এই ফরমেশনে আমরা চতুর্থ গোলটি সেট পিসে করতে পেরেছি।’ দারুণ এক সপ্তাহ কাটানোর পর দলের সবাইকে তিন দিনের বিশ্রামের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। কারণ সামনে বড় সব পরীক্ষায় নামতে হবে তাদের।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল গ ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী আমলের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার ও নিয়োগ নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে ‘বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলন’-এর ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

প্রায় অর্ধযুগ পর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ শুরু হতে যাচ্ছে। কাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভাইভা বোর্ডের মাধ্যমে এ নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তি (সার্কুলার) প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী রাশেদ রাজন বলেন, ৫ আগস্ট বিপ্লব-পরবর্তী সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি ছিল, আগের বিজ্ঞপ্তিতে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না। কিন্তু কাল পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের যে ভাইভা ডাকা হয়েছে, সেটা কার্যকর হলে তাঁদের বিজয় পরাজিত হবে। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সময়ের বিজ্ঞপ্তি সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষক নিয়োগ হবে না। বিগত বিজ্ঞপ্তিতে যাঁরা যোগ্য, মেধাবী, পিএইচডিধারী, তাঁরা কেউই আবেদন করেননি। কারণ, তাঁরা জানতেন ওই বিজ্ঞপ্তিতে তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু বর্তমান প্রশাসন সেই বিজ্ঞপ্তিতেই পদার্থবিজ্ঞান বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা নিতে যাচ্ছে। অবিলম্বে সেই বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাখ্যান করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি শাকিল হোসেন বলেন, বিগত সময়ে অর্থনৈতিক লেনদেন, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ এমন কোনো অনিয়ম নেই, যেগুলো নিয়োগপ্রক্রিয়ায় প্রশাসন ঘটায়নি। আওয়ামী লীগ শাসনামলের বিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন ফ্যাসিবাদের দোসরদের আবার সুযোগ করে দিচ্ছে। বিপ্লব-পরবর্তী প্রশাসন আগের ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের দেখানো পথেই হাঁটছে। অনতিবিলম্বে শিক্ষক নিয়োগপ্রক্রিয়া বাতিল করে আবার বিজ্ঞপ্তি ও নীতিমালা সংস্কার করে যোগ্যদের নিয়োগপ্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দিতে হবে।

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরপেক্ষ অবস্থানে না থেকে দলীয় প্রশাসনে পরিণত হয়েছিল। দলীয়করণের প্রধান কারণ ছিল অনিয়মতান্ত্রিক দলীয় নিয়োগপ্রক্রিয়া। ফ্যাসিস্ট আমলের সেই নিয়ম ভেঙে নতুন বাংলাদেশে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ গঠনতান্ত্রিক আন্দোলনের সংগঠক রাবেয়া মুহিব। এ সময় ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মনজুরুল ইসলাম ও সজিবুর রহমান বক্তব্য দেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বইমেলায় আক্রমণ মতপ্রকাশের ওপর আঘাত
  • আওয়ামী আমলের শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল ও নীতিমালা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ
  • জিম্মি মুক্তি স্থগিত করল হামাস, ‌‘সর্বোচ্চ সতর্কতায়’ ইসরায়েলি সেনাবাহিনী
  • গর্ভাবস্থায় ফাইব্রয়েড টিউমার কতটা ভয়ের?
  • মতবিনিময় সভা: অধূমপায়ী ও তরুণদের সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের দাবি
  • নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে জবির প্রথম ফেজের কাজ: উপাচার্য 
  • অপরিবর্তিত থাকছে নীতি সুদহার
  • বাকৃবিতে এক শিক্ষার্থীকে একাধিকবার বহিষ্কার
  • ডিআইজি ও তিন পুলিশ সুপার আটক