আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটার আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুর মান ১৯৬। এমন অবস্থাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

আজ সকালে বিশ্বের ১২৪ নগরীর মধ্যে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ। বায়ুদূষণে ঢাকার এ অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার।

প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে।

গতকাল সোমবার এ সময় রাজধানীর বায়ুর মান ছিল ৫৪২। গতকালের পরিস্থিতিতে ‘অস্বাভাবিকের চেয়ে অস্বাভাবিক’ বলেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকাগুলোর মধ্যে যেসব এলাকায় বায়ুর মান মারাত্মক দূষিত, সেগুলোর মধ্যে আছে সাভারের হেমায়েতপুর (২৫৩), মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (২৫১) ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (২০৮)।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২ দশমিক ৫-এর উপস্থিতি। ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে প্রায় ২৪ গুণ বেশি।

গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে একটি দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারিতে দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকায় গত জানুয়ারিতে একাধিক দিন বায়ুর মান ৩০০-এর বেশি হয়েছে। আজ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোর বায়ুর মানও নাজুক। এর মধ্যে বায়ুর মান চট্টগ্রামে ১২৫, রাজশাহীতে ১৭৫ ও খুলনায় ১৫৭।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আকাশে শোভা পাবে রক্তিম চাঁদ: কখন, কীভাবে দেখা যাবে

রাতের আকাশে দেখা যাবে বিরল এক দৃশ্য। আজ বৃহস্পতিবার ১৩ ও আগামীকাল শুক্রবার ১৪ মার্চ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। এ সময় গাঢ় তাম্রবর্ণ ধারণ করবে চাঁদ। একে বলা হচ্ছে ‘ব্লাড মুন’ বা ‘রক্তিম চাঁদ’। তবে পৃথিবীর সব স্থান নয়, এবারের চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে শুধু পশ্চিম গোলার্ধ থেকে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক চন্দ্রগ্রহণ কী, আসন্ন গ্রহণের সময় কেন চাঁদ রক্তবর্ণ ধারণ করবে, কারা কারা চাঁদের এই রূপ দেখতে পাবেন, আর এ ঘটনা কতটা বিরল।

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কী

পৃথিবী যখন চাঁদ ও সূর্যের ঠিক মাঝামাঝিতে অবস্থান করে, তখন সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছানোর আগে পৃথিবীর ওপর বাধা পায় এবং পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর, এ সময় চন্দ্রগ্রহণ হয়। এই চন্দ্রগ্রহণের প্রধানত তিনটি ধরন রয়েছে। সেগুলো হলো—

পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ পুরোপুরি পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায়। এ সময় চাঁদ লালচে রং ধারণ করে।

আংশিক চন্দ্রগ্রহণ: চাঁদের একটি অংশের ওপর যখন পৃথিবীর ছায়া পড়ে, তখন আংশিক চন্দ্রগ্রহণ হয়। চাঁদের পৃষ্ঠের ওপর পৃথিবীর ছায়া ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং পরে তা কমে যায়। তবে পুরো চাঁদ পৃথিবীর ছায়ার আড়ালে চলে যায় না।

উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ: এই চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদ সরাসরি পৃথিবীর মূল ছায়ার ভেতরে থাকে না। বরং ছায়ার বাইরের অংশ বা উপচ্ছায়ার ভেতর দিয়ে যায়। এর ফলে চাঁদ স্বাভাবিকের চেয়ে কম উজ্জ্বল দেখায়।

চন্দ্রগ্রহণের বিভিন্ন পর্যায়। এর মধ্যে পূর্ণগ্রহণের সময় দেখা যাচ্ছে রক্তিম চাঁদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ