ধীরে ধীরে বিভীষিকাময় সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কাটিয়ে উঠতে চলেছে বলিউডের নবাব পরিবার। তবে গত ১৬ জানুয়ারি সেই রাতে সাইফ-কারিনার বাসায় কী ঘটেছিল, তা নিয়ে এখনো চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড তারকা সাইফ আলী খান বম্বে টাইমসকে অভিশপ্ত সেই রাতের কথা থেকে আরও নানা কিছু ঘটনার বর্ণনা করলেন।      
সাইফ আলীর ভাষ্যে, ১৬ জানুয়ারি রাতে সাইফ-কারিনার বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে এক দুষ্কৃতি ঢুকে পড়েছিলেন। শুধু তা–ই নয়, অজ্ঞাতনামা সেই ব্যক্তি সোজা সাইফ-কারিনার ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। জাহাঙ্গীরকে রক্ষা করতে গিয়ে আততায়ীর হাতে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন সাইফ। তাঁকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেছিলেন আততায়ী। এরপর সাইফ নিজে গিয়ে বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আর সঙ্গে ছিল তাঁর আট বছরের ছেলে তৈমুর। ঘটনার কিছুদিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন সাইফ। এই বলিউড তারকার ওপর হামলার মূল অভিযুক্ত হিসেবে বান্দ্রা পুলিশ মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ দাবি করছে যে শরিফুল বাংলাদেশের নাগরিক। তাদের দাবি অনুযায়ী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন শরিফুল। এখন আর্থার রোড জেলে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে আছেন তিনি। এদিকে সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরেছেন সাইফ। কিছুদিন আগেই নেটফ্লিক্সের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলী খান। এএনআই.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আশুলিয়ায় পোশাক শ্রমিক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার 

ঢাকার আশুলিয়ায় ভাড়া বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে আশুলিয়ার কাঁঠালতলা এলাকায় আফাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতরা হলেন—বরগুনার পাথরঘাটা থানার বড়ইতলা গ্রামের মোস্তফার ছেলে মো. শাওন ও একই থানার জমাদ্দার বাড়ি গ্রামের শাহ আলম মাতব্বরের মেয়ে হাফিজা। তারা দুজনই পোশাক শ্রমিক ছিলেন।  

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পাঁচ তলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রায় পাঁচ মাস আগে তারা এ বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। 

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ আরো জানিয়েছে, হাফিজা রাতে বাসায় ফিরে শাওনের ঝুলন্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করে ওঠেন। সে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসার আগেই স্বামীর মরদেহ বিছানায় নামিয়ে সে রশি দিয়েই আত্মহত্যা করেন হাফিজা। 

আশুলিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দীন জানান, তারা কী কারণে আত্মহত্যা করেছেন, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

ঢাকা/সাব্বির/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ