গুগল ম্যাপসের স্ট্রিট ভিউয়ের সুবিধা কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট স্থানের চারপাশের ছবি দেখা যায়। ফলে অচেনা কোনো স্থানে যাওয়ার আগে সেখানকার সামনে-পেছনে, ডানে-বাঁয়ে কী আছে তা ঘরে বসেই দেখতে পান ব্যবহারকারীরা। স্ট্রিট ভিউয়ের বেশির ভাগ ছবি বিশেষ গাড়ি দিয়ে তোলা হয়। তবে কিছু ছবি ট্রাইসাইকেল, উট, নৌকা, স্নোমোবাইল, পানির নিচে ব্যবহারযোগ্য কিছু যন্ত্রপাতি এবং হেঁটে তোলা হয়েছে। এসব ছবির মধ্যে অদ্ভুত অনেক ছবি রয়েছে। সেগুলো দেখে নেওয়া যাক।

গোবি মরুভূমির অদ্ভুত নিদর্শন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বই হোক শৈশবের বন্ধু

ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে যখন ইন্টারনেট ছিল না, তখন সময় কাটানোর অন্যতম একটা মাধ্যম ছিল বই পড়া। অনেকেরই নিয়মিত বই পড়ার অভ্যাস ছিল। অথচ এখন আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়েছি, বই পড়ার অভ্যাস আমাদের থেকে দিন দিন কমে যাচ্ছে। ছাত্রছাত্রী, ছোট-বড় সবারই বই পড়ার আগ্রহ এখন কম। এর কারণ, ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়া। এ বিষয়গুলো চিন্তা করে শিশু- তরুণদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ রাজবাড়ী আয়োজন করেছে বই পড়া প্রতিযোগিতা। ‘স্কুল পরিভ্রমণে’ সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সুভা’ গল্পে বিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিকের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।


প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে। এ সময় তারা বই পড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করার জন্য সমকাল সুহৃদ সমাবেশকে ধন্যবাদ জানায়। তারা বলে, এমন প্রতিযোগিতা আগে কখনও হয়নি। আমরা আনন্দের সঙ্গে গল্পটি পড়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছি। এমন আয়োজন বারবার করার আহ্বান জানায় শিক্ষার্থীরা।


রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সভাপতি কমল কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা করেন রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক রেজাউল করিম, সহকারী শিক্ষক ওলিউল আজম তৈমুর, সাধারণ সম্পাদক রবিউল রবি প্রমুখ। আলোচনা পর্বের সঞ্চালনা ও পুরো আয়োজনের সমন্বয় করেন সমকালের জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দন।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা সেরা আটজনকে পুরস্কৃত করা হয়। এ ছাড়া বই পড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় শুভেচ্ছা উপহার।


রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বই পড়া প্রতিযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বই পড়লে মানুষের তথাকথিত খাবার দেয় না কিন্তু মনের খোরাক দেয়। কোনো বইকেই অবহেলা করা যাবে না। যারা বড় হয়েছে বই পড়েই বড় হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসকে জানতে হলে অবশ্যই বই পড়তে হবে। বই পড়ার বিকল্প নেই। সমকাল সুহৃদ সমাবেশ যে বই পড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে এটা অসাধারণ। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ তৈরি করবে। এমন আয়োজন প্রতি মাসে একবার না হলেও অন্তত দুই মাসে একবার করার আহ্বান জানান তিনি।


অন্য বক্তারাও এমন আয়োজন করার জন্য সুহৃদ সমাবেশকে ধন্যবাদ জানান। তারা জানান, বই মানুষের পরম বন্ধু। বই মানুষের জ্ঞান ও জানার পরিধি বৃদ্ধি করে। নিয়মিত বই পড়লে মানুষের মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। এ ছাড়া সুহৃদ সমাবেশের এমন আয়োজন অব্যাহত রাখতে বলেন সবাই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন– সুহৃদ সমাবেশের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক ইভা ইসলাম, সুহৃদ সাইমুন ইসলাম, সোহাগ শেখ, মিলন হোসেন, শাহরিয়ার প্রধান প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক, সুহৃদ সমাবেশ, রাজবাড়ী
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ