কানাডার অটোয়া ইউনিভার্সিটির বৃত্তি, স্নাতকোত্তরে বছরে ৭৫০০ ও পিএইচডিতে ৯০০০ ডলার
Published: 11th, February 2025 GMT
নানা কারণে কানাডা বিদেশি শিক্ষার্থীদের অন্যতম গন্তব্য। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে দেশটি বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে। তবে এরপরও কম টিউশন ফি, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাব্যবস্থা এবং নাগরিকত্ব ও চাকরির সুযোগের কারণে কানাডায় যেতে চান অনেকেই। কেউ কেউ পকেটের অর্থ খরচ করে কেউবা স্কলারশিপে দেশটিতে পড়তে যান। দেশটিতে আছে নানা স্কলারশিপের সুযোগ। তেমনি একটি ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া অ্যাডমিশন স্কলারশিপ। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আবেদনপ্রক্রিয়া চলছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি অর্জনের সুযোগ পাবেন।
সুযোগ-সুবিধাঅটোয়া ইউনিভার্সিটি স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য প্রতিবছর সাড়ে ৭ হাজার ডলার ও পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বছরে ৯ হাজার ডলার দেবে।
আবেদনের যোগ্যতা* আগ্রহীদের ভালো ফলাফল থাকতে হবে
* আইইএলটিএসে ন্যূনতম স্কোর ৭ থাকতে হবে।
আরও পড়ুনআয়ারল্যান্ড দিচ্ছে স্কলারশিপ, সুযোগ পাবেন যাঁরা০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫প্রয়োজনীয় তথ্যপ্রার্থীদের আবেদনপত্রের সঙ্গে সিভি, সুপারিশের চিঠি, পাসপোর্টের অনুলিপি এবং একাডেমিক প্রতিলিপি সংযুক্ত করতে হবে। ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সনদ দেখাতে হবে।
আরও পড়ুনশেখ পরিবারের নাম ১১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাদ১৮ ঘণ্টা আগেছবি: বিশ্ববিদ্যালয়টির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চবির দুই শিক্ষককে অব্যাহতি
বিদেশে উচ্চশিক্ষায় গিয়ে ছুটি শেষে ফিরে না আসায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ছুটি শেষে কয়েক দফা চিঠি দিয়ে শিক্ষকতায় যোগদানের আহ্বান করা হলেও তারা সাড়া না দেওয়ায় অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে জানানো হয়েছে।
অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষকরা হলেন- শান্তনু দেব বর্মণ ও রিফাত দারিনা কামাল। শান্তনু দেব বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আর রিফাত দারিনা লোক প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শান্তনু দেব ২০১৭ সালের মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নের জন্য কানাডায় যান। তার ছুটির মেয়াদ ছিল ওই বছরের ৪ জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরে বিনাবেতনের শর্তে এই ছুটি আরও এক বছর মঞ্জুর করেছিল প্রশাসন। পরে গত বছর ১৩ এপ্রিল এক মাসের মধ্যে শিক্ষকতায় যোগদান করতে চিঠি দিয়েছিল তৎকালীন প্রশাসন। এরপর এই বিষয়ে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর ও চলতি বছর ২ জানুয়ারিতেও দুদফা চিঠি দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে গত ৩ ফেব্রুয়ারি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও তাকে শিক্ষকতায় যোগদানের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু শান্তনু দেব বর্মণ যোগদান করেননি।
অন্যদিকে রিফাত দারিনা কামালও ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ছুটি নিয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে অংশ নিতে কানাডায় গিয়েছিলেন। তার ছুটির মেয়াদ ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ হয়। তাকেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিনবার চিঠি দিয়ে শিক্ষকতায় যোগদান করার জন্য আহ্বান জানায়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও তাকে শিক্ষকতায় যোগদান করতে আহ্বান করা হয়। জবাব না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।