কেন এত দিন খুঁজে ধরে ফেলা হয়নি ‘ডেভিলদের’
Published: 11th, February 2025 GMT
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটা করে ঘোষণা দিয়ে ডেভিল, অর্থাৎ শয়তান খুঁজতে বা ধরতে নেমেছে। গাজীপুরে ছাত্র-জনতার ওপর পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের হামলার পর এ অভিযান অনেকের মনে স্বস্তি তৈরি করেছে; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে এর বহিঃপ্রকাশও। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটা করে অভিযানের কথা ঘোষণা করার পর আমার মনে পড়ে গেল ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগানটির কথা। স্লোগানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের জাতির ইতিহাসের এক অন্ধকার সময়ের কথা।
ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ৫ ফেব্রুয়ারি ও এর পরে অনেক ঘটনা ঘটে গেল বাংলাদেশে। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঘোষণা দিয়ে। শুধু তা–ই নয়, সারা দেশে অন্তত ৩৫টি জেলায় আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে কিংবা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর হলো গাজীপুরের ঘটনা।
তিন–চারটি দিন বাংলাদেশ গেল নৈরাজ্যকর একটা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে। উত্তেজনার পারদ নিচে নেমে আসার পর এবার সময় হয়েছে নিরাবেগ হিসাব-নিকাশের। খতিয়ে দেখা দরকার যা ঘটল (কিংবা ঘটতে দেওয়া হলো), যেভাবে ঘটল এবং এর ভবিষ্যৎ প্রভাবইবা কী।
শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে নিশ্চয়ই, কিন্তু এসব কি পাঁচ আগস্টের ক্ষোভ-ক্রোধের তুলনায় বেশি? নিদেনপক্ষে কাছাকাছিও? শেখ হাসিনার পতন এবং পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণের তীব্রতম ক্রোধের সময়ও যে বাড়িগুলো হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের শিকার হয়নি, সেই বাড়িগুলো কেন ছয় মাস পর তুলনামূলকভাবে অনেক কম ক্ষোভের মুখেই হামলা–ভাঙচুরের শিকার হলো? যৌক্তিকভাবেই অনুমান করা যায়, এর পেছনে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, ইন্ধন ছিল। তাহলে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন আগাম এই ঘটনাগুলো অনুমান করতে পারেনি?এমন সময়ে সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরের ওপর হামলা–ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হলো, যখন ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা নিয়ে সেনাবাহিনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালন করছে। ফলে ৫ ফেব্রুয়ারি–পরবর্তী তিন-চার দিনে যা ঘটল, তা বিরাট প্রশ্ন তৈরি করেছে। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সক্ষমতার প্রতি কতটা বড় প্রশ্ন তৈরি করেছে, সেটা কি অনুধাবন করে সরকার?
পতিত স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়তা নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্রোধ, ক্ষোভের যৌক্তিক কারণ আছে। কথা ছিল দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ক্রমাগতভাবে, বিশেষ করে জুলাই-আগস্টে ভয়ংকরতম মানবতাবিরোধী অপরাধের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাওয়া শেখ হাসিনা আমাদের হেফাজতে থেকে বিচারের মুখোমুখি হবেন। কৌশলগত কারণে ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে, এমন সম্ভাবনাকে শূন্যের কোঠায় ধরলেও শেখ হাসিনা অন্তত চুপ থাকবেন, এটা প্রত্যাশা করেছিল এ দেশের মানুষ।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পূর্তির আগেই ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘দুই দেশের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ (সরকার) তাকে (শেখ হাসিনা) ফেরত না নেওয়া পর্যন্ত ভারত যদি তাকে রাখতে চায়, তবে শর্ত হলো তাকে চুপ থাকতে হবে।’ কিন্তু সেটা করা দূরে থাক, শেখ হাসিনা ভারতে বসে প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের ভয়ংকর সব হুমকি দিতে থাকলেন। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে তার দলের লোকদের মাধ্যমে বাংলাদেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করতে লাগলেন।
শেখ হাসিনার বক্তব্য দেওয়া মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে নিশ্চয়ই, কিন্তু এসব কি পাঁচ আগস্টের ক্ষোভ-ক্রোধের তুলনায় বেশি? নিদেনপক্ষে কাছাকাছিও? শেখ হাসিনার পতন এবং পালিয়ে যাওয়ার পর জনগণের তীব্রতম ক্রোধের সময়ও যে বাড়িগুলো হামলা-ভাঙচুর কিংবা অগ্নিসংযোগের শিকার হয়নি, সেই বাড়িগুলো কেন ছয় মাস পর তুলনামূলকভাবে অনেক কম ক্ষোভের মুখেই হামলা–ভাঙচুরের শিকার হলো?
যৌক্তিকভাবেই অনুমান করা যায়, এর পেছনে ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত, ইন্ধন ছিল। তাহলে রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কেন আগাম এই ঘটনাগুলো অনুমান করতে পারেনি? বিশেষ করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর হামলার শিকার হওয়ার পর যখন অনেকেই সারা দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়িতে হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তখনো কেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এসব মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে?
নানা ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দুর্বলতা এখন সর্বজনস্বীকৃত ব্যাপার। রাস্তা অবরোধ করে দাবিদাওয়া জানানোর মতো কর্মসূচির মাধ্যমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা থেকে শুরু করে ফৌজদারি অপরাধ পর্যন্ত সরকারের সাফল্য প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষ করে বাংলাদেশে ইসলামি উগ্রবাদীদের দখলে চলে যাচ্ছে—এমন বয়ান প্রতিষ্ঠিত করার ভিত্তি তৈরি করার মতো ঘটনা ঘটছে অনেক।
দিনের পর দিন একটি গোষ্ঠী মাজার ভেঙেছে। ২৬ জানুয়ারি বিশ্ব সুফি সংস্থা ৮০টি মাজার ও দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ করেছে। এর মধ্যে কিছু ঘটনা ঘটেছে সরকার দায়িত্ব দেওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। বাকি ঘটনাগুলো ঘটেছে এর পরে। এমনকি গত জানুয়ারিতে এসেও কয়েকটি মাজারে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাউল গান, মেলা বন্ধ হয়েছে। বন্ধ হয়েছে নারীদের ফুটবল খেলা, এমনকি অভিনেত্রী কর্তৃক দোকান বা শোরুম উদ্বোধন। এটি স্পষ্ট, কোনো সুযোগসন্ধানী মহল এখানে তৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী, আমরা জানি না।
সাম্প্রতিক সময়ে যা যা ঘটল, সেটাকে অনেকেই যুক্ত করতে চাইছেন ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় হতে যাওয়া ট্রাম্প-মোদি বৈঠকের সঙ্গে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ যে একটা ইস্যু হিসেবে থাকার সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত, সেটা খানিকটা ‘কূটনৈতিক অনিশ্চয়তা’ যোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি।
৫ আগস্টের পর ‘বাংলাদেশে মৌলবাদীদের ক্ষমতা দখল, সংখ্যালঘুরা হুমকির মুখে থাকা এবং বাংলাদেশে একটা নৈরাজ্য বিরাজ করার’ ভারতীয় যে বয়ান, সেটাকে সমর্থন করার জন্য বেশ কিছু ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ে তারা পেয়েছে তো বটেই।
দেশের বিদ্যমান অবস্থায় বিদেশি শক্তিগুলোর দিক থেকে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ আমাদের আসবে, সেই বিবেচনার চেয়ে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমাদের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কেমন দাঁড়াচ্ছে সেটা। একটা দুর্বল ও অকার্যকর সরকার নানা রকম কায়েমি স্বার্থবাদী গ্রুপকে নানা অপকর্মে উৎসাহিত করে। এটা আমাদের রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে বড় শঙ্কা তৈরি করছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণা করেছে। পুলিশের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত এ অভিযানে গ্রেপ্তার সহস্রাধিক। আমরা প্রশ্ন করতেই পারি, সমাজে যখন এত বেশি ‘শয়তান’ আছে যে তাদের রীতিমতো ঘটা করে, ঘোষণা দিয়ে খুঁজে ধরতে হবে, তখন এতগুলো মাস স্বাভাবিক অভিযানে শয়তানদের খুঁজে আটক করার ক্ষেত্রে কেন নির্লিপ্ত ছিল সরকার? বিশেষ নামের বিশেষ ঘোষণা কি এটা প্রমাণ করে না, এত দিন স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম ঠিকঠাকভাবে চলেনি?
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ অভিযান নিয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা ভালো নয়। ২০১৯ সালের শেষ দিকে ‘চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে’ স্লোগান দিয়ে সামাজিক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে র্যাব। সেটা আসলে শুরু, এরপর বীভৎস ঘটনা ঘটে কক্সবাজার, টেকনাফসহ গোটা দেশে। মাদক, বিশেষ করে ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা শুরু করে র্যাব।
সে অভিযানে মাদক ব্যবসায়ী অভিযোগে কক্সবাজার এলাকায় ২০০ জনের বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ২০২২ সালে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো.
বর্তমান সরকারের সময় কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটবে না, এমন বিশ্বাস সম্ভবত আমরা রাখতেই পারি। কিন্তু দীর্ঘদিনের চর্চার ফলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংস্কৃতিতে পরিণত হওয়া হেফাজতে নির্যাতনে মৃত্যু, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের মতো ঘটনাগুলো ঘটতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে যৌথ বাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোড়ন তোলে। যদিও গত পাঁচ মাসে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে অন্তত ১৭ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন (মানবাধিকার সংগঠন ‘আইন ও সালিশ কেন্দ্র’–এর তথ্য)। বলা বাহুল্য, এসব ঘটেছে নির্যাতনের ফলে। অথচ ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩’ অনুযায়ী নির্যাতনের সংজ্ঞা হলো, ‘নির্যাতন’ অর্থ কষ্ট হয়, এমন ধরনের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
বিশেষ অভিযানের মতো ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা হয়ে উঠুক সরকারের প্রতিদিনকার অগ্রাধিকার। সরকারের মনে রাখা উচিত, সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে ব্যর্থতার যুক্তি হিসেবে অনভিজ্ঞতাকে সামনে আনা ১–২ মাস বয়সী সরকারের ক্ষেত্রে অনেকটাই গ্রহণযোগ্য হলেও ছয় মাস পেরিয়ে যাওয়ার পর সেটাকে জনগণের গ্রহণ না করারই কথা।
জাহেদ উর রহমান রাজনৈতিক বিশ্লেষক
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ ষ কর ঘটন গ ল সরক র র জনগণ র আম দ র য গ কর র সময আগস ট ক ষমত
এছাড়াও পড়ুন:
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না: বিএনপি মহাসচিব
দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দায় সরকার এড়াতে পারে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার রাত পৌনে ৮টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলের স্থায়ী কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে সার্বিক বিষয়ে দলের উদ্বেগের বিষয়গুলো প্রধান উপদেষ্টার কাছে তুলে ধরা হবে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা বিএনপির দায়িত্ব। বিএনপি সেই দায়িত্ব পালন করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, তার দায় সরকার এড়াতে পারে না। কারণ, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন বাহিনীর সামনেই একের পর এক ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে সার্বিকভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপন্ন হয়েছে। ফ্যাসিবাদীরা এসব বিষয়ে কথা বলার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা যেটা বারবার বলে এসেছি, এ সরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সুতরাং দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা তাদের আবারও তাগাদা দিয়েছি। তারা ন্যূনতম সংস্কারের ক্ষেত্রে আলোচনার পর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে বলেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে কথা বলেছি। এ সরকারের অন্যতম বড় ব্যর্থতা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা। তারা কাজ করছে বলে আমাদের জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি এসেছে। বিএনপি বলেছে, বিশেষ অভিযান ‘ডেভিল হান্টে’ যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি হয়রানির শিকার না হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য সরকার কাজ করছে বলে আমাদের জানিয়েছেন (প্রধান উপদেষ্টা)। আমরা আশা করব, জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে এবং একটি রোডম্যাপ (রূপরেখা) দেওয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে কোনোভাবেই একমত হব না। আগে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে। এর আগে কোনো নির্বাচন হবে না। এটা আগেও পরিষ্কার করে বলেছি।’