আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে ১৫ বছরে সুনজরে ছিলেন আমলারা। বাড়ি, গাড়ি, পদোন্নতিসহ অনেক সুবিধা বাগিয়েছেন তারা। এখন অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও প্রাধান্য বিস্তার করেছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ফলে দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে বঞ্চিত ৭৬৪ কর্মকর্তা পেয়েছেন ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি। এর মধ্যে ১১৯ জন হয়েছেন সচিব। এ পদোন্নতির ঘটনায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা।

পদোন্নতি তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮১ ব্যাচ থেকে সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন চারজন, ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের ৩৫ জন, ১৯৮২ (বিশেষ) ব্যাচের ১০ জন, ৫ম ব্যাচের ১৬ জন, সপ্তম ব্যাচের ১৭ জন, অষ্টম ব্যাচের ৮ জন, নবম ও দশম ব্যাচে দু’জন করে, ১১তম ব্যাচের চারজন এবং ১৩তম ব্যাচের তিনজন। অন্য ক্যাডারের মাত্র ১৮ কর্মকর্তা সচিব হতে পেরেছেন। এর মধ্যে দু’জন ১৯৮১ ব্যাচের, ৫ জন ১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচের। অন্যান্য ব্যাচে আছেন ১১ জন। এতে ১৯৮২ সালের নিয়মিত ও বিশেষ ব্যাচে পদোন্নতি পেয়েছেন ৫০ জন কর্মকর্তা। এ ছাড়া  গ্রেড-১ (সচিবের সমমান বেতন গ্রেড) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন ও উপসচিব পদে চারজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।          
সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার সমকালকে বলেন, এবারও অনেক যোগ্য কর্মকর্তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।   ১৯৮২ (বিশেষ)  এবং  ১৯৮৫ ব্যাচের  মৃত দুই কর্মকর্তা  ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পেলেও  ১৯৮২ (নিয়মিত)  ব্যাচের  তালিকায়  মৃত আবুল হোসেন ও মৃত আবুল  কাশেমের  নাম নেই। 
বঞ্চিত কর্মকর্তাদের বাছাই কমিটির একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে যেসব কর্মকর্তা ৫ থেকে ৩ বছর ওএসডি ছিলেন এবং পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের গুরুত্ব দিয়ে সুপারিশ করা হয়েছিল। এ ছাড়া যেসব মেধাবী কর্মকর্তা সচিব হতে পারেননি, তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে।

খরচ হবে ৪৬ কোটি টাকা 
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গত ২৪ ডিসেম্বর জানিয়েছিলেন, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির জন্য বকেয়া বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ৪২ কোটি টাকা খরচ হবে। এ ছাড়া তাদের পেনশন বাবদ বছরে অতিরিক্ত ৪ কোটি টাকা খরচ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবসরে যাওয়া ৭৬৪ কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে গত রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তারা এখন পদোন্নতি পাওয়া পদ অনুযায়ী মর্যাদা ও আর্থিক সুবিধা পাবেন। এই কর্মকর্তাদের চাকরিতে ফিরতে হবে না। নতুন পদে এক দিনও কাজ করতে হবে না। শুধু আর্থিক সুবিধা পাবেন। মোট আর্থিক সুবিধার অর্ধেক পাবেন আগামী ৩০ জুনের মধ্যে। বাকিটা পাবেন আগামী অর্থবছরে। সরকারি কর্মকর্তারা ২৫ বছর চাকরি করলে মূল বেতনের ৯০ শতাংশের সমপরিমাণ পেনশন পান। এর অর্ধেক এককালীন দেওয়া হয়।

 বাকিটা দেওয়া হয় মাস হিসেবে। পাশাপাশি তাদের আনুতোষিক, ভবিষ্য তহবিলসহ বিভিন্ন অবসর সুবিধা রয়েছে। অতিরিক্ত সচিব পদে (গ্রেড-২) মূল বেতন ৬৬ হাজার টাকা থেকে ৭৬ হাজার ৪৯০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। সচিব পদে নির্ধারিত মূল বেতন ৭৮ হাজার টাকা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা যাতে দ্রুত বকেয়া টাকা পেয়ে যান, সে জন্য জিও জারি করা হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জনপ্রশাসনে ‘বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো’ কর্মকর্তাদের মধ্যে ৭৬৪ জনকে ভূতাপেক্ষ সুযোগ-সুবিধাসহ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করে এ-সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটি। গত ১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় কমিটি। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পর্যন্ত ‘বঞ্চিত ও বাধ্যতামূলক অবসরে যাওয়া’ সচিব থেকে শুরু করে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এই তালিকায় ছিলেন। সেসব কর্মকর্তাকে চাকরিতে ফিরিয়ে আনা বা তাদের প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধা দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব জাকির আহমেদ খান। কমিটির সদস্য ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগের  তিনজন অতিরিক্ত সচিব এবং আইন ও বিচার বিভাগের একজন যুগ্ম সচিব।

কমিটি নিয়ে বিতর্ক
প্রশাসনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের শীর্ষ কমিটি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড (এসএসবি)। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবের সভাপতিত্বে এ কমিটিতে সদস্য থাকেন জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থসহ ছয়জন গুরুত্বপূর্ণ সচিব। শীর্ষ এ কমিটি বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ব্যাচ ভেঙে পদোন্নতি, নির্দিষ্ট সময়ে পদোন্নতি না দেওয়া, ভারপ্রাপ্ত সচিবের পদ সৃষ্টি ও বিলুপ্তি, এক দিন চাকরি থাকলেও সচিব পদে পদোন্নতি, আবার পদোন্নতির সময় যে কর্মকর্তা কমপক্ষে দুই বছর সচিব পদে চাকরি করতে পারবেন তাদেরই পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্তসহ অসংখ্য অলিখিত নিয়মে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কাজ করে এই কমিটি। এতে ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এবার সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেছেন অতিরিক্ত ও যুগ্ম সচিব পদের কর্মকর্তারা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেও এমন কমিটি করে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছিল।

ঘুরেফিরে ৮২ ব্যাচ
বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ ১১টি মন্ত্রণালয়ের সচিব ৮২ ব্যাচের।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুরো প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৮২তম নিয়মিত ব্যাচের কর্মকর্তারা। এই ব্যাচে কর্মকর্তা ছিলেন ১৯১ জন। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সচিব সুরাইয়া বেগম এই ব্যাচের মেধাতালিকায় ১৭৮তম হয়েও জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছিলেন। একই সঙ্গে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইএমইডি, পরিসংখ্যান বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ চারটি মন্ত্রণালয়-বিভাগে সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। চাকরি থেকে অবসরের পর আরেক দফা প্রধানমন্ত্রীর সচিব হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও পেয়েছিলেন। পরে তথ্য কমিশনার হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্বও পালন করেন।
৮২ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা শফিউল আলম রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও ভূমি সচিবের পর ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে চুক্তিতে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক পদে নিয়োগ পান। হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন অর্থ, বাণিজ্য ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (কর্মসূচি), তথ্য, সংস্কৃতি ও বিমানের সচিব ছিলেন। আবুল কালাম আজাদ বিদ্যুৎ, ইআরডি, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সচিব ও মুখ্য সচিব ছিলেন। পরে তাঁকে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়ার জন্য এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কের পদ সৃষ্টি করা হয়। সর্বশেষ তিনি এমপি হয়ে সংসদেও যান। কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী তথ্য, শিক্ষা, জনপ্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান। ৮২ ব্যাচের আরেক কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক খান সড়ক ও রেলওয়ে, স্বরাষ্ট্র এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জ্যেষ্ঠ সচিব ছিলেন। অবসরে যাওয়ার আগে পাঁচ বছরের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার করা হয় তাঁকে। 

মানুষের দাবি-দাওয়া উপেক্ষিত
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে ঢাকা যেন দাবি আদায়ের নগরে পরিণত হয়েছে। চাকরিজীবী, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী, রিকশাচালক সবাই দাবি আদায়ের চেষ্টায় তৎপর। তবে তাদের দৃশ্যমান বড় কোনো দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বিভিন্ন দাবিতে শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন পরপর সচিবালয়ে সামনে আসছেন। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি প্রেস ক্লাবের সামনে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেন। অন্য ক্যাডার কর্মকর্তারা পদোন্নতির জন্য দাবি জানালেও তাদের দাবি আমলে নেওয়া হয়নি।  

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল গ সরক র র আমল ন মন ত র উপদ ষ ট র জন য কম ট র আওয় ম সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিষয়ক দপ্তর তাদের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আকার কমাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের তৎপরতা চলার মধ্যে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

এ পরিকল্পনার আওতায় শিক্ষা দপ্তরের প্রায় ২ হাজার ১০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের মধ্যে পড়তে পারেন। ২১ মার্চ থেকে তাঁদের ছুটিতে পাঠানো হতে পারে।

ট্রাম্প অনেক দিন থেকেই শিক্ষা দপ্তরকে বিলুপ্ত করতে চাইছেন। এটা রক্ষণশীলদের একাংশের দীর্ঘদিনের চাওয়া। তবে শিক্ষা দপ্তরকে বিলুপ্ত করতে হলে এ বিষয়ে কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে।

মার্কিন শিক্ষা দপ্তরের বার্ষিক বাজেটের পরিমাণ প্রায় ২৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। সেখানকার কর্মীর সংখ্যা চার হাজারের বেশি। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিভাগ সরকারি স্কুলগুলোর তহবিল তত্ত্বাবধান, শিক্ষার্থীদের ঋণ এবং নিম্ন আয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি পরিচালনা করে।

মার্কিন শিক্ষা দপ্তর নিয়ে একটি ভুল ধারণা আছে। তা হলো, এ দপ্তরের আওতায় মার্কিন স্কুলগুলো পরিচালিত হয় এবং এটি পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে। আসলে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ (ডিস্ট্রিক্ট) এসব কাজ করে থাকে।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ তহবিলের তুলনামূলক সামান্য অংশ (প্রায় ১৩ শতাংশ) কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে আসে। আর তহবিলের সিংহভাগ আসে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

মার্কিন নাগরিকদের উচ্চশিক্ষার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষার্থী ঋণ দেওয়ার কাজটি পরিচালনা ও তদারকির মধ্য দিয়ে শিক্ষা দপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন শিক্ষামন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘শিক্ষা বিভাগের চূড়ান্ত লক্ষ্যের অংশ হিসেবে প্রায় ৫০ শতাংশ কর্মী কমাতে আজ (মঙ্গলবার) বিভাগের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষা দপ্তরের সব বিভাগেই এ ছাঁটাইয়ের প্রভাব পড়বে। শিক্ষার্থী, মা-বাবা, শিক্ষক ও করদাতাদের আরও ভালোভাবে সেবা দিতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

দপ্তরের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, ট্রাম্প যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তখন সংস্থাটিতে ৪ হাজার ১৩৩ জন কর্মী ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রে মন্ত্রণালয় পর্যায়ের ১৫টি সংস্থার মধ্যে শিক্ষা দপ্তরের কর্মীর সংখ্যা সবচেয়ে কম।

ছাঁটাইয়ের পর শিক্ষা দপ্তরে ২ হাজার ১৮৩ জন কর্মী বহাল থাকবেন। এর মধ্যে এই বছরের শুরুতে অবসরে যাওয়া এবং স্বেচ্ছায় অবসরের প্রস্তাবে সম্মত হওয়া কয়েক শ কর্মীও রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে কর্মীদের বলা হয়েছে, ছাঁটাই হওয়া সবাই ৯ জুন পর্যন্ত তাঁদের স্বাভাবিক বেতন ও সুবিধা পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা কত দিন ধরে বিভাগে কাজ করেছেন, তার ওপর ভিত্তি করে আর্থিক পাওনাও পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
  • খালেদ মাহমুদ বললেন, ‘আমি জানি না, ওরা কেন মাঠ থেকে অবসর নিতে চায় না’
  • রিয়াদের বিদায়ে আবেগঘন বার্তা মাশরাফি-সাকিবদের
  • মাহমুদউল্লাহর অবসর: বিসিবির কৃতজ্ঞতা, আইসিসির ভালোবাসা
  • জেন-জি ও মিলেনিয়ালরা কেন সাময়িক অবসরে যাচ্ছেন
  • শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও স্তুতির জোয়ারে মাহমুদউল্লাহ
  • ‘পেইন-কিলার’ মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে শুভকামনা হৃদয়ের
  • আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর
  • যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের প্রায় অর্ধেক জনবল ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা
  • তিনি ফিরলেন, এক ম্যাচ খেললেন, আবার অবসরে গেলেন