ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক ১৫ ফেব্রুয়ারি
Published: 11th, February 2025 GMT
আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
সোমবার রাজধানীর হেয়ার রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সদস্যরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শরিকরা বৈঠকে অংশ নেবেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রথম বৈঠকে সকল রাজনৈতিক দলসহ সবাই অংশ নেবেন। সবাই মিলে পরবর্তী কালে সম্মিলিত না পৃথক বৈঠক হবে, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বিফ্রিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি। খবর-বাসস
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
উস্কানি চলতে থাকলে তিন বছরেও ভোট সম্ভব নয়
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, শেখ হাসিনার ভাষণ নিয়ে যে উত্তেজনা বিরাজ করছে, তা প্রশমনের প্রচেষ্টা অন্তর্বর্তী সরকারকে নিতে হবে। কেউ উস্কানি দেয় আর আপনিও উস্কান– এটা যদি প্রতি তিন মাস পরপর ঘটতে থাকে, তাহলে আগামী তিন বছরেও ভোট করতে পারবেন না।
শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নির্বাচন সংস্কার বিশ্লেষণ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্র সংস্কার ফোরাম আয়োজিত এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (রওশন) সাবেক নেতা গোলাম সারোয়ার মিলন, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, আমিরুল করিম প্রমুখ।
মান্না বলেন, ‘অনেকে দাবি করছেন, আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। এর আগে ভোট হবে না। কিন্তু দেখা গেল বিচার করতে ছয় বছর লেগে গেল। তখন তো জনগণ মেনে নেবে না। তাই সবকিছু আবেগ দিয়ে, রাগ দিয়ে বিচার করলে হবে না।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদী একটি দল আর কোনোদিন জনগণের কাছে আসতে পারবে না। এমন একটি নির্বাচন আয়োজন করুন, যার ওপর দাঁড়িয়ে আগামী দিনের গণতন্ত্রের ভিত রচিত হয়।
সংস্কার প্রসঙ্গে মান্না বলেন, ‘সংস্কার সর্বাংশে ভালো জিনিস। সংস্কার করার ব্যাপারে সমগ্র জাতি এখন ঐক্যবদ্ধ আছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, সংস্কারটা কতখানি লাগবে। সংস্কারের প্রশ্নে কোনো বিষয়ে ন্যূনতম যে ঐকমত্য হবে, সরকার ততটুকু সংস্কার করবে। এ পর্যন্ত সংস্কার প্রসঙ্গে যত আলোচনা হয়েছে, আমি একটা প্রসঙ্গে ঐকমত্য দেখতে পাচ্ছি, সেটা হলো প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে হবে। এর বাইরে অন্য কোনো বিষয়ে ঐকমত্য দেখা যায়নি।
মান্না আরও বলেন, ছয় মাস পর অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে সরকার একটা কঠিন সময়ে এসে উপনীত হয়েছে। জিনিসের দাম কমে নাই। ইনভেস্টমেন্ট বাড়েনি, ইনকাম রেট বাড়েনি। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দুর্বল।